ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল নির্মাণে বন্দরের অর্থ ও টাকার সমস্যা হলে সরকার আছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী,

তৌহিদ ব্যুরোপ্রধান চট্টগ্রাম

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল নির্মাণে বন্দরের অর্থ ও টাকার সমস্যা হলে সরকার আছে। পদ্মা সেতুর মতো বে টার্মিনাল বাংলাদেশের গর্ব।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বেলা দেড়টায় চট্টগ্রাম বন্দরের হালিশহরস্থ ‘বে-টার্মিনাল’ পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এখানে বে টার্মিনাল হবে। সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সাল। ইতিমধ্যে টাইমলাইন ঠিক করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর এখানে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল তৈরির কাজ শুরু করবে৷ জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। মাটি ভরাটের কাজ হয়তো স্লো হচ্ছে।

তিনি বলেন, বে টার্মিনাল নির্মাণে বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী উচ্ছ্বসিত ছিল। কোভিডের কারণে কিছুটা সময় লাগছে। বঙ্গবন্ধুর কথা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। তাই দেশের স্বার্থ রক্ষা করে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পায়রাতেও জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে টাকা দিয়েছি। সঠিক ব্যক্তি যাতে টাকা পায় সেটা জেলা প্রশাসন দেখবে। প্রকৃত জমির মালিক ন্যায্য হিস্যা পাবে। প্রধানমন্ত্রী জমি অধিগ্রহণে তিনগুণ টাকা দিচ্ছেন। আগে জমি অধিগ্রহণের কথা শুনলে পালিয়ে যেত মানুষ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও মিসেস সুলতানা আফরোজ, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম, সচিব মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।

সুলতানা আফরোজ বলেন, বে টার্মিনালে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। আন্তরিকতা রয়েছে কত তাড়াতাড়ি কাজটা শুরু করতে পারি। ফরেন যারা আসছে কথা হচ্ছে। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে কাজ দেওয়া হবে। সিঙ্গাপুর, চায়না, ডেনমার্কসহ অনেক দেশের প্রতিষ্ঠান আসছে। জুম মিটিং হচ্ছে। আমাদের সমন্বয় খুব স্ট্রং। সরেজমিন দেখে যাওয়ায় কাজে সুবিধা হবে। টাইমলাইন হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এটি দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুরোদমে কাজ করছি। স্টাডি আপডেট করার জন্য নতুন কনসালটেন্ট নিয়োগ করছি। এরপর ই-টেন্ডার হবে। ২০২৪ সালের আগেই দু-একটা টার্মিনাল চালু করতে চাই। সব নির্ভর করবে সমন্বয় ও সিদ্ধান্তের ওপর। দায়িত্ব, আন্তরিকতা দৃঢ়তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, বে টার্মিনালে ৩টি টার্মিনাল হবে। এর মধ্যে টার্মিনাল-১ চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে হবে। বে টার্মিনালে ২২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়বে। ১১ কিলোমিটারের প্রাকৃতিক আইল্যান্ড আছে, যা ব্রেক ওয়াটার হিসেবে কাজ করবে। এ টার্মিনালে ২৪ ঘণ্টা অপারেশন চলবে। ১৫ হাজার ট্রাক রাখার ব্যবস্থা থাকবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল নির্মাণে বন্দরের অর্থ ও টাকার সমস্যা হলে সরকার আছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী,

আপডেট টাইম ০৭:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১

তৌহিদ ব্যুরোপ্রধান চট্টগ্রাম

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল নির্মাণে বন্দরের অর্থ ও টাকার সমস্যা হলে সরকার আছে। পদ্মা সেতুর মতো বে টার্মিনাল বাংলাদেশের গর্ব।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বেলা দেড়টায় চট্টগ্রাম বন্দরের হালিশহরস্থ ‘বে-টার্মিনাল’ পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এখানে বে টার্মিনাল হবে। সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সাল। ইতিমধ্যে টাইমলাইন ঠিক করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর এখানে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল তৈরির কাজ শুরু করবে৷ জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। মাটি ভরাটের কাজ হয়তো স্লো হচ্ছে।

তিনি বলেন, বে টার্মিনাল নির্মাণে বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী উচ্ছ্বসিত ছিল। কোভিডের কারণে কিছুটা সময় লাগছে। বঙ্গবন্ধুর কথা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। তাই দেশের স্বার্থ রক্ষা করে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পায়রাতেও জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে টাকা দিয়েছি। সঠিক ব্যক্তি যাতে টাকা পায় সেটা জেলা প্রশাসন দেখবে। প্রকৃত জমির মালিক ন্যায্য হিস্যা পাবে। প্রধানমন্ত্রী জমি অধিগ্রহণে তিনগুণ টাকা দিচ্ছেন। আগে জমি অধিগ্রহণের কথা শুনলে পালিয়ে যেত মানুষ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও মিসেস সুলতানা আফরোজ, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম, সচিব মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।

সুলতানা আফরোজ বলেন, বে টার্মিনালে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। আন্তরিকতা রয়েছে কত তাড়াতাড়ি কাজটা শুরু করতে পারি। ফরেন যারা আসছে কথা হচ্ছে। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে কাজ দেওয়া হবে। সিঙ্গাপুর, চায়না, ডেনমার্কসহ অনেক দেশের প্রতিষ্ঠান আসছে। জুম মিটিং হচ্ছে। আমাদের সমন্বয় খুব স্ট্রং। সরেজমিন দেখে যাওয়ায় কাজে সুবিধা হবে। টাইমলাইন হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এটি দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুরোদমে কাজ করছি। স্টাডি আপডেট করার জন্য নতুন কনসালটেন্ট নিয়োগ করছি। এরপর ই-টেন্ডার হবে। ২০২৪ সালের আগেই দু-একটা টার্মিনাল চালু করতে চাই। সব নির্ভর করবে সমন্বয় ও সিদ্ধান্তের ওপর। দায়িত্ব, আন্তরিকতা দৃঢ়তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, বে টার্মিনালে ৩টি টার্মিনাল হবে। এর মধ্যে টার্মিনাল-১ চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে হবে। বে টার্মিনালে ২২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়বে। ১১ কিলোমিটারের প্রাকৃতিক আইল্যান্ড আছে, যা ব্রেক ওয়াটার হিসেবে কাজ করবে। এ টার্মিনালে ২৪ ঘণ্টা অপারেশন চলবে। ১৫ হাজার ট্রাক রাখার ব্যবস্থা থাকবে।