ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

সুন্দরগঞ্জে মারুফ হত্যারকীর শাস্তি দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল৷

মোঃনুর আলম আজাদ গাইবান্ধা, প্রতিনিধি ৷৷

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের শান্তিরাম গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে ও পরান কে আলী দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মারুফ হোসেন (১৪)কে হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে
বিক্ষোভ করেছেন নিহত মারুফের স্বজনরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল সুন্দরগঞ্জ-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহা-সড়কের ছাপড়হাটী ইউনিয়নের শোভাগঞ্জ বাজারের অদূরে (সতীর বাঁশঝাড়) থেকে শান্তিরাম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের নিকট (ফোরকানীয়া বাজার) প্রদক্ষিণ করে। এ সসময় পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ৬০-৭০ জন নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরী স্বজনদের নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন নিহত কিশোর মারুফের বাবা আনোয়ারুল ইসলাম ও মারুফের মা মমতাজ বেগম। এতে অংশ গ্রহণকারী নিহত মারুফের দাদা শহিদুল ইসলাম, চাচা রফিকুল ইসলাম ও মারুফের বাবা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার (৭ জানুয়ারী) তার ছেলে মারুফকে শয়নঘরে ডেকে নিয়ে আবু তাহের শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনার পর হত্যাকারীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় শ্যালক আবু তাহেরসহ ৭ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা করেন তিনি। আবু তাহের শান্তিরাম গ্রামের ফুলমিয়ার ছেলে ও নিহত মারুফের মামা। তিনি মারুফ হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার কিছু দিন আগে মারুফ পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনে তার মামা আবু তাহেরের একটি মোবাইলফোন নেয়। আনোয়ারুল ইসলাম তার ছেলে মারুফের কাছ থেকে আবু তাহেরের ঐ মোবাইলফোনটি নিয়ে তার কর্মস্থল ঢাকায় চলে যান। মোবাইলফোন ফিরে না পেয়ে আবু তাহের ক্ষীপ্ত হয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেন। থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) আব্দুল আজিজ জানান, মামলাটির আইও এসআই রাশেদুল ইসলাম। তবুও, বিষয়টি ভালভাবে খতিয়ে দেখতে নিজেও কাজ করছি। ঘটনার আগে আবু তাহেরের কাছ থেকে তার ভাগ্নে মারুফ একটি মোবাইলফোন নিয়ে হারানোর কথা বলে। প্রকৃতপক্ষে মোবাইলফোনটি নিয়ে ঢাকায় যায় মারুফের বাবা আনোয়ারুল ইসলাম। তা জানতে পেয়ে ক্ষীপ্ত হয়ে আবু তাহের এঘটনা ঘটিয়েছে বলে আবু তাহেরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

সুন্দরগঞ্জে মারুফ হত্যারকীর শাস্তি দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল৷

আপডেট টাইম ০৯:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২

মোঃনুর আলম আজাদ গাইবান্ধা, প্রতিনিধি ৷৷

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের শান্তিরাম গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে ও পরান কে আলী দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মারুফ হোসেন (১৪)কে হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে
বিক্ষোভ করেছেন নিহত মারুফের স্বজনরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল সুন্দরগঞ্জ-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহা-সড়কের ছাপড়হাটী ইউনিয়নের শোভাগঞ্জ বাজারের অদূরে (সতীর বাঁশঝাড়) থেকে শান্তিরাম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের নিকট (ফোরকানীয়া বাজার) প্রদক্ষিণ করে। এ সসময় পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ৬০-৭০ জন নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরী স্বজনদের নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন নিহত কিশোর মারুফের বাবা আনোয়ারুল ইসলাম ও মারুফের মা মমতাজ বেগম। এতে অংশ গ্রহণকারী নিহত মারুফের দাদা শহিদুল ইসলাম, চাচা রফিকুল ইসলাম ও মারুফের বাবা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার (৭ জানুয়ারী) তার ছেলে মারুফকে শয়নঘরে ডেকে নিয়ে আবু তাহের শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনার পর হত্যাকারীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় শ্যালক আবু তাহেরসহ ৭ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা করেন তিনি। আবু তাহের শান্তিরাম গ্রামের ফুলমিয়ার ছেলে ও নিহত মারুফের মামা। তিনি মারুফ হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার কিছু দিন আগে মারুফ পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনে তার মামা আবু তাহেরের একটি মোবাইলফোন নেয়। আনোয়ারুল ইসলাম তার ছেলে মারুফের কাছ থেকে আবু তাহেরের ঐ মোবাইলফোনটি নিয়ে তার কর্মস্থল ঢাকায় চলে যান। মোবাইলফোন ফিরে না পেয়ে আবু তাহের ক্ষীপ্ত হয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেন। থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) আব্দুল আজিজ জানান, মামলাটির আইও এসআই রাশেদুল ইসলাম। তবুও, বিষয়টি ভালভাবে খতিয়ে দেখতে নিজেও কাজ করছি। ঘটনার আগে আবু তাহেরের কাছ থেকে তার ভাগ্নে মারুফ একটি মোবাইলফোন নিয়ে হারানোর কথা বলে। প্রকৃতপক্ষে মোবাইলফোনটি নিয়ে ঢাকায় যায় মারুফের বাবা আনোয়ারুল ইসলাম। তা জানতে পেয়ে ক্ষীপ্ত হয়ে আবু তাহের এঘটনা ঘটিয়েছে বলে আবু তাহেরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।