ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

লালমনিরহাটে গৃহ বধুকে ধর্ষন চেষ্টা। একাধিক যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। থানায় মামলা।

সাহিদ বাদশা বাবু , লালমনিরহাট ::
লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে রথিপুর কুঠির পাড় এলাকায় গৃহ বধুকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে সুমন্ত চন্দ্র বর্মণ নামে ৫৫ বছরের এক বৃদ্ধের উপর।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন সুবিচার না পেয়ে আজ সোমাবার দুপুরে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার সুবিচার পাওয়ার আশায় একটি অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগীর পরিবার। পরে স্থানীয় শেখ রাসেল স্মৃতি সৌধে সুমন্তের বিচার চেয়ে ঘন্টাব্যাপী মৌন সমাবেশ করে চলে যান কয়েকজন ভূক্তভোগী ও তার পরিবার।

অভিযোগে জানা যায়, একের পর এক যৌন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার রতিপুর গ্রামের ৫৫ বছরের বৃদ্ধ সুমন্ত চন্দ্র বর্মন। এলাকায় একা একা ঘরে থাকতে ভয় পাচ্ছেন সাধারন নারীরা। কখন যে সুমন্ত কার ঘরে প্রবেশ করে যৌন নির্যাতন চালায় তার কোন হিসেব নেই। ভাবী, ভাগ্নি, জ্যাটাই, খুড়া, মাসি, ভাশুর বোয়াসিনসহ এলাকার বিভিন্ন বয়সের নারীদের ঘরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক যৌন নির্যাতন চালায় এ সুমন্ত। এতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ের রতিপুর গ্রামের নারী পুরুষসহ সাধারন মানুষেরা।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী আরও জানায়, গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর কুটির পাড় এলাকার উজ্জল চন্দ্রের স্ত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার শীকার গৃহবধূ আলো মতি (২৬)। গত ২২ জুন তার মাসীর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য নিজ বাড়ি থেকে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন আলো মতি। এ সময় বিকেল গৃহবধূ আলো মতি তার সাজগোজে ব্যস্ত থাকায় ওই এলাকার মৃত যতিন্দ্র চন্দ্রের ছেলে সুমন্ত চন্দ্র রায় আলো মতির ঘরে প্রবেশ করে পেছন থেকে জাপটে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে গৃহবধূ আলো মতি নিজেকে রক্ষায় চিল্লা চিল্লি করলে তার শ^াশুড়ী ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে গৃহবধূ আলো মতিকে উদ্ধার করে। পরে সুমন্ত চন্দ্র পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার সম্মানহানীর ভয়ে প্রথমে মুখ খুলতে রাজি না হলেও পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংশার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে গত ১৩ জুলাই বুধবার লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরবর্তীতে গত ১৮ জুলাই মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন আইন ২০২০ এর ৯(৪) (খ) ধারায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অপরাধে লালমনিরহাট সদর থানা রেকর্ড করেন।

এ সময় ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার পরিবার ও এলাকাবাসী জানায় এতদিন সম্মানের ভয়ে চুপ ছিলাম তবে আর না। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ সময় স্থানীরা বলেন এই ধর্ষণ চেষ্টা কারী সুমন্ত এর আগেও এমন অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সঠিক বিচার হওয়ায় দরকার। এ সময় উপস্থিত রথিপুর এলাকার দেবেস্বরের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী বলেন, সুমন্ত আমার স্বামীর পরিচিত ও ভাসুর হওয়ায় আমার বাড়িতে যাওয়া আসা করত। আমি গোসল করছিলাম সে সময় সুমন্ত এসে আমার গোসল করা দেখে এবং কুনজরে তাকিয়ে থাকে। স্বামী বাড়িতে থাকায় তেমন কিছু করতে পারেনি। এই সুমন্ত প্রায় প্রতিদিন একটা না একটা বাড়িতে ঢুকে আর মহিলাদের মধ্যে যাকে পায় তার উপরই যৌন নির্যাতন করি বেড়ায়।

