ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া … “বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা” টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে “কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ” চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন মেয়র রেজাউল বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল

পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি রমরমা

আবু রায়হান রাজশাহী :মাদক কারবারে যুক্ত গোদাগাড়ীর বিভিন্ন বয়সি মানুষ। অবৈধ এই কারবারে জড়িয়ে শূণ্য থেকে কোটিপতি বনে গেছেন এমন লোকের সংখ্যা নেহাতই কম নয়।

এসব মাদক ব্যবসায়ীকে টার্গেট করে এলাকায় গড়ে উঠেছে চাঁদাবাজ চক্র। হালের অনলাইন জুয়ায় জড়িতদের টার্গেট করছে চক্রটি। পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা টাকা।

এই চক্রের ফাঁদে আটকে মোটা টাকা খুঁয়েছেন এমন কয়েকজন জানিয়েছেন , চক্রটি প্রথমে কথিত গণমাধ্যমকর্মীদের দিয়ে অনলাইন সংবাদ প্রকাশ করায়। এরপর পুলিশের ভয় দেখায়। পরে পুলিশকে ম্যানেজ করার নামে মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়।

এদিকে, গত ১ আগস্ট রাজশাহীর একটি অনলাইন সংবাদপত্রে গোদাগাড়ীতে অনলাইন জুয়ার কারবার নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়।সংবাদের জেরে প্রশাসনের নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আসে বাতেন ও ফরহাদের বিরুদ্ধে।
ছয়জনের কাছে ফরহাদের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা করে দেড় লাখ টাকা নেন কথিত সাংবাদিক বাতেন।বাতেনের বিরুদ্ধে গত দু বছর আগেও চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক নিউজ প্রকাশ হয়েছিল।

তবে পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফরহাদ হোসেন এবং সাংবাদিক বাতেন।

স্থানীয়রা বলছেন, ফরহাদ হোসেন এলাকার পৌর এলাকার মাদারপুর ডিমভাঙা এলাকার বাসিন্দা।পিতা এনামুল হক ওরফে হিঁচু। ডিমভাঙা মোড়ে তাদের একটি দোকান রয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার-জ্বালানী তেলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেন।দোকান ব্যবসার আড়ালে চলে জুয়ার ব্যবসা।

জানতে চাইলে টাকা নিয়ে জুয়ার কারবারীদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম।কারন তাদের গ্রেফতার কিংবা তালিকা কোনটাই করা হয়নি।অনলাইন জুয়ার আলামত না পাওয়ায় সেখানেই থেমে যেতে হয় পুলিশকে।হয়তো পুলিশের নাম ভাঙিয়ে কেউ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

বিষয়টি এমনই ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান করছে জেলা পুলিশও। জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

–চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ।

পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি রমরমা

আপডেট টাইম ১১:৫৯:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১

আবু রায়হান রাজশাহী :মাদক কারবারে যুক্ত গোদাগাড়ীর বিভিন্ন বয়সি মানুষ। অবৈধ এই কারবারে জড়িয়ে শূণ্য থেকে কোটিপতি বনে গেছেন এমন লোকের সংখ্যা নেহাতই কম নয়।

এসব মাদক ব্যবসায়ীকে টার্গেট করে এলাকায় গড়ে উঠেছে চাঁদাবাজ চক্র। হালের অনলাইন জুয়ায় জড়িতদের টার্গেট করছে চক্রটি। পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা টাকা।

এই চক্রের ফাঁদে আটকে মোটা টাকা খুঁয়েছেন এমন কয়েকজন জানিয়েছেন , চক্রটি প্রথমে কথিত গণমাধ্যমকর্মীদের দিয়ে অনলাইন সংবাদ প্রকাশ করায়। এরপর পুলিশের ভয় দেখায়। পরে পুলিশকে ম্যানেজ করার নামে মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়।

এদিকে, গত ১ আগস্ট রাজশাহীর একটি অনলাইন সংবাদপত্রে গোদাগাড়ীতে অনলাইন জুয়ার কারবার নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়।সংবাদের জেরে প্রশাসনের নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আসে বাতেন ও ফরহাদের বিরুদ্ধে।
ছয়জনের কাছে ফরহাদের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা করে দেড় লাখ টাকা নেন কথিত সাংবাদিক বাতেন।বাতেনের বিরুদ্ধে গত দু বছর আগেও চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক নিউজ প্রকাশ হয়েছিল।

তবে পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফরহাদ হোসেন এবং সাংবাদিক বাতেন।

স্থানীয়রা বলছেন, ফরহাদ হোসেন এলাকার পৌর এলাকার মাদারপুর ডিমভাঙা এলাকার বাসিন্দা।পিতা এনামুল হক ওরফে হিঁচু। ডিমভাঙা মোড়ে তাদের একটি দোকান রয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার-জ্বালানী তেলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেন।দোকান ব্যবসার আড়ালে চলে জুয়ার ব্যবসা।

জানতে চাইলে টাকা নিয়ে জুয়ার কারবারীদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম।কারন তাদের গ্রেফতার কিংবা তালিকা কোনটাই করা হয়নি।অনলাইন জুয়ার আলামত না পাওয়ায় সেখানেই থেমে যেতে হয় পুলিশকে।হয়তো পুলিশের নাম ভাঙিয়ে কেউ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

বিষয়টি এমনই ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান করছে জেলা পুলিশও। জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।