মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : ইউরোপীয় পার্লামেন্ট (ইপি) বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না বলে জানিয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ডেমোক্রেসি সাপোর্ট ও ইলেকশন কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের কো-চেয়ারদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউরোপীয় পার্লামেন্ট আসন্ন নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবে না এবং ভোটের ফল ঘোষণার পর কোনো মন্তব্যও করবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনও বাংলাদেশে যাবে না।
ইপির দুই সদস্য ডেভিড ম্যাকঅ্যালিস্টার ও লিন্ডা ম্যাকআভান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইইউ পার্লামেন্টের কোনো সদস্যকে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য করতে দায়িত্বও দেয়া হয়নি। এ নিয়ে কোনো সদস্যের বক্তব্য ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব করবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষন করবে না। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নও বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাবে না।
গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা সফর শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দলের সদস্য ব্রিটেনের এমপি রুপার্ট ম্যাথুস বলেছিলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য যথেষ্ঠ গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে সহিংসতার আশঙ্কা নেই। এ কারণে এবারের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না ইইউ। রুপার্ট ম্যাথুসের এ মন্তব্য গত ১৫ নভেম্বর ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিতর্ক শেষে নেয়া প্রস্তাবে সাথে সাংঘর্ষিক।
প্রস্তাবে বাংলাদেশের অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। পার্লামেন্ট বিশেষ করে সংবাদমাধ্যম, শিক্ষার্থী, মানবাধিকারকর্মী ও বিরোধী রাজনীতিকদের ওপর দমন-পীড়নের কঠোর সমালোচনাও করা হয়েছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছতার সাথে হবে বলে আশা প্রকাশ করে সব রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা ও উসকানির পথ পরিহারের আহ্বান জানানো হয়।