একই এলাকার রনজিৎ চন্দ্রের স্ত্রী শেফালী রানী বলেন, সুমন্ত একদিন আমার ঘরে হঠাৎ প্রবেশ করে। ঐ সময় বাড়িতে শাশুড়ী ছাড়া আর কেউ ছিলো না। আমি ঘরের বাহিরে ছিলাম হঠাৎ ঘরে ঢুকে দেখি সুমন্ত বসে আছে এবং কুনজরে আমার দিকে দেখছে। পরে আমাকে জাপটে ধরার চেষ্টা করলে ভয়ে আমি সেখান থেকে সটকে পড়ি। এই সুমন্ত বুড়া হলেও খারাপ প্রকৃতির। আজকে একজনের ঘরে ঢুকে তো কালকে আর একজনের ঘরে প্রবেশ করে। টাকা থাকায় এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানরা তার বিচার করে না। পুরো এলাকার মহিলাদের খালি শারীরিক নির্যাতনই করে চলছে। এভাবে খালি শরীরত হাত দেয় আর যৌন নির্যাতন করে সুমন্ত। এতে কি মানুষের সাহস বাড়ে না? সুমন্তর এমন কাজে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। দ্রুত ধর্ষণ চেষ্টাকারী সুমন্তের শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে একই এলাকার সনেকা বেওয়া বলেন, সুমন্তের একজন বোয়াসিনকে একদিন জোর করে ধরিয়া হুরাহুরি করি এ্যাও কইরবার ধরছে যৌন নির্যাতন)। পরে আমাক নেদাই দিয়া ফালায় দিয়া পালে চলি যায় সুমন্ত। বুড়া হইছে এমন বুড়া ছাগল। ভাশুর কি কোন দিন বোয়াসিনক এমন করে? কেমন মানুষ ইয়ার কোন বিচার নাই। উয়ার টাকা ম্যালা সবায় খালি ওর টাকায় খায় কিন্তু বিচার হয় না। হামরা বিচার চাই সুমন্তের।

একই এলাকার বৃদ্ধ মনোরঞ্জন বলেন, সুমন্ত খুব খারাপ। এলাকার মহিলাগুলাক ধরে আর ওগুলা করে। এলাকার মহিলাদের উপর অত্যাচার করে। হামরা সুমন্তের বিচার চাই। এলাকার মানুষও কোন বিচার করে না। থানাত মামলা হইছে পুলিশও যায় না। তারে জন্য হামরা আজ সোমবার এসপির কাছত আচ্চি।

একই এলাকার আরও এক বৃদ্ধ সুবল চন্দ্র বলেন, এই সুমন এলাকার আরও প্রায় বহু মহিলার ক্ষতি করছে। প্রায় একটার পর একটা মহিলার ঘরত ঢোকে আর ক্ষতি করে। ওমার টাকা পয়সা আছে। ওমার কাও বিচার করে না। এলাকাবাসীক বিচার দিছি তার হল না। শেষ পর্যন্ত থানাত বিচার দিলাম থানাও এখন পর্যন্ত গেল না।

আরেক এলাকাবাসী বিষ্ণু পদো জানায়, এলাকায় সুমন্ত আরও অনেক ঘটনা ঘটাইছে। বার বার ঘটছে এমন ঘটনা। কেউ কাকি কেউ বোয়াসিন। কেউ স্বরম লজ্জায় বলে আবার কেউ বলে না। আমরা গরীব হতে পারি এজন্য কি কোন আমরা কোন ফল পাব না? এলাকাবাসী অতিষ্ট তার এ কর্মকান্ডে। এলাকায় যখন বিচার হল তাই আমরা থানায় মামলা দিছি কিন্তু কোন বিচার পাইলাম না। দেখি যে দেশে বিচার নাই। আবার বাদীর এর মধ্যে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ জন্য আজ এসপি স্যারের কাছে আসনো দেখি ওনি কি করেন বিচার আছে কি না। ওনাকেও একটা অভিযোগ দিলাম সুবিচার পাওয়ার আসায়।

এলাকার ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা বলেন, ভাসতা বউ, বোয়াসিন, কাকি ও খুড়া কিছুই না মানে। সবাকে খালি বোলায় সুমন্ত। সবারে গায়ে হাত দেয়। দেশত কি বিচার নাই। হামরা বিচার চাই। ওটা ভাল নোমায়। ছাগল ওটা ওটা বুড়া ছাগল। (বিঃদ্রঃ এই ভাষাগুলো যে বৃদ্ধা বলেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হল নিউজের স্বার্থে তবে সংযোজন বিয়োজন কর্তৃপক্ষ করতে পারে)

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, মামলা রেকর্ডও করা হয়েছে। তবে কয়েকবার আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা তাকে পাওয়া যায়নি। তবে আসামীকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে।

এদিকে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা জানান, আমি বিষয়টি এতদিন শুনিনি। তবে আজ ভুক্তভোগীর পরিবার মামলার কপি আমাকে দিয়েছে। এ রকম একের পর এক যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে অথচ বিচার পাবে না এটি হতে পারে না। আমি বিয়ষটি দেখছি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

