ঢাকা ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা”

তদারকি নেই উপজেলা প্রশাসনের মতলব উত্তরে আশ্রয়ন প্রকল্পে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুপেয় পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ হয় ১১ টি ঘর। সাদুল্লাপুর গ্রামে অবস্থিত ওই ঘরগুলোতে ১১ টি পরিবার বসবাস করছে। বিদ্যুৎ, পানি সংকট, শীতবস্ত্র সংকট সহ নানান অসুবিধায় জীবন যাপন করছে তারা। কনকনে শীতেও কেউ খোঁজ নেয় নি তাদের। সরেজমিনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য তুলে ধরেন আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা।
তাদের মধ্যে আছিয়া, প্রিয়াংকা, মঞ্জু রানী, আরিফ ও তছি বেগমের ঘরে বিদ্যুতের মিটার সংযোগ নেই। ঘরে উঠার পর কিছুদিন অন্ধকারে থেকে বাধ্য হয়ে সাইড লাইন দিয়ে আলো জ্বালাচ্ছেন তারা। সবগুলো পরিবারের জন্য স্থাপন করা হয়েছে দুইটি গভীর নলকূপ। স্থাপনের কিছুদিন পর থেকেই একটি বিকল আর অপরটিতে পরিমাণ মত পানি উঠে না। যার কারণে সুপেয় পানির অভাবে ভুগছে পরিবারগুলো। কেউ তাদের গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে না, এমনকি উপজেলা প্রশাসনেরও তদারকি নেই বলে জানান তারা।
গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের পর থেকে এক বছর ধরে এই সমস্যাগুলো নিয়ে দিনাতিপাত করছেন তারা। প্রিয়াংকা, মঞ্জু রানী ও তছি বেগম বলেন, আমাদের ঘরে বিদ্যুতের মিটার নেই। থাকায় পুরো সমস্যা হচ্ছিল। পরে পাশের ঘর থেকে সাইড লাইন এনে কোনরকম চলছি। খাবারের পানি নাই, গোসলের পানি নাই, টয়লেটের ট্যাঙ্কের অবস্থা ভালো না। তাই এখানকার স্থানীয় মানুষদের সাথে আমাদের প্রতিনিয়তই তর্ক করতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার শীতবস্ত্র কেউ দেয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান মেম্বার কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয় না। আমরা কি হালে আছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান বলেন, ঘরগুলো নির্মাণ করে আমরা প্রতিটি ঘরের থাকা বাসিন্দাদের কাছে দলিল করে হস্তান্তর করেছি। টিউবয়েল ও বিদ্যুতের সমস্যা থাকলে আমরা সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মতলব উত্তরের ছেঙ্গারচর পৌরসভায় ৫ টি, গজরা ইউনিয়নে ৫ টি ও সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে ১১টি সহ মোট ২১টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারীতে এই ঘরগুলো মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বরাদ্দ করা হয় ভূমি ও আশ্রয়হীন মানুষের জন্য। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। বাসস্থানহীন পরিবারের মাঝে ঘরগুলো বরাদ্দ করে দলিল করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নের ঘরগুলোতে বাসিন্দারা কেমন আছে? তা পরবর্তী খবরে প্রকাশ করা হবে।

ক্যাপশনঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ হয় ১১ টি ঘর।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ।

তদারকি নেই উপজেলা প্রশাসনের মতলব উত্তরে আশ্রয়ন প্রকল্পে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুপেয় পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা

আপডেট টাইম ০৬:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ হয় ১১ টি ঘর। সাদুল্লাপুর গ্রামে অবস্থিত ওই ঘরগুলোতে ১১ টি পরিবার বসবাস করছে। বিদ্যুৎ, পানি সংকট, শীতবস্ত্র সংকট সহ নানান অসুবিধায় জীবন যাপন করছে তারা। কনকনে শীতেও কেউ খোঁজ নেয় নি তাদের। সরেজমিনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য তুলে ধরেন আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা।
তাদের মধ্যে আছিয়া, প্রিয়াংকা, মঞ্জু রানী, আরিফ ও তছি বেগমের ঘরে বিদ্যুতের মিটার সংযোগ নেই। ঘরে উঠার পর কিছুদিন অন্ধকারে থেকে বাধ্য হয়ে সাইড লাইন দিয়ে আলো জ্বালাচ্ছেন তারা। সবগুলো পরিবারের জন্য স্থাপন করা হয়েছে দুইটি গভীর নলকূপ। স্থাপনের কিছুদিন পর থেকেই একটি বিকল আর অপরটিতে পরিমাণ মত পানি উঠে না। যার কারণে সুপেয় পানির অভাবে ভুগছে পরিবারগুলো। কেউ তাদের গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে না, এমনকি উপজেলা প্রশাসনেরও তদারকি নেই বলে জানান তারা।
গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের পর থেকে এক বছর ধরে এই সমস্যাগুলো নিয়ে দিনাতিপাত করছেন তারা। প্রিয়াংকা, মঞ্জু রানী ও তছি বেগম বলেন, আমাদের ঘরে বিদ্যুতের মিটার নেই। থাকায় পুরো সমস্যা হচ্ছিল। পরে পাশের ঘর থেকে সাইড লাইন এনে কোনরকম চলছি। খাবারের পানি নাই, গোসলের পানি নাই, টয়লেটের ট্যাঙ্কের অবস্থা ভালো না। তাই এখানকার স্থানীয় মানুষদের সাথে আমাদের প্রতিনিয়তই তর্ক করতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার শীতবস্ত্র কেউ দেয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান মেম্বার কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয় না। আমরা কি হালে আছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান বলেন, ঘরগুলো নির্মাণ করে আমরা প্রতিটি ঘরের থাকা বাসিন্দাদের কাছে দলিল করে হস্তান্তর করেছি। টিউবয়েল ও বিদ্যুতের সমস্যা থাকলে আমরা সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মতলব উত্তরের ছেঙ্গারচর পৌরসভায় ৫ টি, গজরা ইউনিয়নে ৫ টি ও সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে ১১টি সহ মোট ২১টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারীতে এই ঘরগুলো মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বরাদ্দ করা হয় ভূমি ও আশ্রয়হীন মানুষের জন্য। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। বাসস্থানহীন পরিবারের মাঝে ঘরগুলো বরাদ্দ করে দলিল করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নের ঘরগুলোতে বাসিন্দারা কেমন আছে? তা পরবর্তী খবরে প্রকাশ করা হবে।

ক্যাপশনঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ হয় ১১ টি ঘর।