ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

কুমিল্লার কাউন্সিলর সোহেল হত্যার প্রধান আসামি শাহআলম বন্দুকযুদ্ধে নিহত

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

বহুল আলোচিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৬০) গুলি করে হত্যার মামলার প্রধান আসামী শাহআলম (২৮) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১.১৫ মিনিটে নগরীর চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ একটি ৭.৬৫ পিস্তল গুলির খোসা ও কার্তুজের খোসা উদ্ধার করেন।

নিহত শাহআলম (২৮) নগরীর সুজানগরের মৃত জানু মিয়া ছেলে। বিষয়টি কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও পুলিশের পরিদর্শক পরিমল দাস নিশ্চিত করেছেন।

জেলা ডিবি পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে জেলা ডিবি পুলিশের একাধিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশ পাল্টা গুলি বর্ষণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী পালিয়ে যায়। গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ আহত অবস্থায় শাহআলম কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে মামলার ৩ নাম্বার আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়া ছেলে মো সাব্বির রহমান(২৮)একই মামলার ৫ নং আসামি নগরীর সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

উল্লেখ্য ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ওই দুইজন। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তারিখ :-০২-১১-২১ ইং

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

কুমিল্লার কাউন্সিলর সোহেল হত্যার প্রধান আসামি শাহআলম বন্দুকযুদ্ধে নিহত

আপডেট টাইম ০১:১৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

বহুল আলোচিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৬০) গুলি করে হত্যার মামলার প্রধান আসামী শাহআলম (২৮) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১.১৫ মিনিটে নগরীর চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ একটি ৭.৬৫ পিস্তল গুলির খোসা ও কার্তুজের খোসা উদ্ধার করেন।

নিহত শাহআলম (২৮) নগরীর সুজানগরের মৃত জানু মিয়া ছেলে। বিষয়টি কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও পুলিশের পরিদর্শক পরিমল দাস নিশ্চিত করেছেন।

জেলা ডিবি পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে জেলা ডিবি পুলিশের একাধিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশ পাল্টা গুলি বর্ষণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী পালিয়ে যায়। গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ আহত অবস্থায় শাহআলম কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে মামলার ৩ নাম্বার আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়া ছেলে মো সাব্বির রহমান(২৮)একই মামলার ৫ নং আসামি নগরীর সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

উল্লেখ্য ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ওই দুইজন। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তারিখ :-০২-১১-২১ ইং