ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

আনোয়ারায় কৃষকদের মাথায় হাত

আনোয়ারায় কৃষকদের মাথায় হাত

মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনধিঃ

সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলায় গত দুই দিনের বৃষ্টিপাত ও বাতাসে উপজেলার শতশত বিঘা আমন ক্ষেত মাটির সাথে নুয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় আমন চাষিদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আগাম শীতকালীন সবজি ও আলু চাষিরা।শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টি ও বাতাসে উপজেলার প্রায় শতাধিক হেক্টর জমির আমন ধান মাটিতে নুয়ে গেছে। দশ থেকে পনেরো দিন পরে যে ধান কৃষকের গোলায় উঠত কিন্তু হঠাৎ এই বৃষ্টিতে কৃষকের বুক ভরা স্বপ্ন এক নিমেশেই ভঙ্গ হয়ে গেছে। এতে এবার আমন মৌসুমে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

মঙ্গলবার আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ আমান উল্লাহ পাড়া,শোলকটা এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আধা পাকা ধানের গাছ ও সবজি ক্ষেত পানিতে ডুবে আছে। অনেক কৃষক তাঁদের ফসল বাঁচাতে ক্ষেতে জমে থাকা পানির কারণে ধানের শীষ পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় গোছা বেঁধে ধানগাছ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বৈরাগ গ্রামের কৃষক মুসলিম উদ্দীন ও বারখাইন ইউনিয়নের কৃষক আকবর বলেন, আর মাত্র দশ থেকে পনেরো দিন পরই ক্ষেতের ধান পাকতে শুরু হতো। কিন্তু হঠাৎ এই বৃষ্টি ও বাতাসে আমাদের ক্ষেতের ৭০-৮০ শতাংশ জমির আমন ধানের গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে। মুহাম্মদপুর এলাকার কৃষক জসিম উদ্দীন বলেন, কয়েকদিন পরে মাটিতে পরে যাওয়া ধান গাছ গুলোতে পোকার আক্রমণ শুরু হবে। পরে ধানের পরিবর্তে শুধু সুষ্ক চিটা পাওয়া যাবে। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব না।
একই এলাকার কৃষক বেলাল হোসেন বলেন, তিন বিঘা জমিতে আগাম ব্রি ধান লাগিয়েছি। মাঠে ধান পেকে গেছে। দু একদিন পর ঘরে তুলবো। এমন অসময়ের বৃষ্টিতে পাকা ধান শুয়ে পড়েছে। এতে ধান তুলতে পারলেও সেসব ধানের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাবে। এই কৃষক বলেন সার ও কীটনাশক সহ বিঘা প্রতি এবার খরচ হয়েছে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এখন লোকসান হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার মত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, দু’দিনের বৃষ্টিতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

আনোয়ারায় কৃষকদের মাথায় হাত

আপডেট টাইম ১০:১৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

আনোয়ারায় কৃষকদের মাথায় হাত

মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনধিঃ

সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলায় গত দুই দিনের বৃষ্টিপাত ও বাতাসে উপজেলার শতশত বিঘা আমন ক্ষেত মাটির সাথে নুয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় আমন চাষিদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আগাম শীতকালীন সবজি ও আলু চাষিরা।শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টি ও বাতাসে উপজেলার প্রায় শতাধিক হেক্টর জমির আমন ধান মাটিতে নুয়ে গেছে। দশ থেকে পনেরো দিন পরে যে ধান কৃষকের গোলায় উঠত কিন্তু হঠাৎ এই বৃষ্টিতে কৃষকের বুক ভরা স্বপ্ন এক নিমেশেই ভঙ্গ হয়ে গেছে। এতে এবার আমন মৌসুমে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

মঙ্গলবার আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ আমান উল্লাহ পাড়া,শোলকটা এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আধা পাকা ধানের গাছ ও সবজি ক্ষেত পানিতে ডুবে আছে। অনেক কৃষক তাঁদের ফসল বাঁচাতে ক্ষেতে জমে থাকা পানির কারণে ধানের শীষ পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় গোছা বেঁধে ধানগাছ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বৈরাগ গ্রামের কৃষক মুসলিম উদ্দীন ও বারখাইন ইউনিয়নের কৃষক আকবর বলেন, আর মাত্র দশ থেকে পনেরো দিন পরই ক্ষেতের ধান পাকতে শুরু হতো। কিন্তু হঠাৎ এই বৃষ্টি ও বাতাসে আমাদের ক্ষেতের ৭০-৮০ শতাংশ জমির আমন ধানের গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে। মুহাম্মদপুর এলাকার কৃষক জসিম উদ্দীন বলেন, কয়েকদিন পরে মাটিতে পরে যাওয়া ধান গাছ গুলোতে পোকার আক্রমণ শুরু হবে। পরে ধানের পরিবর্তে শুধু সুষ্ক চিটা পাওয়া যাবে। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব না।
একই এলাকার কৃষক বেলাল হোসেন বলেন, তিন বিঘা জমিতে আগাম ব্রি ধান লাগিয়েছি। মাঠে ধান পেকে গেছে। দু একদিন পর ঘরে তুলবো। এমন অসময়ের বৃষ্টিতে পাকা ধান শুয়ে পড়েছে। এতে ধান তুলতে পারলেও সেসব ধানের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাবে। এই কৃষক বলেন সার ও কীটনাশক সহ বিঘা প্রতি এবার খরচ হয়েছে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এখন লোকসান হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার মত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, দু’দিনের বৃষ্টিতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।