নুর আলম, শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের খানকান্দি গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে নূর হোসেন খান (৬২) নামের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার প্রভাবশালী তাজুল ইসলাম সেলিম খান (৫০) এর বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর আহত বৃদ্ধের পরিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করে, উক্ত মামলায় জামিনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে সেলিম খানের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। বর্তমানে বৃদ্ধ নুর হোসেন খান ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও মাতৃভূমির খবরকে জানান।
ভুক্তভোগী পরিবার ও থানার এজাহার সূত্রে জানা গেছে জয়নগর ইউনিয়নের খানকান্দি এলাকার নূর হোসেন (৬২) এর সাথে একই এলাকার তাজুল ইসলাম সেলিম খাঁ (৫০) গং দের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। উক্ত বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে নূর হোসেন গংরা শরীয়তপুর চিকন্দী সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৬৬৭/ ২০২১। উক্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাজুল ইসলাম সেলিম গংরা নুরুল হোসেন ও তার পরিবারের উপর মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রাণনাশ সহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিলো।
হুমকির কারণে নুরু হোসেন খান শরীয়তপুর ম্যাজিস্ট্রেট কোট বরাবর আরও একটি মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর ১৮৪/২১।
এরপর সেলিম খান গ্রুপ মামলা তুলে নিতে আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করে। পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি ও মাঝেমধ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
তবুও মামলা উঠিয়ে না নেয়ায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে বৃদ্ধ নূর হোসেনকে একা পেয়ে তাজুল ইসলাম সেলিম সহ প্রায় ১০-১৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বৃদ্ধ নূর হোসেনের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে মারাত্মক জখম হন নুর হোসেন। এসময় সেলিম খান ও তার দলের লোকজন নুর হোসেন খানের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ছোট ভাই আলী হোসেন খান বাদী হয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তাজুল ইসলাম সেলিম খান সহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় জামিনে এসে আবারও ভুক্তভোগী পরিবারটিকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে জাজিরা থানায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর আহত নুর হোসেন খানের ছেলে সোহেল খান ৪জনের নাম উল্লেখ করে একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরী) করেন। জিডি নাম্বার ১২৯৭।
এই বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান এর কাছে মুঠোফোনে কল করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।