লালমনিরহাটে গৃহ বধুকে ধর্ষন চেষ্টা। একাধিক যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। থানায় মামলা।

আপডেট টাইম ০৬:০৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১

সাহিদ বাদশা বাবু , লালমনিরহাট ::
লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে রথিপুর কুঠির পাড় এলাকায় গৃহ বধুকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে সুমন্ত চন্দ্র বর্মণ নামে ৫৫ বছরের এক বৃদ্ধের উপর।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন সুবিচার না পেয়ে আজ সোমাবার দুপুরে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার সুবিচার পাওয়ার আশায় একটি অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগীর পরিবার। পরে স্থানীয় শেখ রাসেল স্মৃতি সৌধে সুমন্তের বিচার চেয়ে ঘন্টাব্যাপী মৌন সমাবেশ করে চলে যান কয়েকজন ভূক্তভোগী ও তার পরিবার।

অভিযোগে জানা যায়, একের পর এক যৌন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার রতিপুর গ্রামের ৫৫ বছরের বৃদ্ধ সুমন্ত চন্দ্র বর্মন। এলাকায় একা একা ঘরে থাকতে ভয় পাচ্ছেন সাধারন নারীরা। কখন যে সুমন্ত কার ঘরে প্রবেশ করে যৌন নির্যাতন চালায় তার কোন হিসেব নেই। ভাবী, ভাগ্নি, জ্যাটাই, খুড়া, মাসি, ভাশুর বোয়াসিনসহ এলাকার বিভিন্ন বয়সের নারীদের ঘরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক যৌন নির্যাতন চালায় এ সুমন্ত। এতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ের রতিপুর গ্রামের নারী পুরুষসহ সাধারন মানুষেরা।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী আরও জানায়, গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর কুটির পাড় এলাকার উজ্জল চন্দ্রের স্ত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার শীকার গৃহবধূ আলো মতি (২৬)। গত ২২ জুন তার মাসীর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য নিজ বাড়ি থেকে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন আলো মতি। এ সময় বিকেল গৃহবধূ আলো মতি তার সাজগোজে ব্যস্ত থাকায় ওই এলাকার মৃত যতিন্দ্র চন্দ্রের ছেলে সুমন্ত চন্দ্র রায় আলো মতির ঘরে প্রবেশ করে পেছন থেকে জাপটে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে গৃহবধূ আলো মতি নিজেকে রক্ষায় চিল্লা চিল্লি করলে তার শ^াশুড়ী ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে গৃহবধূ আলো মতিকে উদ্ধার করে। পরে সুমন্ত চন্দ্র পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার সম্মানহানীর ভয়ে প্রথমে মুখ খুলতে রাজি না হলেও পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংশার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে গত ১৩ জুলাই বুধবার লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরবর্তীতে গত ১৮ জুলাই মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন আইন ২০২০ এর ৯(৪) (খ) ধারায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অপরাধে লালমনিরহাট সদর থানা রেকর্ড করেন।

এ সময় ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার পরিবার ও এলাকাবাসী জানায় এতদিন সম্মানের ভয়ে চুপ ছিলাম তবে আর না। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ সময় স্থানীরা বলেন এই ধর্ষণ চেষ্টা কারী সুমন্ত এর আগেও এমন অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সঠিক বিচার হওয়ায় দরকার। এ সময় উপস্থিত রথিপুর এলাকার দেবেস্বরের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী বলেন, সুমন্ত আমার স্বামীর পরিচিত ও ভাসুর হওয়ায় আমার বাড়িতে যাওয়া আসা করত। আমি গোসল করছিলাম সে সময় সুমন্ত এসে আমার গোসল করা দেখে এবং কুনজরে তাকিয়ে থাকে। স্বামী বাড়িতে থাকায় তেমন কিছু করতে পারেনি। এই সুমন্ত প্রায় প্রতিদিন একটা না একটা বাড়িতে ঢুকে আর মহিলাদের মধ্যে যাকে পায় তার উপরই যৌন নির্যাতন করি বেড়ায়।

একই এলাকার রনজিৎ চন্দ্রের স্ত্রী শেফালী রানী বলেন, সুমন্ত একদিন আমার ঘরে হঠাৎ প্রবেশ করে। ঐ সময় বাড়িতে শাশুড়ী ছাড়া আর কেউ ছিলো না। আমি ঘরের বাহিরে ছিলাম হঠাৎ ঘরে ঢুকে দেখি সুমন্ত বসে আছে এবং কুনজরে আমার দিকে দেখছে। পরে আমাকে জাপটে ধরার চেষ্টা করলে ভয়ে আমি সেখান থেকে সটকে পড়ি। এই সুমন্ত বুড়া হলেও খারাপ প্রকৃতির। আজকে একজনের ঘরে ঢুকে তো কালকে আর একজনের ঘরে প্রবেশ করে। টাকা থাকায় এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানরা তার বিচার করে না। পুরো এলাকার মহিলাদের খালি শারীরিক নির্যাতনই করে চলছে। এভাবে খালি শরীরত হাত দেয় আর যৌন নির্যাতন করে সুমন্ত। এতে কি মানুষের সাহস বাড়ে না? সুমন্তর এমন কাজে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। দ্রুত ধর্ষণ চেষ্টাকারী সুমন্তের শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে একই এলাকার সনেকা বেওয়া বলেন, সুমন্তের একজন বোয়াসিনকে একদিন জোর করে ধরিয়া হুরাহুরি করি এ্যাও কইরবার ধরছে যৌন নির্যাতন)। পরে আমাক নেদাই দিয়া ফালায় দিয়া পালে চলি যায় সুমন্ত। বুড়া হইছে এমন বুড়া ছাগল। ভাশুর কি কোন দিন বোয়াসিনক এমন করে? কেমন মানুষ ইয়ার কোন বিচার নাই। উয়ার টাকা ম্যালা সবায় খালি ওর টাকায় খায় কিন্তু বিচার হয় না। হামরা বিচার চাই সুমন্তের।

একই এলাকার বৃদ্ধ মনোরঞ্জন বলেন, সুমন্ত খুব খারাপ। এলাকার মহিলাগুলাক ধরে আর ওগুলা করে। এলাকার মহিলাদের উপর অত্যাচার করে। হামরা সুমন্তের বিচার চাই। এলাকার মানুষও কোন বিচার করে না। থানাত মামলা হইছে পুলিশও যায় না। তারে জন্য হামরা আজ সোমবার এসপির কাছত আচ্চি।

একই এলাকার আরও এক বৃদ্ধ সুবল চন্দ্র বলেন, এই সুমন এলাকার আরও প্রায় বহু মহিলার ক্ষতি করছে। প্রায় একটার পর একটা মহিলার ঘরত ঢোকে আর ক্ষতি করে। ওমার টাকা পয়সা আছে। ওমার কাও বিচার করে না। এলাকাবাসীক বিচার দিছি তার হল না। শেষ পর্যন্ত থানাত বিচার দিলাম থানাও এখন পর্যন্ত গেল না।

আরেক এলাকাবাসী বিষ্ণু পদো জানায়, এলাকায় সুমন্ত আরও অনেক ঘটনা ঘটাইছে। বার বার ঘটছে এমন ঘটনা। কেউ কাকি কেউ বোয়াসিন। কেউ স্বরম লজ্জায় বলে আবার কেউ বলে না। আমরা গরীব হতে পারি এজন্য কি কোন আমরা কোন ফল পাব না? এলাকাবাসী অতিষ্ট তার এ কর্মকান্ডে। এলাকায় যখন বিচার হল তাই আমরা থানায় মামলা দিছি কিন্তু কোন বিচার পাইলাম না। দেখি যে দেশে বিচার নাই। আবার বাদীর এর মধ্যে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ জন্য আজ এসপি স্যারের কাছে আসনো দেখি ওনি কি করেন বিচার আছে কি না। ওনাকেও একটা অভিযোগ দিলাম সুবিচার পাওয়ার আসায়।

এলাকার ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা বলেন, ভাসতা বউ, বোয়াসিন, কাকি ও খুড়া কিছুই না মানে। সবাকে খালি বোলায় সুমন্ত। সবারে গায়ে হাত দেয়। দেশত কি বিচার নাই। হামরা বিচার চাই। ওটা ভাল নোমায়। ছাগল ওটা ওটা বুড়া ছাগল। (বিঃদ্রঃ এই ভাষাগুলো যে বৃদ্ধা বলেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হল নিউজের স্বার্থে তবে সংযোজন বিয়োজন কর্তৃপক্ষ করতে পারে)

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, মামলা রেকর্ডও করা হয়েছে। তবে কয়েকবার আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা তাকে পাওয়া যায়নি। তবে আসামীকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে।

এদিকে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা জানান, আমি বিষয়টি এতদিন শুনিনি। তবে আজ ভুক্তভোগীর পরিবার মামলার কপি আমাকে দিয়েছে। এ রকম একের পর এক যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে অথচ বিচার পাবে না এটি হতে পারে না। আমি বিয়ষটি দেখছি।