ঢাকা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

বিজয়নগরে চেয়ারম্যান ভূয়া মৃত সনদ দিয়ে জীবিত মহিলার বিধবা ভাতা উত্তোলনের চেষ্টা

মোঃ কেফাইতুল ভুঁইয়া, বিজয়নগর; (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় বিধবা ভাতার কার্ডধারী মোছাঃ আমিনা বেগম নামে এক জীবিত সুস্থ মহিলাকে মৃত্যু দেখিয়ে তাঁর ভাতার টাকা তুলতে গিয়ে ব্যাংকের সন্দেহ আটকে যায় টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনাকারী । উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের এজেন্ট ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের দেওয়ান বাজার শাখা থেকে ওই টাকা তুলতে গিয়ে চেয়ারম্যানের সাক্ষরিত মৃত্যু সনদ,চেয়ারম্যান ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারের মৃত্যুর প্রত্যায়নসহ জমা দিলে এজেন্ট ব্যাংকের ম্যানেজার এর সন্দেহ হলে টাকা উত্তোলন করতে দেয়নি।

গত (২৩ আগস্ট) হরষপুর ইউনিয়নের দেওয়ান বাজার ব্যাংক এশিয়াতে জমা দেওয়ার কাগজে দেখা যায়, গত ১৯ জুন ২০২১ সালে চেয়ারম্যান সাক্ষরিত মৃত্যু সনদ প্রদান করেন হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সারোয়ার রহমান ভূঁইয়া। একই তারিখে অন্য জনকে বকেয়া ১০৫০০ টাকা ভাতা প্রদানের সুপারিশ করে হরষপুরের চেয়ারম্যান মোঃ সারোয়ার রহমান ভূঁইয়া ইউনিয়ন পরিষদের অফিসিয়াল প্যাডে একটি সুপারিশে সাক্ষর করেন। উক্ত সুপারিশকৃত প্যাডে বিজয়নগর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোছাঃ আফরোজা বেগম ১৬ জুন ২০২১ তারিখে সুপারিশ স্বাক্ষর করেন।

বিধবা ভাতা প্রাপ্ত মহিলার হল হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ আমিনা বেগম।তাহার জন্ম তারিখ ১০আগস্ট ১৯৬২ সন। তাহার বিধবা ভাতার বই নং ২০৮২। টাকা উত্তোলনের হিসাব নং ১০৮৩৪১২০৮২৮৬।

ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট মোঃ নাহিদ খাঁন বলেন-“আমার এজেন্ট ব্যাংক থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ভাতা ভোগীরা টাকা উত্তোলন করেন। কম বেশী তাদের ব্যপারে আমার ধারণা রয়েছে।আমিনা বেগম কয়েক মাস যাবত টাকা উত্তোলন করতে না আসলেও আমার জানা মতে সে জীবিত। তাকে মৃত্যু দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করতে আসলে আমার সন্দেহ হলে আমি টাকা আটকিয়ে খবর নিয়ে দেখি আমেনা বেগম জীবিত আছে।খবর পেয়ে আমেনা বেগমও আমার ব্যাংকে এসে উপস্থিত হয়েছে।”

ভাতাভোগী আমেনা বেগম বলেন-” আমি জীবিত আছি,সুস্থ আছি।এখন শুনতেছি কে বা কাঁহারা আমাকে মৃত্যুর সনদ বানিয়ে ব্যাংক থেকে আমার বিধবা ভাতা তুলে নিতে চেষ্টা করছে।খবর পেয়ে আমি ব্যাংকে ছুটে যাই।যাহারা আমার মিথ্যা মৃত্যু সনদ তৈরি করছে ও তৈরি করতে সহযোগিতা করছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

আমেনা বেগমকে মৃত্যু সনদ প্রদানকারী হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সারোয়ার রহমান ভূঁইয়া বলেন,এমন ঘটনা ঘটতে পারে না। তারপরেও আমি খুঁজখবর নিয়ে দেখছি।”

বিজয়নগর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোছাঃ আফরোজা বেগম বলেন-“স্থানীয় চেয়ারম্যানের মৃত্যু সনদের আলোকে আমি টাকা উত্তোলনের জন্য সুপারিশ করে থাকি।তার পরেও কোন সমস্যা দেখা দিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।”

