আমিনুল ইসলাম আল-আমিন :
সম্প্রতি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মমরুজকান্দি সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠন নিয়ে নানান জল্পনা কল্পনা ও আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। পূর্বের এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হলে পূণরায় নতুন কমিটি গঠন করার জন্য এলাকাবাসী ও স্কুল কর্তৃপক্ষ গত ২৮ আগস্ট আলোচনায় বসেন। ওখানে সভাপতি ব্যতিত সকল পদে সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
এরপর থেকে এলাকাবাসী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং প্রাক্তন ছাত্রদের মাঝে দেখা দেয় আলোচনা সমালোচনা ও বিভিন্ন মতামত। কমিটি গঠন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে যার যার মত করে যেভাবে পেরেছেন, লিখেছেন। এরমধ্যে কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এহডক কমিটির সভাপতি পদে তিনজনের নাম বোর্ডে পাঠিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওখান থেকে একজনকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করবে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। স্বনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সকলের একটি প্রিয় প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সকলের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম।
প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম কিছু ঘটনা তুলে ধরে ফেসবুকে লিখেছেন, এডহক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে প্রথমে সকল শিক্ষকদের সম্মতিক্রমে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়। তারপর গত ২৮ আগষ্ট বিদ্যালয়ে সকল অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির সামনে লটারির মাধ্যমে অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হয়। আর সভাপতি প্রসঙ্গে বলেন, স্থানীয় সাংসদ অ্যাড. আলহাজ্ব নুরুল আমিন রুহুল নিজে এই বিষয়ে পরবর্তীতে সভাপতির নাম দেওয়ার কথা জানান। তার এই প্রেক্ষিতে গত ৩১ আগস্ট সভাপতি হিসেবে অ্যাড. মোঃ আক্তারুজ্জামান এর নাম শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লায় পাঠানোর নিদর্শনা দেন এমপি। উক্ত নিদর্শনার সকল ধরনের প্রমাণ আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। কেউ এই বিষয়ে প্রমাণ চাইলে, আমি উপরোক্ত সকল কথার প্রমাণ দিতে পারব।
তিনি আরও লিখেছেন, গত ২৮ আগস্টের পর থেকে আমাকে এবং আমার পরিবারকে ফোনের মাধ্যমে সাবেক সভাপতি মোঃ শাহজালাল পাঠান বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি গত ২৯ আগস্ট এমপির মিথ্যা বরাত দিয়ে আমাকে পরদিন স্কুলে আসার জন্য চাপ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার মিথ্যাচার ধরা পরলে, তিনি আবারও আমাকে হুমকি দেন। ভয়ের আশংকায় আমি নিজ বাসায় অবস্থান করি। এমপি মহোদয় এর নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইন এর মাধ্যমে এডহক কমিটির ফর্ম পুরণের সময় শাহজালাল আমাকে হুমকি দেয় এবং কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কিছু সময় পর সে আর তার ভাগিনা আবারও আমার বাসার সামনে ডেকে আমাকে অপমান অপদস্ত করে। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি, তিনি সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলের রুম থেকে বের করে, স্কুল তালাবদ্ধ করে দেয়। তার কিছুক্ষণ পরে আবার অভিভাববক সদস্যসের মাধ্যমে চাবি ফেরত পাঠিয়েছে। প্রধান শিক্ষক বলেন, এসব ঘটনার পর গত ৩ সেপ্টেম্বর সকালে মোঃ শাহজালাল পাঠান স্কুলে এসে জানিয়েছেন এসব ঘটনার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এমন উদ্ভট পরিস্থিতির জন্য আমি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
এদিকে সাবেক সভাপতি মোঃ শাজাহালাল পাঠান বলেন, এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই আমার নাম বাদ দিয়ে সভাপতি পদে তিনজনের নাম বোর্ডে পাঠিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এটা একটি সমালোচনার বিষয়। তিনি আরও বলেন, যা ই হোক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবার। স্কুলটি যেভাবে ভালো চলে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। সকলে মিলেমিশে উন্নয়ন করবো। যা কিছু হয়েছে তা ভুল বুজাবুজি ছিল। আমি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থী, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
সংবাদ শিরোনাম ::
মতলব উত্তরে মমরুজকান্দি সপ্তগ্রাম উবি’র এডহক কমিটি গঠন নিয়ে সব জল্পনা কল্পনার অবসান
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ০৫:৫১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
- ৬৯৫ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