ভেড়ামারা উপজেলা সংবাদদাতা মোঃ চমন গাজী

ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি ও অত্র ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে নির্বাচনী মত বিনিময়কালে বলেছেন, আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার সুযোগ দিন। এলাকার শান্তি ও উন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতির কারনে আপনারা আমাকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করেছিলেন, বিগত ৫বছরে আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতির কতটুকু পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি, তা বিচারের ভার আপনাদের।
আমি পুনরায় নির্বাচিত হলে, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সমবন্টন করবো। আমার ইউনিয়নে আমার জানার পরও যদি কোন ব্যক্তি যদি ১ রাত যদি অনাহারে থাকে তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবো। আমার ইউনিয়নে কোন অসহায় মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবেনা।আমার সম্মানী ভাতা গরীব অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে থাকি এবং থাকবো।

আমি পরিবর্তনশীল তাই আমাকে নিরপেক্ষ হতে হবে। মাদক মুক্ত কোলাহল মুক্ত হবে আমার প্রাণের ইউনিয়ন। আমার কাছে দল বড় নয় আমি নিরপেক্ষ। তাই জনগণের ভাল মন্দ দেখায় আমার মূখ্য ভূমিকা হয়েছে এবং হবে। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ হবে জনগণের সংসদ।
তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ ছিল না আমি সেটারও ব্যবস্থা করেছি, আমার ইউনিয়নে বর্তমানে কোন মাটির রাস্তা নেই, নেই জলবদ্ধতা, পথযাত্রী এবং এলাকার জনসাধারণের বসার জন্য ৬৮ টা টাইলস বেঞ্চ, গাছের গোড়া টাইলসসহ ইউনিয়ন পরিষদের সীমানা পয়েন্ট স্বাগতম ফলক ও নির্ধারণ করেছি, এলাকায় সন্রাস, চুরি ডাকাতি,,, নিরসনে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।

গায়ের জোর দিয়ে সবকিছু হয়নি, লাগে জনগণের ভালবাসা। আমি ইউনিয়ন বাসীর সবার ভালবাসায় সিক্ত। তাদের ভালবাসা আমাকে এইসব করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা প্রশ্ন করেন নির্বাচনী মাঠে কোন চাপ আসলে আপনি কি করবেন? সভাপতির প্রশ্নের উত্তরে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন বলেন, নির্বাচনী মাঠে কোন চাপ আসলে প্রতিহত করা হবে। বিন্দু মাত্র ছাড় দেয়া হবেনা।
তিনি আরো বলেন, আমি শাসক নয় আপনাদের একজন নগণ্য সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চেষ্টা করেছি এবং বাকী জীবন টা সেবক হিসাবে থাকতে চাই। রাজনীতি, চাপ আর প্রলোভনের উর্দ্ধে থেকে সততা ও নিরপেক্ষতার সাথে আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি এবং করবো ইনশাআল্লাহ।
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ অনেক বেশি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে চলেছে। এখানে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আর কোনো সেবামূলক কাজে জনগণকে পকেটের পয়সা খরচ করতে হয় না, হয়রানি হতে হয় না। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন বিবাদ ও হানাহানি বন্ধ হওয়ায় এলাকাবাসী শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বিগত ৫বছরে এই ইউনিয়নের কেউই অভুক্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করেনি, টাকার অভাবেও কেউ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়নি, আগামীতেও হবে না। আমি আমার সামর্থের মধ্যে অতীতের মতো আগামীতেও আপনাদের পাশে থাকবো। এলাকার মাটি আর মানুষের সাথে আমার যে আত্মিক বন্ধন তৈরি হয়েছে, কোনো অপশক্তি ও বর্ণচোরা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সেই বন্ধন ছিন্ন করতে পারবে না। গতবারের মতো আসন্ন নির্বাচনেও আপনারা ভ্যানগার্ড হিসেবে আমার পাশে থাকলে দলবাজ ও ক্ষমতাবাজরা আবার পরাভূত হবে।