ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ফরিদগঞ্জের ৩ শতাধিক গরু খামারি ও ব্যবসায়ীরা। 

এফ.এ.মানিক(ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি)
বৈশ্বিক করোনার কারণে ফরিদগঞ্জে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক গো-খামারি ও কৃষকদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। সামনে কোরবানির ঈদ,আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু ছাগল প্রস্তুত করে রাখার পরেও দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না তাদের। প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের পর থেকেই কোরবানির পশু ক্রয়- বিক্রি শুরু হয়, অথচ ঈদের দু’সপ্তাহ বাকি থাকলেও এলাকায় কোরবানির পশু  ক্রয়-বিক্রয় শুরু করতে না পারায় সকলের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা পশু সম্পদ কার্যালয়ের সূত্রমতে,উপজেলায় ৫ হাজার গরু ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হলেও বেসরকারিভাবে এর পরিমাণ দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।
প্রতিবারের মতো এবারও ফরিদগঞ্জ  উপজেলায় কয়েক হাজার গরু ছাগল লালন পালন করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে খামারি এবং কৃষকের বাড়ি থেকেই বড় একটা অংশ পশু বিক্রয় হয়ে থাকে। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এবার এখনও পর্যন্ত ব্যাপারী ও ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। করোনার কারণে ও লকডাউন দেয়ায় কেউ এলাকায় আসছেন না। । উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতিষময় ভৌমিক বলেন, উপজেলায় পর্যাপ্ত গরু ছাগল রয়েছে, এই করোনার কারণে হাট বাজারের কি অবস্থা হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, হাটে না গিয়ে অনলাইনে পশু বিক্রির জন্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
উপজেলার হর্নি দূর্গাপুর গ্রামের পাটোওয়ারী এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী আকবর পাটোওয়ারী জানান,আমি ৩৬টি গরু প্রস্তুত করেছি। ধানুয়া গ্রামে ভাই ভাই ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী মাহফুজ জানান, ঈদ সামনে রেখে আমি ৭০ টি গরু প্রস্তুত করেছি। বড়ালী গ্রামের ইমান তালুকদার জানান ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি করার জন্য আমি ২৫ টি গরু লালন পালন করছি,এই দিকে পাটোওয়ারী বাজারের আরেকজন খামারী সেন্টু পাটোওয়ারী বলেন, পবিত্র কোরবানি ঈদ সামনে রেখে আমি ৮০ টির উপরে গরু ছাগল প্রস্তুত করেছি।  কয়েকজন খামারী বলেন  আমরা গো-খামারি ঋণ নিয়ে গরু কিনে লালন পালন করছি, করোনার ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। গত বছরও করোনার কারণে লোকসান গুণতে হয়েছে এবারও তেমনটি হবার আশঙ্কা রয়েছে ।
এছাড়া বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে অনেক কৃষক বাড়িতে দু’চারটে করে গরু ছাগল লালন পালন করেছেন। তারা জানান, বেশি দামে গোখাদ্য কিনে ও আনুষাঙ্গিক অনেক খরচ করে যদি পশুর সঠিক মূল্য না পাওয়া যায় তাহলে তাদের বড় ধরণের লোকসানে পড়তে হবে। অনেক খামারি আশা করছেন ঈদের আগেই করোনা পরিস্থিতি ভাল হলে এবং গরু নিয়ে বিভিন্ন হাটে যেতে পারলে  গরু বিক্রি করে লাভবান হবো। যদি করোনার কারণে কোরবানির পশু বিক্রি করতে না পারি তাহলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমাদের।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ফরিদগঞ্জের ৩ শতাধিক গরু খামারি ও ব্যবসায়ীরা। 

আপডেট টাইম ০৮:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১
এফ.এ.মানিক(ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি)
বৈশ্বিক করোনার কারণে ফরিদগঞ্জে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক গো-খামারি ও কৃষকদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। সামনে কোরবানির ঈদ,আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু ছাগল প্রস্তুত করে রাখার পরেও দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না তাদের। প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের পর থেকেই কোরবানির পশু ক্রয়- বিক্রি শুরু হয়, অথচ ঈদের দু’সপ্তাহ বাকি থাকলেও এলাকায় কোরবানির পশু  ক্রয়-বিক্রয় শুরু করতে না পারায় সকলের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা পশু সম্পদ কার্যালয়ের সূত্রমতে,উপজেলায় ৫ হাজার গরু ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হলেও বেসরকারিভাবে এর পরিমাণ দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।
প্রতিবারের মতো এবারও ফরিদগঞ্জ  উপজেলায় কয়েক হাজার গরু ছাগল লালন পালন করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে খামারি এবং কৃষকের বাড়ি থেকেই বড় একটা অংশ পশু বিক্রয় হয়ে থাকে। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এবার এখনও পর্যন্ত ব্যাপারী ও ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। করোনার কারণে ও লকডাউন দেয়ায় কেউ এলাকায় আসছেন না। । উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতিষময় ভৌমিক বলেন, উপজেলায় পর্যাপ্ত গরু ছাগল রয়েছে, এই করোনার কারণে হাট বাজারের কি অবস্থা হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, হাটে না গিয়ে অনলাইনে পশু বিক্রির জন্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
উপজেলার হর্নি দূর্গাপুর গ্রামের পাটোওয়ারী এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী আকবর পাটোওয়ারী জানান,আমি ৩৬টি গরু প্রস্তুত করেছি। ধানুয়া গ্রামে ভাই ভাই ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী মাহফুজ জানান, ঈদ সামনে রেখে আমি ৭০ টি গরু প্রস্তুত করেছি। বড়ালী গ্রামের ইমান তালুকদার জানান ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি করার জন্য আমি ২৫ টি গরু লালন পালন করছি,এই দিকে পাটোওয়ারী বাজারের আরেকজন খামারী সেন্টু পাটোওয়ারী বলেন, পবিত্র কোরবানি ঈদ সামনে রেখে আমি ৮০ টির উপরে গরু ছাগল প্রস্তুত করেছি।  কয়েকজন খামারী বলেন  আমরা গো-খামারি ঋণ নিয়ে গরু কিনে লালন পালন করছি, করোনার ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। গত বছরও করোনার কারণে লোকসান গুণতে হয়েছে এবারও তেমনটি হবার আশঙ্কা রয়েছে ।
এছাড়া বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে অনেক কৃষক বাড়িতে দু’চারটে করে গরু ছাগল লালন পালন করেছেন। তারা জানান, বেশি দামে গোখাদ্য কিনে ও আনুষাঙ্গিক অনেক খরচ করে যদি পশুর সঠিক মূল্য না পাওয়া যায় তাহলে তাদের বড় ধরণের লোকসানে পড়তে হবে। অনেক খামারি আশা করছেন ঈদের আগেই করোনা পরিস্থিতি ভাল হলে এবং গরু নিয়ে বিভিন্ন হাটে যেতে পারলে  গরু বিক্রি করে লাভবান হবো। যদি করোনার কারণে কোরবানির পশু বিক্রি করতে না পারি তাহলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমাদের।