আলোচিত মেয়র মুক্তার সাময়িক বরখাস্ত
অনুপ কুমার রায় রাজশাহীঃ
রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভার মেয়র মুক্তার আলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় তাঁকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে রোববার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন। মেয়র মুক্তার আলী গ্রেপ্তার হয়ে এখন অস্ত্র মামলায় চারদিনের রিমান্ডে আছেন।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) তাঁর রিমান্ড শেষ হবে। এ দিনই তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আড়ানী পৌরসভার মেয়র মুক্তার আলীর বিরুদ্ধে বাঘা থানায় মামলা হয়েছে।এটি স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন অনুযায়ী মেয়র পদ থেকে তাঁকে অপসারণযোগ্য অপরাধ। এমন অপরাধমূলক কার্যক্রম পৌর পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বলে সরকার মনে করে। তাই তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। অবিলম্বে এটি কার্যকর হবে।এক কলেজশিক্ষককে মারধরের জেরে মুক্তার আলীর বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার বাঘা থানায় একটি মামলা হয়। এরপর পুলিশ তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা, অস্ত্র এবং মাদকসহ স্ত্রী এবং দুই ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর গত শুক্রবার ভোরে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে মেয়র মুক্তার ও তাঁর শ্যালককে গ্রেপ্তার করে। সেদিনই তাঁর বাড়িতে আবারও অভিযান চালানো হয়।এ অভিযানেও মেলে নগদ টাকা, অস্ত্র এবং মাদক। বিকালে তাঁকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার থেকেই জেলার পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে মেয়রকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৈয়ব আলী সোমবার দুপুরে বলেন, ‘তদন্তাধীন বিষয়ে এখন কথা বলা যাবে না।’ তিনি জানান, মঙ্গলবার মুক্তার আলীর রিমান্ড শেষ হবে।মুক্তার আলী ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। এরপর পৌরসভার কাউন্সিলর হন। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবার মেয়র হন।
এ বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তিনি ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। মামলা-হামলায় দলীয় প্রার্থীকে কোণঠাসা করে জয়ীও হন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এখন তাঁর নামে মোট মামলার সংখ্যা ১০টি।