আমজাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ।
————————————————————-
লক্ষ্মীপুরে স্বামীর দেয়া তালাক সহ্য করতে না পেরে সাবিনা ইয়াসমিন (২৭) তার নিজ ছেলে আয়ান রহমান (৪),কে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে মা সাবিনা ইয়াসমিন নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করার কবর পাওয়া গেছে । ঘটনাটি ঘটেছে গত- ( ২৭ সেপ্টেম্বর) সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৫নং লাহারকান্দি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড লাহারকান্দি গ্রামের হাফিজ খাঁ’র বাড়িতে । জানা যায়, সাবিনা ইয়াসমিন একই উপজেলার ১৯নং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের তেওয়ারীগঞ্জ গ্রামের সৌদি প্রবাসী আজগর রহমানের স্ত্রী, শিশু আয়ানকে নিয়ে তিনি লাহারকান্দি গ্রামের হাফিজ খাঁ’র বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছেন । সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সংসারে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক কলহ শুরু হয় । সর্বশেষ গত- (২৬ সেপ্টেম্বর) রোববার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয় । একপর্যায়ে প্রতিদিনের মতো আয়ানকে নিয়ে তিনি নিজ কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন ৷ কিছুক্ষণ পর ওই কক্ষ থেকে বিকট শব্দ ভেসে আসলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা চিৎকার শুনে দ্রুত দরজা ভেঙ্গে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন সাবিনা ইয়াসমিন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন, তার শরীরে রক্ত মাখা দেখে সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক খাটের ওপরে তাকালে তার ছেলে আয়ান রহমানের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান, তার পাশেই রক্তমাখা সে ধারালো বটিও দেখতে পান । পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে সাবিনা ইয়াসমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় । এদিকে সাবিনার শশুর হুমায়ুন কবির ও দেবর আবির বলেন, সাবিনার স্বামী আজগর সৌদিতে রয়েছে । সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তাদের ঝগড়া হয় ৷ এ ঝগড়ার কারণে আয়ান রহমানের মা সাবিনা অনেক বেশি রাগান্বিত ছিল । আমরা তাকে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি শান্ত হননি!
অন্যদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মহব্বত আলী জানান, সাবিনাসহ পরিবারের সদস্যের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারছি যে, স্বামী আজগর তাকে ‘তালাক’ দিয়েছেন বলে তিনি ছেলেকে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করতে চেয়েছেন । এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন বলেন, শিশু হত্যার ঘটনায় গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিনকে আটক করা হয়েছে, এবং, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।