মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
গ্রাম-বাংলার চিরচেনা সৌন্দর্যের প্রতীক হচ্ছে সারি সারি তাল গাছ ও নারিকেল গাছ। আদিকাল থেকেই আকাশ ছুঁই ছুঁই এমন গাছে বাসা বাধে বাবুই পাখি। এইতো এক দশক আগেও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা পাওয়া যেতো ঝাকে ঝাকে বাবুই পাখির বাসা।
তবে এখন বাবুই পাখির দেখা পাওয়া দুষ্কর। সময়ের সাথে সাথে বাবুই পাখির প্রধান বসবাস কেন্দ্র তাল গাছ যেমন কমছে তেমনি বাবুই পাখি কমে আসছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাগরপুরে প্রায় তিন প্রজাতির বাবুই পাখি বসবাস ; বাংলা বাবুই, দাগি বাবুই ও দেশী বাবুই। উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বিষমপুর গ্রামে খোজ নিয়ে দেখা মিলে গুটি কয়েক বাবুই পাখির বাসা। বাবুই পাখি সম্পর্কে বাড়ির মালিক আফজাল হোসেন বলেন, প্রতি বছর অনেক বাবুই পাখি এখানে বাসা বাধে। আমরা ব্যাপক উপভোগ করি বাবুই পাখির বাসস্থানের এমন দৃশ্য। আমাদের গ্রামে অনেক জায়গায় এমন বাবুই পাখি দেখা যেতো তবে তাল গাছ, নারিকেল গাছ কেটে ফেলায় এখন তেমন দেখা যায় না।
নাগরপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান (ফরেস্টার) বলেন, বাবুই পাখি সাধারণত তাল গাছেই তাদের বাসস্থান বানিয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বাসস্থান সংকট ও প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে পুরো উপজেলায় এই জনপ্রিয় বাবুই পাখি আজ বিলুপ্তির পথে।
এক সময় ছিলো পাখি বাসা বানাবে বিধায় অনেকেই গাছ কাটা থেকে বিরত থাকতো। ফলে এক প্রকার অভয়ারণ্য বসবাস করতো সব ধরণের পাখি। বর্তমানে অবাধে গাছ কাটা সহ বনভূমি ধংস হওয়ায় দেশীয় সকল প্রজাতির পাখি প্রায় বিলুপ্তির পথে।