ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির সিনিয়র তিন নেতা

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   দলের মনোনয়ন পেয়েও আকস্মিকভাবেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ তিন নেতা। তারা হলেন: দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

তারা প্রত্যেকেই নির্বাচন না করার যুক্তি হিসেবে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা বললেও কার্যত ভিন্ন কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতারা। নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত আসন জটিলতার কারণেই তিন নেতা নির্বাচন করছেন না।

বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতার ভাষ্য, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে দলের হাইকমান্ড থেকে। জেল থেকে খালেদা জিয়ার পরিষ্কার বার্তা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিএনপি।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে বিএনপির তিনজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি দলের ভেতরে ও বাইরে আলোচনা তৈরি করে। পরে নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত আসন জটিলতার কারণেই তিন নেতার প্রস্থান। যদিও তারা প্রকাশ্যে বলছেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নির্বাচনের বাইরে রেখে তারা নির্বাচন করবেন না। সেক্ষেত্রে তৃণমূলে ভুলবার্তা যেতে পারে, এমন শঙ্কা রয়েছে নেতাদের। অন্যদিকে হাইকমান্ডের নির্দেশনাও অমান্য করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, তারা কী কারণ বলছেন, জানি না। তবে বিএনপি নির্বাচনে গেছে কারাবন্দি চেয়ারপারসন ও লন্ডনে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সরাসরি নির্দেশনায়। এক্ষেত্রে তাদের বাইরে রেখে নির্বাচনে না যাওয়ার বক্তব্য এসে থাকলে তা সত্য নয়।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টাদের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বরিশাল-৫ (সদর) আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দল থেকে তাকে বরিশাল-২ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এই কারণে তিনি মনক্ষুণ্ন হন।

ঢাকা ৮ থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন হাবিবুন নবী খান সোহেল। কিন্তু তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল ঢাকা-৯ আসন থেকে। আর ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে। হয়তো এই কারণে তিনি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচনের আগে তার মুক্তি পাওয়া নিয়েও সন্দেহ আছে।

আরেকটি সূত্র জানায়, আবদুল আউয়াল মিন্টু বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য। আর সারাদেশে ২৩০ থেকে ২৪০টি আসনে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচন করবে, সেখানে তাদের যে টাকা-পয়সার খরচ হবে তার দেখভাল করতে হবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে। এই কারণে আবদুল আউয়াল মিন্টু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্রের দাবি, একটি প্রভাবশালী মহল আবদুল আউয়াল মিন্টুকে নির্বাচন করতে নিষেধ করেছে। যদিও আরেকটি সূত্রের ভাষ্য, মিন্টু ঋণখেলাপি হয়ে থাকতে পারেন। যদিও এ তথ্যের যাচাই করা সম্ভব হয়নি। যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যের ভাষ্য, আবদুল আউয়াল মিন্টু ঋণখেলাপি হয়ে থাকতে পারেন। সে কারণেই হয়তো সরে দাঁড়িয়েছেন। এ বিষয়ে আবদুল মিন্টুকে অসংখ্যবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেছেন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রথমে চেয়েছিলেন মোহাম্মদপুরের আসনটি। পরে বরিশাল সদর চান। সেখানে দেওয়া যাচ্ছে না, কারণ সেখানে মজিবুর রহমান সরোয়ার আছেন। তাকে বাদ দেওয়া যাবে না। ঢাকার মোহাম্মদপুরের আসনে তাকে প্রার্থী করা হলে তিনি বিজয়ী হতেন। আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনী থেকে করার কথা থাকলেও সে করেনি কেন বলা যাচ্ছে না। তবে সোহেলের আসন নিয়ে গোলমাল আছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির সিনিয়র তিন নেতা

আপডেট টাইম ০৪:১৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   দলের মনোনয়ন পেয়েও আকস্মিকভাবেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ তিন নেতা। তারা হলেন: দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

তারা প্রত্যেকেই নির্বাচন না করার যুক্তি হিসেবে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা বললেও কার্যত ভিন্ন কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতারা। নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত আসন জটিলতার কারণেই তিন নেতা নির্বাচন করছেন না।

বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতার ভাষ্য, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে দলের হাইকমান্ড থেকে। জেল থেকে খালেদা জিয়ার পরিষ্কার বার্তা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিএনপি।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে বিএনপির তিনজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি দলের ভেতরে ও বাইরে আলোচনা তৈরি করে। পরে নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত আসন জটিলতার কারণেই তিন নেতার প্রস্থান। যদিও তারা প্রকাশ্যে বলছেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নির্বাচনের বাইরে রেখে তারা নির্বাচন করবেন না। সেক্ষেত্রে তৃণমূলে ভুলবার্তা যেতে পারে, এমন শঙ্কা রয়েছে নেতাদের। অন্যদিকে হাইকমান্ডের নির্দেশনাও অমান্য করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, তারা কী কারণ বলছেন, জানি না। তবে বিএনপি নির্বাচনে গেছে কারাবন্দি চেয়ারপারসন ও লন্ডনে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সরাসরি নির্দেশনায়। এক্ষেত্রে তাদের বাইরে রেখে নির্বাচনে না যাওয়ার বক্তব্য এসে থাকলে তা সত্য নয়।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টাদের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বরিশাল-৫ (সদর) আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দল থেকে তাকে বরিশাল-২ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এই কারণে তিনি মনক্ষুণ্ন হন।

ঢাকা ৮ থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন হাবিবুন নবী খান সোহেল। কিন্তু তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল ঢাকা-৯ আসন থেকে। আর ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে। হয়তো এই কারণে তিনি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচনের আগে তার মুক্তি পাওয়া নিয়েও সন্দেহ আছে।

আরেকটি সূত্র জানায়, আবদুল আউয়াল মিন্টু বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য। আর সারাদেশে ২৩০ থেকে ২৪০টি আসনে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচন করবে, সেখানে তাদের যে টাকা-পয়সার খরচ হবে তার দেখভাল করতে হবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে। এই কারণে আবদুল আউয়াল মিন্টু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্রের দাবি, একটি প্রভাবশালী মহল আবদুল আউয়াল মিন্টুকে নির্বাচন করতে নিষেধ করেছে। যদিও আরেকটি সূত্রের ভাষ্য, মিন্টু ঋণখেলাপি হয়ে থাকতে পারেন। যদিও এ তথ্যের যাচাই করা সম্ভব হয়নি। যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যের ভাষ্য, আবদুল আউয়াল মিন্টু ঋণখেলাপি হয়ে থাকতে পারেন। সে কারণেই হয়তো সরে দাঁড়িয়েছেন। এ বিষয়ে আবদুল মিন্টুকে অসংখ্যবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেছেন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রথমে চেয়েছিলেন মোহাম্মদপুরের আসনটি। পরে বরিশাল সদর চান। সেখানে দেওয়া যাচ্ছে না, কারণ সেখানে মজিবুর রহমান সরোয়ার আছেন। তাকে বাদ দেওয়া যাবে না। ঢাকার মোহাম্মদপুরের আসনে তাকে প্রার্থী করা হলে তিনি বিজয়ী হতেন। আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনী থেকে করার কথা থাকলেও সে করেনি কেন বলা যাচ্ছে না। তবে সোহেলের আসন নিয়ে গোলমাল আছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।