ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত।

চেয়ারম্যান-সচিবে মিলে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ,৩ মেম্বারের লিখিত অভিযোগ

মোঃ কেফাইতুল ভুঁইয়া, বিজয়নগর; (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

টিআর,কাবিখা,এলজিএসপি প্রকল্পের টাকা টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিজয়নগর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে ৩ মহিলা মেম্বাররের লিখিত অভিযোগ।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক বরাবর বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের ৩ মহিলা জন মেম্বার প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যাংকের খালি চেক এ স্বাক্ষর নেওয়ার পৃথক পৃথক অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নাছিমা বেগম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন আমাকে ৬ মাস পূর্বে হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূঁইয়া টিআর-কাবিখা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। উক্ত বরাদ্দের টাকা পাওয়ার আগেই আমি নিজের টাকা দিয়ে কাজ সম্পন্ন করি। প্রকল্পের থেকে টাকা উঠানোর কথা বলে আমার কাছ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খোরশেদ আলম সোনালী ব্যাংকের খালি একটি চেকে স্বাক্ষর নেয়।স্বাক্ষর নিয়ে তারা টাকা উঠিয়ে নিলেও আমাকে এখনো টাকা দেয় নাই।চেয়ারম্যান সচিবের কথা ও সচিবে চেয়ারম্যান এর কথা বলে ঘুরাতে থাকে। একপর্যায়ে আমি টাকার জন্য চাপ দিলে তারা আমাকে বলে যা করার করে নেওয়ার জন্য। তারা টাকা দিতে পারবে না।

৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোছাঃ রাহেলা আক্তার তার অভিযোগে উল্লেখ করেন,চেয়ারম্যান তাকে এলজিএসপি প্রকল্পের বরাদ্দ পায়িয়ে দিবে বলে প্রথমে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়।তার পরে উক্ত প্রকল্পের ১লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি বরাদ্দ দেয়।সেই বরাদ্দ পেয়ে সে নিজের টাকায় কাজ করে টাকা উত্তোলন করতে চাইলে সচিব খোরশেদ আলম টাকা তুলে দিবে বলে তার কাছ থেকেও সোনালী ব্যাংকের চেক সাক্ষর নিয়ে যায়।অনেক ঘুরাঘুরি করেও প্রকল্পের ১ টাকা সে পাইনি বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।সে আরো উল্লেখ করেন প্রকল্পের টাকা চাওয়ায় তাকে হুমকী ধামকী দিয়ে এখন তাকে পরিষদের ভিতরে ডুকতে দেয় না।

৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোছাঃ ফরিদা বেগম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন,আমাকে গত দুই মাস পূর্বে বর্তমান চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূইয়া টিআর-কাবিখার বরাদ্দ দেন। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার পরে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খোরশেদ আলম আমাকে টাকা উত্তোলন করে দিবে বলে সোনালী ব্যাংকের খালি ৪ টি চেকে সাক্ষর নেয়।উক্ত চেক দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ৯৩৯৭৮ (ত্রিনান্নবই হাজার নয়শত আটাত্তর) টাকা ও ৭১৪৩৩ (একাত্তর হাজার চারশত তেত্রিশ) টাকা পরিমান দুইটি উত্তোলন করে নিয়ে যায়।উক্ত উত্তোলনকৃত টাকা থেকে আমাকে একটা টাকাও দেয়নি।আমার প্রকল্পের টাকা চাইলে আমাকে উল্টো হুমকি-ধামকি দিয়ে বলেন আমি এমপির লোক,রাজনৈতিক নেতারা আমার পক্ষ আছে বলেন। আমি যা করার তাকে করে নিতে বলেন।

উক্ত অভিযোগের কপি অনুলিপি প্রদান করেন স্থানীয় সংসদস সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িযা ০৩,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক,বিজয়নগর পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃমাঈন উদ্দিন বলেন, অভিযোগ দেখে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

