ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার দুমকী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলা বাকেরগঞ্জের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এমপির কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করছেন একটি কুচক্রী মহল।। “ভাইয়া গ্রুপ প্রথম বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন,আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টের শেয়ার বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছেন” “এনএফএস’র নতুন কমিটি গঠন সভাপতি রাহাত, সম্পাদক হাসান” গজারিয়ায় তিতাসের অভিযান পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন চুরি প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো।

মাধবপুরে ২৪ টি পরিবারকে তিন দিনের মধ্যে বসতবাড়ি ছাড়তে রেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নের ব্যাঙ্গাডোবা গ্রামের ভুমিহীন ২৪ টি পরিবার কে ৩ দিনের মধ্যে সবভিটা সরিয়ে নিতে রেল কতৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছেন। এ নির্দেশ পাওয়ার পর ভুমিহীন ২৪ টি পরিবারে নেমে এসেছে হতাশা। বিকল্প কোন থাকার জায়গা নেই তাদের। ছেলে মেয়ে নিয়ে গাছ তলায় থাকতে হবে বলে পরিবার গুলো জানিয়েছেন তারা প্রধানমন্ত্রীর সু দৃস্টি কামনা করছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিটক একটি লিখিত আবেদন করেছেন। লিখিত আবেদনে জানা যায়,নোয়াপাড়া রেলওয়ে ষ্টেশনের উত্তর পাশে অবস্থিত রেলওয়ে লাইনের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে রেলওয়ের অব্যবহৃত জমিতে ৪০ বছর যাবত ব্যাঙ্গাডোবা গ্রামের ২৪ টি পরিবার বসবাস করছে। রেলওয়ে ষ্টেশনের ১ টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্টেশনের চারদিকে সীমানা প্রাচীর ণির্মান করা হচ্ছে।

২৪ টি পরিবারের ঘর সীমানা প্রাচিরের মধ্যে অবস্থিত। সিমানা প্রাচীর নির্মানের ফলে তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। রাস্তা না রেখে সিমানা প্রাচীর নির্মান করা হলে ওই এলাকায় বসবাসরত লোকদের চলাচলের কোন রাস্তা থাকবে না। মৃত দেহ দাফন ও লোকজনদের চলাচলের সুবিধার্থে গত ১১ আগষ্ট স্থানীয় লোকজন মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার মাধ্যমে রেল মন্ত্রী বরাবর একটি দরখাস্ত করেন। গত ১৪ আগষ্ট এলাকাবাসী রাস্তার রাখার দাবিতে একটি মানববন্ধন করে। গত ১৫ আগষ্ট মাধবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন এলাকাটি সরজমিনে পরিদর্শন করেন। গত ২৬ আগষ্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্রগ্রাম সিআরবি চীপ ইঞ্জিনিয়ার এলাকাটি পরিদর্শনে আসলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বাক্ষাত করে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে ও চলাচলের জন্য ২ টি পকেট গেইট রাখার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একটি আবেদন করেন।

কিন্তু হঠাত করে গত ৮ সেপ্টেম্বর উপ-সহকারী প্রকৌশলী / কার্য্য বাংলাদেশ রেলওয়ে শায়েস্তাগঞ্জ এর স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে তিন দিনের মধ্যে বসত ভিটা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্যাঙ্গাডোবা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফায়েজ মিয়া জানান, আমাদের সবতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হলে মাথা গুজার কোন ঠাই হবে না। আমাদের সন্তানদের পড়ালেখা করতে বিদ্যালয়ে যাওয়া হবে না। আমাদের পরিবারের অসুস্থ, বয়স্ক মানুষ গর্ভবতি মহিলা ও সদ্য প্রসবিত শিশু বাচ্চাদের নিয়ে আমরা কোথায় আশ্রয় নেব মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন জানান বসতবাড়ি ছাড়ার নির্দেশের বিষয়টি আমি অবগত নই।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার

মাধবপুরে ২৪ টি পরিবারকে তিন দিনের মধ্যে বসতবাড়ি ছাড়তে রেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ

আপডেট টাইম ০৬:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নের ব্যাঙ্গাডোবা গ্রামের ভুমিহীন ২৪ টি পরিবার কে ৩ দিনের মধ্যে সবভিটা সরিয়ে নিতে রেল কতৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছেন। এ নির্দেশ পাওয়ার পর ভুমিহীন ২৪ টি পরিবারে নেমে এসেছে হতাশা। বিকল্প কোন থাকার জায়গা নেই তাদের। ছেলে মেয়ে নিয়ে গাছ তলায় থাকতে হবে বলে পরিবার গুলো জানিয়েছেন তারা প্রধানমন্ত্রীর সু দৃস্টি কামনা করছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিটক একটি লিখিত আবেদন করেছেন। লিখিত আবেদনে জানা যায়,নোয়াপাড়া রেলওয়ে ষ্টেশনের উত্তর পাশে অবস্থিত রেলওয়ে লাইনের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে রেলওয়ের অব্যবহৃত জমিতে ৪০ বছর যাবত ব্যাঙ্গাডোবা গ্রামের ২৪ টি পরিবার বসবাস করছে। রেলওয়ে ষ্টেশনের ১ টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্টেশনের চারদিকে সীমানা প্রাচীর ণির্মান করা হচ্ছে।

২৪ টি পরিবারের ঘর সীমানা প্রাচিরের মধ্যে অবস্থিত। সিমানা প্রাচীর নির্মানের ফলে তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। রাস্তা না রেখে সিমানা প্রাচীর নির্মান করা হলে ওই এলাকায় বসবাসরত লোকদের চলাচলের কোন রাস্তা থাকবে না। মৃত দেহ দাফন ও লোকজনদের চলাচলের সুবিধার্থে গত ১১ আগষ্ট স্থানীয় লোকজন মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার মাধ্যমে রেল মন্ত্রী বরাবর একটি দরখাস্ত করেন। গত ১৪ আগষ্ট এলাকাবাসী রাস্তার রাখার দাবিতে একটি মানববন্ধন করে। গত ১৫ আগষ্ট মাধবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন এলাকাটি সরজমিনে পরিদর্শন করেন। গত ২৬ আগষ্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্রগ্রাম সিআরবি চীপ ইঞ্জিনিয়ার এলাকাটি পরিদর্শনে আসলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বাক্ষাত করে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে ও চলাচলের জন্য ২ টি পকেট গেইট রাখার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একটি আবেদন করেন।

কিন্তু হঠাত করে গত ৮ সেপ্টেম্বর উপ-সহকারী প্রকৌশলী / কার্য্য বাংলাদেশ রেলওয়ে শায়েস্তাগঞ্জ এর স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে তিন দিনের মধ্যে বসত ভিটা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্যাঙ্গাডোবা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফায়েজ মিয়া জানান, আমাদের সবতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হলে মাথা গুজার কোন ঠাই হবে না। আমাদের সন্তানদের পড়ালেখা করতে বিদ্যালয়ে যাওয়া হবে না। আমাদের পরিবারের অসুস্থ, বয়স্ক মানুষ গর্ভবতি মহিলা ও সদ্য প্রসবিত শিশু বাচ্চাদের নিয়ে আমরা কোথায় আশ্রয় নেব মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন জানান বসতবাড়ি ছাড়ার নির্দেশের বিষয়টি আমি অবগত নই।