ফরিদপুর প্রতিনিধি : ছোট্ট শিশু নাম আরিয়ান। আগুনে পুড়ে ঝলসে গেছে তার পাঁ। ঝলসানো স্থানে তীব্র যন্ত্রণায় ছটফটানিতে পরিবারের সদস্যদের মাঝে এক নিদারুন চাপা কষ্ট বিরাজ করছে। ভালোবাসার এই পৃথিবীতে ভালোবাসার মানুষের জন্যে আমরা কত কিছুই না করতে পারি। কিন্তু সে ভালবাসা আর মায়া মমতা কি এই ছোট্ট আরিয়ানের প্রতি কোন সহৃদয় মানুষের দেখা মিলবে না। সমাজের বিত্তবান সকলের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারিনা একটি অসহায় পরিবারের জন্যে। আরিয়ান সুস্থ হয়ে উঠলে বেঁচে যাবে একটি পরিবার। হেঁসে খেলে বেড়াতে পারবে সবার মাঝে। ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সালথা ইউনিয়নের নটখোলা গ্রামের কৃষক হত দরিদ্র আজগর শেখের শিশু পুত্র আরিয়ান (২)। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রান্নার চুলার ভিতরে পা ডুকে গিয়ে আগুনে পুড়ে বা পাঁ পুরো অংশই ঝলসে যায় আরিয়ানের। অসহায় পিতা, মাতা ছোট ছেলের চিকিৎসার্থে আত্মীয় স্বজন ও গ্রামবাসীর সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে সে সময় চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। কিন্তু তেমন পরিবর্তন না হওয়ায় টাকা না থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শেও ভালো কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ভর্তি করাতে পারে নাই। অসহায় পরিবার খরচ যোগাতে না পেরে সেখান থেকে বাড়ীতে ফেরত নিয়ে আসেন আরিয়ানের দরিদ্র পিতা মাতা। আরিয়ানের পিতা বলেন, সারাদিন কৃষি কাজ করে রোজগার হয় ৩০০/৪০০ টাকা। সংসারে আরিয়ান ছাড়াও স্ত্রী দিয়ে আরও একটি কন্যা রয়েছে। সব মিলিয়ে সংসার চালাতেই নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা। সেখানে আগুনে পুড়া সন্তানের চিকিৎসা তার পক্ষে খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আত্মীয় স্বজন, গ্রামবাসী ও নিজের কষ্টার্জিত টাকায় চিকিৎসা সেবা চালিয়েছে। আর তো সম্ভবপর হচ্ছেনা। এমতাবস্থায় চিকিৎসা সেবা চালাতে সমাজের বিত্তবানসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন তার পরিবার। যাতে তার ছেলে সন্তান আরিয়ান সুস্থ হয়ে আরও দশটি শিশুর মত হেঁসে খেলে বেড়াতে পারে। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা মোবাইল নং- ০১৯২১০৮১৪৯৭ (বিকাশ পার্সোনাল)।
জসীম মিয়া,
ফরিদপুর