চেয়ারম্যান-সচিবে মিলে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ,৩ মেম্বারের লিখিত অভিযোগ

আপডেট টাইম ০৭:৫৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

মোঃ কেফাইতুল ভুঁইয়া, বিজয়নগর; (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

টিআর,কাবিখা,এলজিএসপি প্রকল্পের টাকা টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিজয়নগর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে ৩ মহিলা মেম্বাররের লিখিত অভিযোগ।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক বরাবর বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের ৩ মহিলা জন মেম্বার প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যাংকের খালি চেক এ স্বাক্ষর নেওয়ার পৃথক পৃথক অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নাছিমা বেগম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন আমাকে ৬ মাস পূর্বে হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূঁইয়া টিআর-কাবিখা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। উক্ত বরাদ্দের টাকা পাওয়ার আগেই আমি নিজের টাকা দিয়ে কাজ সম্পন্ন করি। প্রকল্পের থেকে টাকা উঠানোর কথা বলে আমার কাছ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খোরশেদ আলম সোনালী ব্যাংকের খালি একটি চেকে স্বাক্ষর নেয়।স্বাক্ষর নিয়ে তারা টাকা উঠিয়ে নিলেও আমাকে এখনো টাকা দেয় নাই।চেয়ারম্যান সচিবের কথা ও সচিবে চেয়ারম্যান এর কথা বলে ঘুরাতে থাকে। একপর্যায়ে আমি টাকার জন্য চাপ দিলে তারা আমাকে বলে যা করার করে নেওয়ার জন্য। তারা টাকা দিতে পারবে না।

৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোছাঃ রাহেলা আক্তার তার অভিযোগে উল্লেখ করেন,চেয়ারম্যান তাকে এলজিএসপি প্রকল্পের বরাদ্দ পায়িয়ে দিবে বলে প্রথমে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়।তার পরে উক্ত প্রকল্পের ১লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি বরাদ্দ দেয়।সেই বরাদ্দ পেয়ে সে নিজের টাকায় কাজ করে টাকা উত্তোলন করতে চাইলে সচিব খোরশেদ আলম টাকা তুলে দিবে বলে তার কাছ থেকেও সোনালী ব্যাংকের চেক সাক্ষর নিয়ে যায়।অনেক ঘুরাঘুরি করেও প্রকল্পের ১ টাকা সে পাইনি বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।সে আরো উল্লেখ করেন প্রকল্পের টাকা চাওয়ায় তাকে হুমকী ধামকী দিয়ে এখন তাকে পরিষদের ভিতরে ডুকতে দেয় না।

৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোছাঃ ফরিদা বেগম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন,আমাকে গত দুই মাস পূর্বে বর্তমান চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূইয়া টিআর-কাবিখার বরাদ্দ দেন। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার পরে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খোরশেদ আলম আমাকে টাকা উত্তোলন করে দিবে বলে সোনালী ব্যাংকের খালি ৪ টি চেকে সাক্ষর নেয়।উক্ত চেক দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ৯৩৯৭৮ (ত্রিনান্নবই হাজার নয়শত আটাত্তর) টাকা ও ৭১৪৩৩ (একাত্তর হাজার চারশত তেত্রিশ) টাকা পরিমান দুইটি উত্তোলন করে নিয়ে যায়।উক্ত উত্তোলনকৃত টাকা থেকে আমাকে একটা টাকাও দেয়নি।আমার প্রকল্পের টাকা চাইলে আমাকে উল্টো হুমকি-ধামকি দিয়ে বলেন আমি এমপির লোক,রাজনৈতিক নেতারা আমার পক্ষ আছে বলেন। আমি যা করার তাকে করে নিতে বলেন।

উক্ত অভিযোগের কপি অনুলিপি প্রদান করেন স্থানীয় সংসদস সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িযা ০৩,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক,বিজয়নগর পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃমাঈন উদ্দিন বলেন, অভিযোগ দেখে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।