বিজয়নগরে দুলাভাইয়ের অনৈতিক সম্পর্কে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা শালি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউপির বাগলপুর এলাকায় চাচাতো বোন জামাইর লালসার স্বীকার হয়ে এখন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ১৬ বছরের এক কিশোরী। গর্ভপাত করানোর জন্য স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল কিশোরীর পরিবারকে প্রতিনিয়ত চাপ প্রয়োগ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিমপুর এলাকার মৃত জুরু আলী র ছেলে বাছির ফকির (৪৫)। পার্শ্ববর্তী গ্রামে শ্বশুর বাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াতকালে চাচা শ্বশুরের মেয়ে ১৬ বছরের কিশোরীকে নানা ভাবে ফুসলিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। ভয় ভীতি প্রদর্শন ও লোভ দেখিয়ে একাধিক বার দৈহিক সম্পর্ক করে। এতে কিশোরী এখন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অভিযুক্ত বাছির ফকির স্ত্রী সহ চার ছেলে মেয়ে নিয়ে তার সংসার। পেশায় সে একজন মাদক কারবারি।
সূত্র আরো জানায়, বাছির ফকিরের ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি সামাজিক ভাবে লক্ষ টাকা জরিমানা করে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। এতে কিশোরীর পরিবারের সম্মতি না থাকায় বাছির ফকিরের লোকজন কিশোরীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। নিরুপায় হয়ে কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরে ব্যর্থ হয়ে মহামান্য আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০(২০০৩) সংশোধনী ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত বাছির ফকির কিশোরীর বাড়ীতে হাজির হয়ে বলেন,ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা করে বাড়াবাড়ি করলে কিশোরী সহ তার পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলবে।
ধর্ষণের স্বীকার কিশোরী বলেন, বাছির মিয়া সম্পর্কে আমার দুলাভাই। সে নিয়মিত আমাদের বাড়িতে আসা যাওয়ার সুযোগে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও নতুন বাড়িসহ টাকা পয়সা দেবে বলে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে আমি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।এখন যদি বাছির ফকির আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমার গর্ভের সন্তানসহ আমি আত্মহত্যা করব।
কিশোরী তার গর্ভের সন্তান নিয়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অভিযুক্ত বাছির মিয়া কিশোরীর পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করছে গোপনে মীমাংসা করার জন্য। বিষয়টি গোপনে মীমাংসা করে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা করছে একটি চক্র। অন্তঃসত্ত্বাকে আইনি সহায়তা দিয়ে তার গর্ভে থাকা সন্তানের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি স্থানীয়দের।
সিঙ্গারবিল ইউপির ৪ ৫ ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য কাকলী আক্তার বিষটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কিশোরী আর তার মা আমার নিকট এসে বলার পর, আমি খোজখবর নিয়ে ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছি। কিশোরীর মা বাদী হয়ে মহামান্য আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছে। এলাকার সবাই চাই অভিযুক্ত ধর্ষণ কারীকে আইনের আওতায় এনে বিচার করে, কিশোরী সহ তার গর্ভে থাকা সন্তানের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করুক।