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ

বিজয়নগরে চেয়ারম্যান ভূয়া মৃত সনদ দিয়ে জীবিত মহিলার বিধবা ভাতা উত্তোলনের চেষ্টা

আপডেট টাইম ০৫:০১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১

মোঃ কেফাইতুল ভুঁইয়া, বিজয়নগর; (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় বিধবা ভাতার কার্ডধারী মোছাঃ আমিনা বেগম নামে এক জীবিত সুস্থ মহিলাকে মৃত্যু দেখিয়ে তাঁর ভাতার টাকা তুলতে গিয়ে ব্যাংকের সন্দেহ আটকে যায় টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনাকারী । উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের এজেন্ট ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের দেওয়ান বাজার শাখা থেকে ওই টাকা তুলতে গিয়ে চেয়ারম্যানের সাক্ষরিত মৃত্যু সনদ,চেয়ারম্যান ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারের মৃত্যুর প্রত্যায়নসহ জমা দিলে এজেন্ট ব্যাংকের ম্যানেজার এর সন্দেহ হলে টাকা উত্তোলন করতে দেয়নি।

গত (২৩ আগস্ট) হরষপুর ইউনিয়নের দেওয়ান বাজার ব্যাংক এশিয়াতে জমা দেওয়ার কাগজে দেখা যায়, গত ১৯ জুন ২০২১ সালে চেয়ারম্যান সাক্ষরিত মৃত্যু সনদ প্রদান করেন হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সারোয়ার রহমান ভূঁইয়া। একই তারিখে অন্য জনকে বকেয়া ১০৫০০ টাকা ভাতা প্রদানের সুপারিশ করে হরষপুরের চেয়ারম্যান মোঃ সারোয়ার রহমান ভূঁইয়া ইউনিয়ন পরিষদের অফিসিয়াল প্যাডে একটি সুপারিশে সাক্ষর করেন। উক্ত সুপারিশকৃত প্যাডে বিজয়নগর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোছাঃ আফরোজা বেগম ১৬ জুন ২০২১ তারিখে সুপারিশ স্বাক্ষর করেন।

বিধবা ভাতা প্রাপ্ত মহিলার হল হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ আমিনা বেগম।তাহার জন্ম তারিখ ১০আগস্ট ১৯৬২ সন। তাহার বিধবা ভাতার বই নং ২০৮২। টাকা উত্তোলনের হিসাব নং ১০৮৩৪১২০৮২৮৬।

ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট মোঃ নাহিদ খাঁন বলেন-“আমার এজেন্ট ব্যাংক থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ভাতা ভোগীরা টাকা উত্তোলন করেন। কম বেশী তাদের ব্যপারে আমার ধারণা রয়েছে।আমিনা বেগম কয়েক মাস যাবত টাকা উত্তোলন করতে না আসলেও আমার জানা মতে সে জীবিত। তাকে মৃত্যু দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করতে আসলে আমার সন্দেহ হলে আমি টাকা আটকিয়ে খবর নিয়ে দেখি আমেনা বেগম জীবিত আছে।খবর পেয়ে আমেনা বেগমও আমার ব্যাংকে এসে উপস্থিত হয়েছে।”

ভাতাভোগী আমেনা বেগম বলেন-” আমি জীবিত আছি,সুস্থ আছি।এখন শুনতেছি কে বা কাঁহারা আমাকে মৃত্যুর সনদ বানিয়ে ব্যাংক থেকে আমার বিধবা ভাতা তুলে নিতে চেষ্টা করছে।খবর পেয়ে আমি ব্যাংকে ছুটে যাই।যাহারা আমার মিথ্যা মৃত্যু সনদ তৈরি করছে ও তৈরি করতে সহযোগিতা করছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

আমেনা বেগমকে মৃত্যু সনদ প্রদানকারী হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সারোয়ার রহমান ভূঁইয়া বলেন,এমন ঘটনা ঘটতে পারে না। তারপরেও আমি খুঁজখবর নিয়ে দেখছি।”

বিজয়নগর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোছাঃ আফরোজা বেগম বলেন-“স্থানীয় চেয়ারম্যানের মৃত্যু সনদের আলোকে আমি টাকা উত্তোলনের জন্য সুপারিশ করে থাকি।তার পরেও কোন সমস্যা দেখা দিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।”