ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

ভোট একটি পবিত্র আমানত,অযোগ্য ও অসৎ ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে আমানত খেয়ানত করবেন না

মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলায় দশটি ইউনিয়নে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ই ডিসেম্বর ,বুধবার। ইউপি নির্বাচনকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলা হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বাংলাদেশের অনেক পুরনো ঐতিহ্য। দেশে যত নির্বাচন হয়, এরমধ্যে ইউপি নির্বাচন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এ নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি থাকে সবচেয়ে বেশি। জনগণ তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেন।

ভোট দেশের প্রতিটি নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোট ব্যক্তির নিজস্ব মতামত কিংবা জনমত প্রতিফলনের একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বিশেষ। রাজনীতিতে ভোট এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে একজন প্রার্থী গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার ব্যবস্থার কোনো না কোনোপর্যায়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিয়োজিত ও নির্বাচিত হন।

ভোট একটি পবিত্র আমানত। ভোট দেওয়া মহান দায়িত্ব। নাগরিক অধিকার। স্বাধীনতার উপহার। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়াটাই সততা ও সুষ্ঠু নাগরিকতার দাবি। পক্ষন্তরে অসৎ, অযোগ্য ও দুর্নীতিপরায়ণ প্রার্থীকে ভোট দিলে তার পরিণাম ভয়াবহ।

হজরত মাওলানা মুহাম্মাদ রব্বানি বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে ভোট হচ্ছে তিনটি বিষয়ের সমষ্টি, ১. সাক্ষ্য প্রদান। ২. সুপারিশ । ৩. প্রতিনিধিত্বের ক্ষমতা প্রদান। (জাওয়াহিরুল ফিকহ ৫/৫৩৩)। ইসলামী শরিয়ত ভোট ও ভোটাধিকারকে একটি সাক্ষ্য এবং সুপারিশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ইসলামে সাক্ষ্য প্রদান করা এবং সুপারিশ করা উভয় বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। বস্তুত কাউকে ভোট দেওয়ার অর্থ হলো তার ব্যাপারে এ সাক্ষ্য দেওয়া। সুতরাং ভালো ও যোগ্য প্রার্থীকে সাক্ষ্য দেওয়া মানে হলো সত্যকে সমর্থন করা এবং সাক্ষ্য দেওয়া। আর অসৎ ও অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়া মানে হলো মিথ্যা বা মন্দকে সাক্ষ্য দেওয়া। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এমন কাজ করতে বারণ করা হয়েছে। মিথ্যা সাক্ষ্য প্রসঙ্গে কুরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান থেকে বিরত থাক।’ [সুরা হজ : ৩০] সুতরাং ভোট যেহেতু একটি সাক্ষ্য। জেনে বুঝে সাক্ষ্য প্রদান করতে হবে।

ভোট একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে ভোট প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে-শুনে ভোট দেয়া নাগরিক দায়িত্ব ও ইসলামের বিধান। কোনোভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে টাকার লোভ, দুর্নীতি আর পেশিশক্তির কাছে জিম্মি হওয়া যাবে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘আর তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না। যে ব্যাক্তি সাক্ষ্য গোপন করবে, তার অন্তর গোনাহগার হিসেবে গণ্য হবে।’ [সুরা বাকারা: আয়াত:২৮৩] হযরত আবু মুসা আশআরী রা. হতে বর্ণিত, মহানবী সা. বলেছেন, কোন ব্যাক্তিকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য ডাকা হলে সে যদি সাক্ষ্য গোপন করে, তাহলে সে ঐ ব্যাক্তির মত যে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে।

ভোট প্রদানের সময় প্রার্থীর সততা ও যোগ্যতাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ইসলাম মনে করে, যারা ভোট দিবেন; তারা সমাজে ভালো কাজ করার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পক্ষে রায় দিবেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

ভোট একটি পবিত্র আমানত,অযোগ্য ও অসৎ ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে আমানত খেয়ানত করবেন না

আপডেট টাইম ০৮:০২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলায় দশটি ইউনিয়নে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ই ডিসেম্বর ,বুধবার। ইউপি নির্বাচনকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলা হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বাংলাদেশের অনেক পুরনো ঐতিহ্য। দেশে যত নির্বাচন হয়, এরমধ্যে ইউপি নির্বাচন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এ নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি থাকে সবচেয়ে বেশি। জনগণ তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেন।

ভোট দেশের প্রতিটি নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোট ব্যক্তির নিজস্ব মতামত কিংবা জনমত প্রতিফলনের একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বিশেষ। রাজনীতিতে ভোট এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে একজন প্রার্থী গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার ব্যবস্থার কোনো না কোনোপর্যায়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিয়োজিত ও নির্বাচিত হন।

ভোট একটি পবিত্র আমানত। ভোট দেওয়া মহান দায়িত্ব। নাগরিক অধিকার। স্বাধীনতার উপহার। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়াটাই সততা ও সুষ্ঠু নাগরিকতার দাবি। পক্ষন্তরে অসৎ, অযোগ্য ও দুর্নীতিপরায়ণ প্রার্থীকে ভোট দিলে তার পরিণাম ভয়াবহ।

হজরত মাওলানা মুহাম্মাদ রব্বানি বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে ভোট হচ্ছে তিনটি বিষয়ের সমষ্টি, ১. সাক্ষ্য প্রদান। ২. সুপারিশ । ৩. প্রতিনিধিত্বের ক্ষমতা প্রদান। (জাওয়াহিরুল ফিকহ ৫/৫৩৩)। ইসলামী শরিয়ত ভোট ও ভোটাধিকারকে একটি সাক্ষ্য এবং সুপারিশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ইসলামে সাক্ষ্য প্রদান করা এবং সুপারিশ করা উভয় বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। বস্তুত কাউকে ভোট দেওয়ার অর্থ হলো তার ব্যাপারে এ সাক্ষ্য দেওয়া। সুতরাং ভালো ও যোগ্য প্রার্থীকে সাক্ষ্য দেওয়া মানে হলো সত্যকে সমর্থন করা এবং সাক্ষ্য দেওয়া। আর অসৎ ও অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়া মানে হলো মিথ্যা বা মন্দকে সাক্ষ্য দেওয়া। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এমন কাজ করতে বারণ করা হয়েছে। মিথ্যা সাক্ষ্য প্রসঙ্গে কুরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান থেকে বিরত থাক।’ [সুরা হজ : ৩০] সুতরাং ভোট যেহেতু একটি সাক্ষ্য। জেনে বুঝে সাক্ষ্য প্রদান করতে হবে।

ভোট একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে ভোট প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে-শুনে ভোট দেয়া নাগরিক দায়িত্ব ও ইসলামের বিধান। কোনোভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে টাকার লোভ, দুর্নীতি আর পেশিশক্তির কাছে জিম্মি হওয়া যাবে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘আর তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না। যে ব্যাক্তি সাক্ষ্য গোপন করবে, তার অন্তর গোনাহগার হিসেবে গণ্য হবে।’ [সুরা বাকারা: আয়াত:২৮৩] হযরত আবু মুসা আশআরী রা. হতে বর্ণিত, মহানবী সা. বলেছেন, কোন ব্যাক্তিকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য ডাকা হলে সে যদি সাক্ষ্য গোপন করে, তাহলে সে ঐ ব্যাক্তির মত যে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে।

ভোট প্রদানের সময় প্রার্থীর সততা ও যোগ্যতাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ইসলাম মনে করে, যারা ভোট দিবেন; তারা সমাজে ভালো কাজ করার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পক্ষে রায় দিবেন।