মোঃফখর উদ্দিন আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
আগামী কাল ১২ সেপ্টেম্বর খুলে যাচ্ছে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।বৃহস্পতিবারের (৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যে খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি শেষ করতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।এরইমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন বন্দর উচ্চ বিদ্যালয় ও মেরিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ৷
শনিবার (১১সেপ্টেম্বর) সকালে আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ সরাকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,দক্ষিন বন্দর উচ্চ বিদ্যালয় ও মেরিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে প্রতিষ্ঠান খোলার সব প্রস্তুতি শেষ।শারীরিক দূরত্ব ঠিক ঠিক রাখতে এক বেঞ্চ খালি রেখে শিক্ষার্থীদের বসার জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে ,যাতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব ঠিক থাকে।শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি ঠিক রাখতে থার্মোমিটার,হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷
বৈরাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ গোলাম জিলানি বলেন ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা শিক্ষার্থীদের বরণের৷
দক্ষনি বন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এস এম সেলিম বলেন সরকারি সব বিধি নিষেধ মেনে আমরা প্রতিষ্টান খুলার কাজ সম্পন্ন করেছি৷সরকারি তারিখ ঘোষনা অনুযায়ি ১২তারিখ আমরা প্রতিষ্টান খুলব এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্লাস আরম্ভ করব৷ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে আমরা বাইরে হাত ধোয়ার জন্য বেসিং স্থাপনা করেছি তিনি আরও বলেন শিক্ষার্থীদের নিরাপদে ক্লাস করার জন্য আমরা কমিটি গঠন করেছি৷
মেরিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আকিমুল ইসলাম বলেন,সব প্রস্তুতি আমরা ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছি।শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের দুই থেকে তিনটি পর্যন্ত ভাগ করে দেওয়া হবে। আশা করছি কোনও সমস্যা হবে না।আমরা দুইটা কমিটি গঠন করেছি একটা কোভিট ১৯ কমিটি,দ্বিতীয়টা শিক্ষার্থীদের তদারকি কমিটি৷শিক্ষার্থীদের জন্য ভ্রাম্যমান আইসোলেশন ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে কোনো শিক্ষার্থীর অসুবিধা না হয়৷
চট্টগ্রাম সরকারী পটিয়া কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আলওয়ালীদ শাকিল বলেন, বিগত দেড় বছর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের খুব একটা অগ্রগতি হয়েছে বলে আমার মনে হয়না৷কারণ শিক্ষাক্ষেত্রে শ্রেনীকক্ষে পাঠদান, পরীক্ষা দেয়া, সশরীরে উপস্থিতি- শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীর সহজাত প্রবৃত্তি। অনলাইনে পাঠদানে শিক্ষকরাও অনভিজ্ঞ। দেশের অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় অনলাইন শিক্ষা এখনো খুব একটা সহজ হয়নি। তাই এক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়৷