জাজিরায় বাহুবলে অর্ধশতাধিক বাঁশ ও গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ।
নুর আলম, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর জাজিরা থানার মূলনা ইউনিয়নের সাবেক লাউখোলা গ্রামে দেলোয়ার মৃধা (৫৮) এর জমির ৪টি বাঁশঝাড়ের সবকটি বাঁশ ও দুইটি মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মৃত সিতাব্দি মৃধার ছেলে জব্বার মৃধা (৫৫) এর বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ৩৬নং লাউখোলা মৌজার বি আর এস এ ৪৮৭নং ও প্রস্তাবিত ৬৩৮নং আগত ৫৫২,৫৬২নং খতিয়ানে ৬৫৫নং জোতে ১০৪নং দাগে সর্বমোট ২৪শতাংস জমি বিগত ১৭/১০/২০১১ইং তারিখে ২৬৮নং দলিল মূলে মালিক হয়ে বর্তমানে ভোগ দখলে আছে দেলোয়ার হোসেন মৃধা। সেই জমিতে বাঁশঝাড় ও গাছ লাগান ভুক্তভোগী দেলোয়ার মৃধা। কিন্তু বাহুবল প্রয়োগ করে সেই জমির গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে তার বাড়ির প্রতিবেশী জব্বার মৃধা (৫৫) ফয়জল মৃধা (৩৫) হুমায়ুন মৃধা (৩০) নান্নু মৃধা (২৭) ও হান্নান মৃধা (২৪) এর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী দেলোয়ার মৃধা দৈনিক মাতৃভূমির খবরকে জানান, উল্লেখিত বাঁশ গাছ ও জমি আমাদের। ওরা খুব প্রভাবশালী, তাই আমি তাদের সাথে পেরে উঠিনা। এর আগেও আমার ছেলের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলো ওরা। আমি থানায় গিয়ে মামলা করেছিলাম। পরে স্থানীয় শালিশ বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসা হয়। ওদের ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হলেও আমি সেই জরিমানার টাকা ছেড়ে দিয়েছি। যাতে আমাদের আর ওরা না জ্বালায়। কিন্তু আবার সেই একেই রকম করছে ওরা।
ভুক্তভোগী দেলোয়ার মৃধার ভাই কুদ্দুস মৃধা বলেন, জব্বার মৃধা আমার ভাইয়ের গাছ কেটে নিয়ে গেছে। বিষয়টি বাড়িতে এসে দেখেছি। দেখার পর আমি এই বিষয়ে থানা বরাবর একটি অভিযোগ করেছি। ওরা আমাদের গাছ ও বাঁশ কেটেছে, আমি তার বিচার চাই।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত জব্বার মৃধার বাড়িতে গেলে তিনি মাতৃভূমির খবর’কে বলেন, এই জমি আমাদের। আমরা বহুবার ওদের বলছি বিচারে (গ্রাম্য শালিশ) বসতে। কিন্তু ওরা বিচারে বসেনা। তাই আজকে বাঁশ ও গাছ কেটেছি। বিষয়টি চেয়ারম্যান জানে এবং একটি শালিশ বৈঠকের সময়ও নির্ধারিত করে দিয়েছে চেয়ারম্যান।
এবিষয়ে কথা বলতে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যানকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বিদ্যুৎ সরদার নামে একজন বলেন, চেয়ারম্যান গিয়ে তারিখ দিয়ে আসছে বিচারের। যা করার বিচারে বসে করবে।
অভিযোগের বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, কুদ্দুস মৃধা নামের একজন গাঁছ ও বাঁশ কাটার লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে, তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যাবস্থা নিবো।