(বেতাগী বরগুনা প্রতিনিধিঃ)
বিষখালী নদীতে ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার কচুয়া টু বেতাগী স্থানে ফেরি চালু করনের জন্য সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে গতকালকের মিটিংয়ে নিতিগত অনুমোদন হয়েছে । আরএইচডির কাছে ফেরি চালানোর জন্য জনবল সংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছে কমিটি এ তথ্য পেলেই চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপসচিব ফাহমিদা হক খান ফাইল তুলবে এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সচিব ও মন্ত্রী ফাইল অনুমোদন করবেন ।

সওজ হেড কোয়ার্টার থেকে জানা যায় , সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস গত ছাব্বিশ আগস্ট বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক বরাবরে পত্র প্রেরন করে নদীর হাইড্রোগ্রাফি প্রতিবেদন চেয়ে ।২০১৬ সাল থেকে সওজ পত্র দিলেও কোন রিপোর্ট সওজ পায়নি।বিষয়টি প্রাথমিক ও গনশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব আতিকুর রহমান রুবেল জানার পর পরই বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেকের নিকট গিয়ে নদীর ম্যাপ খরচ নিজে দিয়ে এক সেপ্টেম্বর বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক শামছুন্নাহার স্বাক্ষরিত পএ সড়ক পরিবহন অধিদপ্তরে পৌছে দেন ।

এবং সওজ হেড কোয়ার্টার থেকে চীফ ইজ্ঞিনিয়ার আব্দুস সবুর স্বাক্ষরিত পত্র ছয় সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে । এ পত্রের আলোকে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে উপসচিব ফামিদা হক খান ফাইল তুলছেন সে আলোকে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মালেক এর সভাপতিত্বে গতকাল বুধবার মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।চব্বিশ বছর পূর্ব থেকে ফেরির দাবি ছিল সংশ্লিস্ট এলাকার জনগনের।এ ফেরির বিষয়টি গত পঁচিশ বছরেও মন্ত্রণালয়ে মিটিং পর্যায়ে কেউ নিতে পারেনি।সম্প্রতি কাঠালিয়া – রাজাপুর আসনের সংসদ সদস্য বিএইচ হারুন এর সহযোগিতা নিয়ে আতিকুর রহমান রুবেল বিষখালী নদীর কচুয়া টু বেতাগী স্থানে ফেরি স্থাপনের জন্য ফাইল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিয়েছেন । এ সংবাদ কচুয়া বেতাগী এলাকায় পৌছলে জনগনের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।ঝালকাঠি জেলা পরিষদ সদস্য ও কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আমিরুল ইসলাম লিটন বলেন , কচুয়া টু বেতাগী স্থানে ফেরি স্থাপনের দাবি ও আন্দোলন বাইশ বছর আগ থেকে করে আসছি।দীর্ঘ বছর পরে আমরা আনন্দের সংবাদ পেয়েছি গনশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এপিএস আতিকুর রহমানের মাধ্যমে তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাই ।