ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

৫০তম মহান বিজয় দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, প্রকৌশলী খোকন পাল

ভাস্কর মজুমদার (নিজস্ব প্রতিবেদক); ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আহসান উল্লাহ হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আওয়ামীলীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য লক্ষ্মীপুর জেলার কৃতি সন্তান প্রকৌশলী খোকন চন্দ্র পাল এক বাণীতে বলেন, ৫০তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেশবাসীর প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি দীর্ঘ তেইশ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ২ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সেইসব দেশ ও ব্যক্তিবর্গের প্রতি যাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছেন। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের-কে, যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আহসান উল্লাহ হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মেধাবী ছাত্র ইঞ্জিনিয়ার খোকন চন্দ্র পাল বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, বাষট্টি’র শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টি’র ৬-দফা, ঊনসত্তরের ১১-দফা ও গণঅভ্যুত্থ্যানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি। জাতির পিতা অনুধাবন করেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার এবং তাদের দোসর রাজাকার- আলবদর- আলশামস বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেন। আমরা পাই লাল-সবুজের পতাকা।
আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক প্রকৌশলী খোকন চন্দ্র পাল বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী -যুদ্ধাপরাধী চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তারা হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। স্বাধীনতাযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসকে বিকৃত করে, ভূলুণ্ঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রুদ্ধ করে। পরবর্তীকালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার এই ধারা অব্যাহত রাখে।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আওয়ামীলীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, লক্ষ্মীপুর জেলার কৃতি সন্তান প্রকৌশলী খোকন চন্দ্র পাল বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশ। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে এবং ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার হতে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে নতুন ভিত্তিবছরের হিসাবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। আমরা সামষ্টিক অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্রামীণ অর্থনীতি এবং কূটনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সড়ক- রেল-নৌ বিমান যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট-প্রযুক্তির অভিজাত দেশের কাতারে যুক্ত হয়েছি। বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বের ৫টি দেশের একটি; উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার জন্য দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে দেশ গঠনের কাজে সহায়তা করি। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল

৫০তম মহান বিজয় দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, প্রকৌশলী খোকন পাল

আপডেট টাইম ১০:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

ভাস্কর মজুমদার (নিজস্ব প্রতিবেদক); ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আহসান উল্লাহ হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আওয়ামীলীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য লক্ষ্মীপুর জেলার কৃতি সন্তান প্রকৌশলী খোকন চন্দ্র পাল এক বাণীতে বলেন, ৫০তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেশবাসীর প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি দীর্ঘ তেইশ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ২ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সেইসব দেশ ও ব্যক্তিবর্গের প্রতি যাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছেন। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের-কে, যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আহসান উল্লাহ হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মেধাবী ছাত্র ইঞ্জিনিয়ার খোকন চন্দ্র পাল বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, বাষট্টি’র শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টি’র ৬-দফা, ঊনসত্তরের ১১-দফা ও গণঅভ্যুত্থ্যানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি। জাতির পিতা অনুধাবন করেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার এবং তাদের দোসর রাজাকার- আলবদর- আলশামস বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেন। আমরা পাই লাল-সবুজের পতাকা।
আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক প্রকৌশলী খোকন চন্দ্র পাল বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী -যুদ্ধাপরাধী চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তারা হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। স্বাধীনতাযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসকে বিকৃত করে, ভূলুণ্ঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রুদ্ধ করে। পরবর্তীকালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার এই ধারা অব্যাহত রাখে।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আওয়ামীলীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, লক্ষ্মীপুর জেলার কৃতি সন্তান প্রকৌশলী খোকন চন্দ্র পাল বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশ। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে এবং ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার হতে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে নতুন ভিত্তিবছরের হিসাবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। আমরা সামষ্টিক অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্রামীণ অর্থনীতি এবং কূটনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সড়ক- রেল-নৌ বিমান যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট-প্রযুক্তির অভিজাত দেশের কাতারে যুক্ত হয়েছি। বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বের ৫টি দেশের একটি; উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার জন্য দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে দেশ গঠনের কাজে সহায়তা করি। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু