ঢাকা ১২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া …

চট্টগ্রাম কারাগারে প্রথম দিন ভ্যাকসিন পেলেন ৮’শ কারাবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রামঃ

৯ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম তদারকি করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।
উদ্বোধনী দিনে ৮’শ কারাবন্দীকে ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কারাগারের ডিআইজি (প্রিজনস) একেএম ফজলুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মোঃ তারিকুল ইসলাম ও কারা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম রেজাসহ সংশ্লিষ্টরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ৭ হাজার ৮’শ কারাবন্দী রয়েছে। তাদেরকে বাদ দিয়ে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারিনা।
সরকারের নির্দেশনায় তাদের প্রত্যেককে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট কার্ডে নাম, ঠিকানা ও পরিবারের মোবাইল নম্বর লিখে প্রথম দিন ৮’শ কারাবন্দীকে ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর মনে আছে তাদের নম্বর ঐ কার্ডে উল্লেখ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল বন্দীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
এটা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ
তিনি বলেন, কারাগারে থেকে যে সকল বন্দী প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে তাদেরকে সেখানে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। আবার যে সকল বন্দী প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নেয়ার পর জামিনে মুক্তি পাবে তারা বাইরে থেকে কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করতে পারবে। বিভিন্ন অপরাধে আসামী হয়ে যারা নতুনভাবে কারাগারে আসবে তাদেরকেও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায়সহ পিছিয়ে থাকা অন্যান্য জনগোষ্ঠীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলেও তারা আমাদের সমাজেরই মানুষ। সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে তারা ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না। তাদেরকে বাদ দিয়ে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারিনা। ইতোপূর্বে তাদেরকে কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। এভাবে পিছিয়ে পড়া সমাজের অন্যান্য জনগোষ্ঠীকেও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা কারাবন্দীদেরকেও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হচ্ছে।
কারাবন্দী নুরুল আলম স্বাস্থ্য বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কারাগারে থাকার কারণে তদিন কোভিড ভ্যাকসিন নিতে পারিনি। স্বাস্থ্য বিভাগের আন্তরিকতায় অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পেরেছি। এতে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী

চট্টগ্রাম কারাগারে প্রথম দিন ভ্যাকসিন পেলেন ৮’শ কারাবন্দী

আপডেট টাইম ০৭:৪২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রামঃ

৯ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম তদারকি করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।
উদ্বোধনী দিনে ৮’শ কারাবন্দীকে ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কারাগারের ডিআইজি (প্রিজনস) একেএম ফজলুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মোঃ তারিকুল ইসলাম ও কারা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম রেজাসহ সংশ্লিষ্টরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ৭ হাজার ৮’শ কারাবন্দী রয়েছে। তাদেরকে বাদ দিয়ে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারিনা।
সরকারের নির্দেশনায় তাদের প্রত্যেককে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট কার্ডে নাম, ঠিকানা ও পরিবারের মোবাইল নম্বর লিখে প্রথম দিন ৮’শ কারাবন্দীকে ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর মনে আছে তাদের নম্বর ঐ কার্ডে উল্লেখ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল বন্দীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
এটা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ
তিনি বলেন, কারাগারে থেকে যে সকল বন্দী প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে তাদেরকে সেখানে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। আবার যে সকল বন্দী প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নেয়ার পর জামিনে মুক্তি পাবে তারা বাইরে থেকে কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করতে পারবে। বিভিন্ন অপরাধে আসামী হয়ে যারা নতুনভাবে কারাগারে আসবে তাদেরকেও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায়সহ পিছিয়ে থাকা অন্যান্য জনগোষ্ঠীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলেও তারা আমাদের সমাজেরই মানুষ। সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে তারা ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না। তাদেরকে বাদ দিয়ে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারিনা। ইতোপূর্বে তাদেরকে কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। এভাবে পিছিয়ে পড়া সমাজের অন্যান্য জনগোষ্ঠীকেও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা কারাবন্দীদেরকেও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হচ্ছে।
কারাবন্দী নুরুল আলম স্বাস্থ্য বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কারাগারে থাকার কারণে তদিন কোভিড ভ্যাকসিন নিতে পারিনি। স্বাস্থ্য বিভাগের আন্তরিকতায় অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পেরেছি। এতে নিজেকে ধন্য মনে করছি।