ঢাকা ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

মৎস্যজীবীরা জাল হাতে কাঁদে, জলের আধিপত্য শিক্ষকবৃন্দের

Exif_JPEG_420

আনোয়ার হোসাইন
রংপুর প্রতিনিধি

জাল যার, জলা তার’- এমন নীতির ভিত্তিতে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য দেখা দিয়েছে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের বড় রুহিয়া বিলের ইজারায়। এমন অভিযোগ তুলেছেন ১৬ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার প্রকৃত মৎস্যজীবীর পক্ষে নওশাদ আলী। তারা প্রত্যেকেই সরকারি আইডি প্রাপ্ত মৎস্যজীবী।

প্রকৃত ভূমিহীন অসহায় গরীব জেলেরা ইজারা নিতে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা না করতে পারলেও তাদের কোন দুঃখ ছিলো না,যদি তারা বদ্ধখালের পাশ্ববর্তী জলাশয়ে মাছ ধরে জীবিকা অর্জন সহ বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারতো। এর আগে অন্য পেশায় নামতে হয় নাই কখনো তাদের কেননা তাদের মনোযোগ কলা-কৌশল ছিল একমাত্র মাছ ধরে অতি কষ্টে জীবন যাপন করা। এর থেকে বেশি কিছু চায়ওনা তারা, বিল পাড়ের আশেপাশের অন্তত ১৬ জনের জমিতে মাছ ধরার আশ্বাস তারা অর্জন করে নিয়েছে। আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে তখনি যখন জামাল নামের জনৈক ব্যাক্তি হামলার স্বীকার হয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযোগের তীর ছুড়েছেন ইজারাকৃত বিলের নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যাক্তি হুমায়ুন মাস্টার, হিরু মাস্টার,রতন মিয়া র দিকে। বিলের বাইরের ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমিতে মাছ স্বীকারের স্বীকৃতি স্বরুপ মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মিজানুর রহমানের তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে মৎসজীবীরা দাবী করেন নির্ধারিত বিলের ভূমি মালিকগণ ইজারাদারদের সাথে সমন্বয় করে মাছ চাষ করছে না।এ ব্যাপারে অগ্রসর হয়ে তারা নিজেদের পক্ষে মালিকানাধীন জলাশয়ের অধিকাংশ ব্যাক্তির উৎসাহ পান। ক্ষুধার জালা সয়ে নিয়ে ২ মাস যাবৎ প্রতিকারের আশায় ছুটে চলছেন প্রশাসনের সর্ব স্তরে।

প্রকৃত মৎস্য চাষীদের কাছে জল মহল ইজারা ও জল মহল ইজারা নিশ্চিত করতে না পারলে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়ন কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

জল আছে যেখানে, মাছ চাষ সেখানে’—স্লোগানের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে যদি অমৎস্যজীবীর হাতে নেতৃত্ব চলে যায় এমনটা মনে করেন সচেতন মহল।

ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলেরা বলেন, যাদের কেউ মৎস্যজীবী ছিল না,জাল হাত দিয়ে নেড়ে দেখেনি। জাল কিভাবে ফেলতে হয় তাও জানে না। এখন তারা বড় মৎস্যজীবী বনেগেছেন।

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি কর, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত কর নীতি বাস্তবায়নে চাই ইজারাপ্রাপ্ত সমিতির নেপথ্যে মধ্যস্বত্বভোগী প্রভাবশালী চক্রকে চিহ্নিত করা। নয়তো প্রকৃত জেলেরা নিজ পেশা হারিয়ে অস্তিত্বের সংকটে পড়বে, এ ব্যাপারেও সরকারের সমূচিত ভাবনা থাকতে হবে।

Tag :

আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

মৎস্যজীবীরা জাল হাতে কাঁদে, জলের আধিপত্য শিক্ষকবৃন্দের

আপডেট টাইম ০২:৪৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১

আনোয়ার হোসাইন
রংপুর প্রতিনিধি

জাল যার, জলা তার’- এমন নীতির ভিত্তিতে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য দেখা দিয়েছে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের বড় রুহিয়া বিলের ইজারায়। এমন অভিযোগ তুলেছেন ১৬ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার প্রকৃত মৎস্যজীবীর পক্ষে নওশাদ আলী। তারা প্রত্যেকেই সরকারি আইডি প্রাপ্ত মৎস্যজীবী।

প্রকৃত ভূমিহীন অসহায় গরীব জেলেরা ইজারা নিতে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা না করতে পারলেও তাদের কোন দুঃখ ছিলো না,যদি তারা বদ্ধখালের পাশ্ববর্তী জলাশয়ে মাছ ধরে জীবিকা অর্জন সহ বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারতো। এর আগে অন্য পেশায় নামতে হয় নাই কখনো তাদের কেননা তাদের মনোযোগ কলা-কৌশল ছিল একমাত্র মাছ ধরে অতি কষ্টে জীবন যাপন করা। এর থেকে বেশি কিছু চায়ওনা তারা, বিল পাড়ের আশেপাশের অন্তত ১৬ জনের জমিতে মাছ ধরার আশ্বাস তারা অর্জন করে নিয়েছে। আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে তখনি যখন জামাল নামের জনৈক ব্যাক্তি হামলার স্বীকার হয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযোগের তীর ছুড়েছেন ইজারাকৃত বিলের নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যাক্তি হুমায়ুন মাস্টার, হিরু মাস্টার,রতন মিয়া র দিকে। বিলের বাইরের ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমিতে মাছ স্বীকারের স্বীকৃতি স্বরুপ মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মিজানুর রহমানের তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে মৎসজীবীরা দাবী করেন নির্ধারিত বিলের ভূমি মালিকগণ ইজারাদারদের সাথে সমন্বয় করে মাছ চাষ করছে না।এ ব্যাপারে অগ্রসর হয়ে তারা নিজেদের পক্ষে মালিকানাধীন জলাশয়ের অধিকাংশ ব্যাক্তির উৎসাহ পান। ক্ষুধার জালা সয়ে নিয়ে ২ মাস যাবৎ প্রতিকারের আশায় ছুটে চলছেন প্রশাসনের সর্ব স্তরে।

প্রকৃত মৎস্য চাষীদের কাছে জল মহল ইজারা ও জল মহল ইজারা নিশ্চিত করতে না পারলে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়ন কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

জল আছে যেখানে, মাছ চাষ সেখানে’—স্লোগানের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে যদি অমৎস্যজীবীর হাতে নেতৃত্ব চলে যায় এমনটা মনে করেন সচেতন মহল।

ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলেরা বলেন, যাদের কেউ মৎস্যজীবী ছিল না,জাল হাত দিয়ে নেড়ে দেখেনি। জাল কিভাবে ফেলতে হয় তাও জানে না। এখন তারা বড় মৎস্যজীবী বনেগেছেন।

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি কর, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত কর নীতি বাস্তবায়নে চাই ইজারাপ্রাপ্ত সমিতির নেপথ্যে মধ্যস্বত্বভোগী প্রভাবশালী চক্রকে চিহ্নিত করা। নয়তো প্রকৃত জেলেরা নিজ পেশা হারিয়ে অস্তিত্বের সংকটে পড়বে, এ ব্যাপারেও সরকারের সমূচিত ভাবনা থাকতে হবে।