ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে “কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ” চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন মেয়র রেজাউল বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল

টিকা কেন্দ্র যেনো মাছবাজার, ভ্যাকসিন নিতে এসে ভাইরাস নিয়ে যাচ্ছে না তো?

আমিনুর রহমান, কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার) থেকে।।

আজ ৭ আগস্ট থেকে দেশের প্রতিটি থানা/উপজেলায় দেওয়া হচ্ছে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণ-টিকাদান।
কেউ বা আগেই অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে শুধুমাত্র টিকা কার্ড নিয়ে আবার কেউবা শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড এবং মোবাইল নাম্বার নিয়ে ভোর হতেই উপস্থিত হয়েছেন ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্ধারণ টিকাদান কেন্দ্রে।

টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, এবং কমলগঞ্জ পৌর মেয়র জুয়েল আহমেদ।

সরেজমিনে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি টিকাদান কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেলো এ যেনো টিকাদান কেন্দ্রে নয় মাছবাজার। গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকা গ্রহণে উৎসাহী ২৫ বছর উর্ধো নারী পুরুষ। যথেষ্ট শারীরিক দুরত্ব মান্য করে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও কেউ মানছেন না শারীরিক দুরত্ব। উল্লেখ্য আজ ৭ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার পৌর কমপ্লেক্সসহ মোট ১০টি কেন্দ্রে বুথ স্থাপনের মাধ্যমে চলছে এই গণ টিকাদান কার্যক্রম।

টিকা গ্রহণ করতে আসা কয়েকজন কে জিজ্ঞাসা করা হলো, কী জন্যে এসেছেন, উত্তরে করোনা ভ্যাকসিন নিতে, জীজ্ঞাস করলাম করোনা ভাইরাস তো ছোঁয়াচে রোগ জানেন, পাশের অন্যজনের শরীরে এই ভাইরাস থাকলে আরেকজনের মধ্যেও এই ভাইরাস প্রবেশ করে। যেহেতু করোনা থেকে মুক্তি পেতেই ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন, আপনার গাদাগাদি করে দাঁড়ানোর জন্যে তো আপনিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন, আপনি তো নিশ্চিত নন পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তি বা আপনি এই ভাইরাস বহণ করছেন না। প্রশ্নে লজ্জিত হয়ে কোন উত্তর দিতে পারেন নি ভ্যাকসিন গ্রহণে আসা ঐ যুবক।

সচেতন মহল মনে করেন, বাংলাদেশে করোনার এই মৃত্যু মিছিলে আসলে এইরকম গণ-টিকাদান কর্মসূচি করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি আরো ব্যাপকহারে বাড়িয়ে দিতে পারে। শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত ছিলো। যার কারণে নিশ্চিত বলতে পারি আমরা টিকা গ্রহণ করতে এসেও, নিয়ে যেতে পারি করোনা ভাইরাস।

এছাড়াও গণ-টিকাদান কর্মসূচীর আগেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতেও দেখা গেছে একই চিত্র, দুরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়ানোর জন্যে পেছনে যথেষ্ট জায়গা থাকার পরেও টিকা গ্রহণে আসা উৎসুক জনতা উপরে পড়ছেন টিকা কার্যক্রমে নিয়োজিত নার্সদের উপরে।

লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে যেইরকম প্রশাসনের ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে, সেইরকম গণ টিকাদান কেন্দ্রেও প্রশাসনের তদারকি তে এর সুষ্ট সমাধান আশা করা যেতে পারে বলে মনে করেন সমাজের সচেতন মহল।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে

টিকা কেন্দ্র যেনো মাছবাজার, ভ্যাকসিন নিতে এসে ভাইরাস নিয়ে যাচ্ছে না তো?

আপডেট টাইম ০২:৪১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১

আমিনুর রহমান, কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার) থেকে।।

আজ ৭ আগস্ট থেকে দেশের প্রতিটি থানা/উপজেলায় দেওয়া হচ্ছে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণ-টিকাদান।
কেউ বা আগেই অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে শুধুমাত্র টিকা কার্ড নিয়ে আবার কেউবা শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড এবং মোবাইল নাম্বার নিয়ে ভোর হতেই উপস্থিত হয়েছেন ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্ধারণ টিকাদান কেন্দ্রে।

টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, এবং কমলগঞ্জ পৌর মেয়র জুয়েল আহমেদ।

সরেজমিনে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি টিকাদান কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেলো এ যেনো টিকাদান কেন্দ্রে নয় মাছবাজার। গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকা গ্রহণে উৎসাহী ২৫ বছর উর্ধো নারী পুরুষ। যথেষ্ট শারীরিক দুরত্ব মান্য করে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও কেউ মানছেন না শারীরিক দুরত্ব। উল্লেখ্য আজ ৭ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার পৌর কমপ্লেক্সসহ মোট ১০টি কেন্দ্রে বুথ স্থাপনের মাধ্যমে চলছে এই গণ টিকাদান কার্যক্রম।

টিকা গ্রহণ করতে আসা কয়েকজন কে জিজ্ঞাসা করা হলো, কী জন্যে এসেছেন, উত্তরে করোনা ভ্যাকসিন নিতে, জীজ্ঞাস করলাম করোনা ভাইরাস তো ছোঁয়াচে রোগ জানেন, পাশের অন্যজনের শরীরে এই ভাইরাস থাকলে আরেকজনের মধ্যেও এই ভাইরাস প্রবেশ করে। যেহেতু করোনা থেকে মুক্তি পেতেই ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন, আপনার গাদাগাদি করে দাঁড়ানোর জন্যে তো আপনিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন, আপনি তো নিশ্চিত নন পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তি বা আপনি এই ভাইরাস বহণ করছেন না। প্রশ্নে লজ্জিত হয়ে কোন উত্তর দিতে পারেন নি ভ্যাকসিন গ্রহণে আসা ঐ যুবক।

সচেতন মহল মনে করেন, বাংলাদেশে করোনার এই মৃত্যু মিছিলে আসলে এইরকম গণ-টিকাদান কর্মসূচি করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি আরো ব্যাপকহারে বাড়িয়ে দিতে পারে। শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত ছিলো। যার কারণে নিশ্চিত বলতে পারি আমরা টিকা গ্রহণ করতে এসেও, নিয়ে যেতে পারি করোনা ভাইরাস।

এছাড়াও গণ-টিকাদান কর্মসূচীর আগেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতেও দেখা গেছে একই চিত্র, দুরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়ানোর জন্যে পেছনে যথেষ্ট জায়গা থাকার পরেও টিকা গ্রহণে আসা উৎসুক জনতা উপরে পড়ছেন টিকা কার্যক্রমে নিয়োজিত নার্সদের উপরে।

লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে যেইরকম প্রশাসনের ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে, সেইরকম গণ টিকাদান কেন্দ্রেও প্রশাসনের তদারকি তে এর সুষ্ট সমাধান আশা করা যেতে পারে বলে মনে করেন সমাজের সচেতন মহল।