ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

মাধবপুরে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ।

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের চাষি কদর আলী, শফিক মিয়া, ইমান আলী, করিম হোসেন, আব্দুল মজিদ সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় চাষিরা জানান, চৌমুহনী ইউনিয়ন সারের ডিলার ও অন্যান্য সারের দোকান গুলোতে সরকারি নির্ধারিত দামের বাইরে টিএসপি, ইউরিয়া, এমওপি, ডিএপি র প্রতিকেজি সারে ৩ থেকে ৮ টাকা হারে বেশি দাম নিচ্ছেন।

কমলা নগর গ্রামের কৃষক মো হান্নান বলেন, শনিবারে তিনি ইউনিয়ন সারের ডিলার লালা ট্রেডার্স থেকে ইউরিয়া প্রতি কেজি সার ১৬ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা ও টিএসপি ২২ টাকার পরিবর্তে ২৮ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। চাষিদের অভিযোগ, ডিলার সহ সারের দোকানগুলোতে সার পর্যাপ্ত থাকলেও বিক্রেতারা সারের সংকট দেখিয়ে দাম বেশি রাখছেন। এতে তাদের উৎপাদন খরচ বহুগুন বেড়ে যাচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা মতো সার ক্রয় করতে পারছেন না তারা। ফলে জমিতে সারের ঘাটতির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হবার আশংকা রয়েছে। সরজমিনে গত রবিবার উপজেলার চৌমুহনী, ধর্মঘর, বহরা, শাহজাহানপুর সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ঘুরে কৃষক ও সার বিক্রেতার সাথে আলাপ করে বেশি দামে সার বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে।

চৌমুহনী ইউনিয়ন সারের ডিলার এর সত্বাধিকারী সারের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খুচরা পর্যায়ে সার দোকানিরা বেশি দামে সার বিক্রি করার কথা শুনেছি তবে আমার এখানে সরকারি রেটেই সার বিক্রি হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাব ডিলারদের কাছে দোকানের মেম্যুর মাধ্যমে সার দেওয়া হলেও খুচরা পর্যায়ে সারের ক্রেতাদের কোনো মেম্যু দেওয়া হয় না।

চৌমুহনী এর উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ জাহিদুল হোসাইন বেশি দামে সার বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, আসন্ন রবি মৌসুমে এ অঞ্চলে সারের চাহিদা বেশি থাকে সে তুলনায় সারের কিছুটা সংকট রয়েছে। সে সুযোগে খুচরা সার বিক্রেতারা দাম কিছু বেশি রাখছেন বলে শুনেছি। তবে ডিলার সহ সার বিক্রেতাদের সরকারি মূল্যে সার বিক্রি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।

মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান এর সাথে মোবাইল ফোনে সার সংকট ও বেশি দামে সার বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারের সংকট থাকার কথা নয়, মাঠপর্যায়ে আমাদের উপসহকারি কৃষিকর্মকর্তারা বিষয়টি মনিটরিং করছে। কারো বিরুদ্ধে যদি বেশি দামে সার বিক্রির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ সহ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযাযী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

মাধবপুরে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ।

আপডেট টাইম ০৯:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের চাষি কদর আলী, শফিক মিয়া, ইমান আলী, করিম হোসেন, আব্দুল মজিদ সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় চাষিরা জানান, চৌমুহনী ইউনিয়ন সারের ডিলার ও অন্যান্য সারের দোকান গুলোতে সরকারি নির্ধারিত দামের বাইরে টিএসপি, ইউরিয়া, এমওপি, ডিএপি র প্রতিকেজি সারে ৩ থেকে ৮ টাকা হারে বেশি দাম নিচ্ছেন।

কমলা নগর গ্রামের কৃষক মো হান্নান বলেন, শনিবারে তিনি ইউনিয়ন সারের ডিলার লালা ট্রেডার্স থেকে ইউরিয়া প্রতি কেজি সার ১৬ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা ও টিএসপি ২২ টাকার পরিবর্তে ২৮ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। চাষিদের অভিযোগ, ডিলার সহ সারের দোকানগুলোতে সার পর্যাপ্ত থাকলেও বিক্রেতারা সারের সংকট দেখিয়ে দাম বেশি রাখছেন। এতে তাদের উৎপাদন খরচ বহুগুন বেড়ে যাচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা মতো সার ক্রয় করতে পারছেন না তারা। ফলে জমিতে সারের ঘাটতির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হবার আশংকা রয়েছে। সরজমিনে গত রবিবার উপজেলার চৌমুহনী, ধর্মঘর, বহরা, শাহজাহানপুর সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ঘুরে কৃষক ও সার বিক্রেতার সাথে আলাপ করে বেশি দামে সার বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে।

চৌমুহনী ইউনিয়ন সারের ডিলার এর সত্বাধিকারী সারের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খুচরা পর্যায়ে সার দোকানিরা বেশি দামে সার বিক্রি করার কথা শুনেছি তবে আমার এখানে সরকারি রেটেই সার বিক্রি হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাব ডিলারদের কাছে দোকানের মেম্যুর মাধ্যমে সার দেওয়া হলেও খুচরা পর্যায়ে সারের ক্রেতাদের কোনো মেম্যু দেওয়া হয় না।

চৌমুহনী এর উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ জাহিদুল হোসাইন বেশি দামে সার বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, আসন্ন রবি মৌসুমে এ অঞ্চলে সারের চাহিদা বেশি থাকে সে তুলনায় সারের কিছুটা সংকট রয়েছে। সে সুযোগে খুচরা সার বিক্রেতারা দাম কিছু বেশি রাখছেন বলে শুনেছি। তবে ডিলার সহ সার বিক্রেতাদের সরকারি মূল্যে সার বিক্রি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।

মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান এর সাথে মোবাইল ফোনে সার সংকট ও বেশি দামে সার বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারের সংকট থাকার কথা নয়, মাঠপর্যায়ে আমাদের উপসহকারি কৃষিকর্মকর্তারা বিষয়টি মনিটরিং করছে। কারো বিরুদ্ধে যদি বেশি দামে সার বিক্রির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ সহ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযাযী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।