আনোয়ার হোসাইন
রংপুর প্রতিনিধি

সুলতান মাহমুদ, নিজেই একজন উদাসীন ভবঘুরে। নিজের সংসারের সর্বস্বটুকু বিলীন করে শশুরালয়ে অবস্থান তার। পরিবারের ধার – না ধারা এই ব্যাক্তি ক্ষণিকের অতিথির মতো হঠাৎ আবিস্কার করেন নিজেকে। দ্বিতীয় মেয়ে সেলিনা আক্তার সুমিকে ৫ বছর আগে এক প্রতারক নামমাত্র বিয়ে করে কয়েকদিনের মধ্যে কৌশলে দেশ ছাড়ে এবং সুমির সব দায়িত্ব পরেছে তার মায়ের ওপর।

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানাধীন ১৭নং ইমাদপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আতোয়ার মন্ডলের ছেলে রেজা মিঞা (২৭)পারিবারিক পছন্দমতো ১ লক্ষ্য টাকা যৌতুকের বিনিময়ে পাশের গ্রামের(হয়বতপুর) সেলিনা আক্তারকে বিয়ে করেন।
০৯/১২/২০১৬ খ্রিঃ ইং তারিখে বিয়ের রেশ কাটতেনা- কাটতেই রেজা অগোচরে দেশের বাইরে তথা ইরাক পলায়ন করে।অদ্যাবধি ( ৫ বছরেও) তার স্ত্রী সুমি কিংবা তার পরিবারের সাথে কোনপ্রকার যোগাযোগ পর্যন্ত রাখেনি। এক পর্যায়ে সেলিনা বাদী হয়ে এম আর ৩৬৫/২০১৭ফৌঃ দঃ বিঃ ১০৭/১১৭ (সি) ধারায় মামলা করলে প্রবাসী হওয়ায় আইনের উর্ধ্বে থেকেছে বারংবার। স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসার প্রস্তাব করলে দেওয়ানি দরবারের মাধ্যমে সালিশ আয়োজন করা হয় কিন্তুু প্রবাসে থাকায় কোন প্রকার সুরাহা হয়নি বরং এসব করতে করতে আর্থিকভাবে আজ পরিবারটি নিঃস্ব প্রায়। রেজার আশায় না থেকে দ্বিতীয় বিয়ে করা উচিৎ বলে মনে হলেও সেই সামর্থ অনেক আগেই হারিয়েছে পরিবারটি। অভাব তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।এমতাবস্থায় রিকশাচালক আলমগীর, পঙ্গু ফেলানি,ও শিশু নাহিদদের কাতারে ভুক্তভোগীর পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করে দেনমোহর ও খোরপোষ আদায়ে সুবিবেচনা করলে বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকার অঙ্গীকার করেন পরিবারটি।
উক্ত বিষয়টি দৃষ্টিগোচর করলে এবং পুনরায় বিবাহ সম্পূর্ণ করালে মানবিক ইউনিটের সম্মানিত অবিভাবকের হস্তক্ষেপ পরিবারটির শেষ ভরসাস্থল।