ঢাকা ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

বালু বাহী ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকা ডুবি

বালু বাহী ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকা ডুবি

মোঃখলিলুর রহমান জেলা প্রতিনিধি দৈনিক মাতৃভূমির খবরঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লইস্কা বিলে গতকাল ২৭/০৮/২০২১ বিকাল চারটার বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকাটি ডুবে যায়।নৌকাটিতে ৭০ জন যাত্রী ছিল।এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর নৌকা ঘাট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলা আনন্দ বাজার নৌকা ঘাটের উদ্দেশে আসার পথে এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে।এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।দূর্ঘটনায় ডুবুরী দল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।দূর্ঘটনা কবলিত স্থানে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শুভন এর নেতৃত্বে একটি স্বেচ্ছা সেবক টিম কাজ করছে।উল্লেখ্য গত সপ্তাহে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের তিতাস নদীতে ও নৌদূর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়।এলাকাবাসীর দাবী স্পিডবোট ও বালুবাহী ট্রলার চালায় অদক্ষ চালক।আর এটি নৌ দূর্ঘটনার প্রধান কারন।

নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি।

নিহত ২২ জনের মধ্যে ১৬ জনের নাম-পরিচয় জানা গিয়েছে। তারা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পৈরতলা এলাকার আবু সাঈদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫) ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজল বেগম (৪০), দাতিয়ারা এলাকার মোবারক মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া মিম (১২), সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের সাদেরকপুর গ্রামের মুরাদ হোসেনের ছেলে তানভীর (৮), চিলোকুট গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার শিশু কন্যা তাকুয়া (৮), নরসিংসার গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাজিম (৭) ও ভাটপাড়া গ্রামের ঝারু মিয়ার মেয়ে শারমিন (১৮)।

আরও রয়েছেন, বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে আরিফ বিল্লাহ (২০), বেড়াগাঁও গ্রামের মৃত মালু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জু বেগম (৬০), জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৭) ও তার মেয়ে মুন্নি (১০), আব্দুল হাসিমের স্ত্রী কমলা বেগম (৫২), নূরপুর গ্রামের মৃত রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী মিনারা বেগম (৫০), আদমপুর গ্রামের অখিল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনী বিশ্বাস (৩০) ও পরিমল বিশ্বাসের মেয়ে তিথিবা বিশ্বাস (২) এবং ময়মনসিংহের খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৪৫)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গনমাধ্যমকে জানান, সুরতহাল করার পর শনাক্ত করে ১৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মরদেহের সঙ্গে দাফনের জন্য স্বজনদের হাতে ২০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানান, বালুবোঝাই ট্রলারটি আটক করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি পানির নিচে আছে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Tag :

আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

বালু বাহী ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকা ডুবি

আপডেট টাইম ০৪:৫২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১

বালু বাহী ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকা ডুবি

মোঃখলিলুর রহমান জেলা প্রতিনিধি দৈনিক মাতৃভূমির খবরঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লইস্কা বিলে গতকাল ২৭/০৮/২০২১ বিকাল চারটার বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকাটি ডুবে যায়।নৌকাটিতে ৭০ জন যাত্রী ছিল।এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর নৌকা ঘাট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলা আনন্দ বাজার নৌকা ঘাটের উদ্দেশে আসার পথে এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে।এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।দূর্ঘটনায় ডুবুরী দল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।দূর্ঘটনা কবলিত স্থানে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শুভন এর নেতৃত্বে একটি স্বেচ্ছা সেবক টিম কাজ করছে।উল্লেখ্য গত সপ্তাহে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের তিতাস নদীতে ও নৌদূর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়।এলাকাবাসীর দাবী স্পিডবোট ও বালুবাহী ট্রলার চালায় অদক্ষ চালক।আর এটি নৌ দূর্ঘটনার প্রধান কারন।

নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি।

নিহত ২২ জনের মধ্যে ১৬ জনের নাম-পরিচয় জানা গিয়েছে। তারা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পৈরতলা এলাকার আবু সাঈদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫) ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজল বেগম (৪০), দাতিয়ারা এলাকার মোবারক মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া মিম (১২), সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের সাদেরকপুর গ্রামের মুরাদ হোসেনের ছেলে তানভীর (৮), চিলোকুট গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার শিশু কন্যা তাকুয়া (৮), নরসিংসার গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাজিম (৭) ও ভাটপাড়া গ্রামের ঝারু মিয়ার মেয়ে শারমিন (১৮)।

আরও রয়েছেন, বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে আরিফ বিল্লাহ (২০), বেড়াগাঁও গ্রামের মৃত মালু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জু বেগম (৬০), জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৭) ও তার মেয়ে মুন্নি (১০), আব্দুল হাসিমের স্ত্রী কমলা বেগম (৫২), নূরপুর গ্রামের মৃত রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী মিনারা বেগম (৫০), আদমপুর গ্রামের অখিল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনী বিশ্বাস (৩০) ও পরিমল বিশ্বাসের মেয়ে তিথিবা বিশ্বাস (২) এবং ময়মনসিংহের খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৪৫)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গনমাধ্যমকে জানান, সুরতহাল করার পর শনাক্ত করে ১৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মরদেহের সঙ্গে দাফনের জন্য স্বজনদের হাতে ২০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানান, বালুবোঝাই ট্রলারটি আটক করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি পানির নিচে আছে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।