ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  বাংলাদেশের নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে।

কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা। তার জন্ম ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালে। সে সময় বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকলেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া শেখেন এবং ছোটবেলা থেকেই কবিতা চর্চা করেন।

বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে মহীয়সী এ নারীর জীবনাদর্শ ও সাহিত্যকর্ম একটি বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে কবি বেগম সুফিয়া কামালের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পচাঁত্তরের পনেরই আগস্টে নির্মমভাবে হত্যা করে যখন এদেশের ইতিহাস বিকৃতির পালা শুরু হয়, তখনও তাঁর সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল।

সুফিয়া কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামকরণের দাবি জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে গঠিত আন্দোলনে কবি যোগ দেন। বেগম সুফিয়া কামাল শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর সুফিয়া কামাল মৃত্যুবরন করেন। তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যদায় সমাহিত করা হয় । বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এ সন্মান লাভ করেন। সুফিয়া কামালের লেখা কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, মন ও জীবন , দিওয়ান, অভিযাত্রিক ইত্যাদি। ‘কেয়ার কাটা নামে একটি গল্পগ্রন্থ ছাড়াও তিনি ভ্রমন কাহিনী, স্মৃতি কথা শিশুতোষ এবং আত্মজীবনীমূলক রচনাও লিখেছেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট টাইম ০৬:১৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  বাংলাদেশের নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে।

কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা। তার জন্ম ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালে। সে সময় বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকলেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া শেখেন এবং ছোটবেলা থেকেই কবিতা চর্চা করেন।

বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে মহীয়সী এ নারীর জীবনাদর্শ ও সাহিত্যকর্ম একটি বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে কবি বেগম সুফিয়া কামালের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পচাঁত্তরের পনেরই আগস্টে নির্মমভাবে হত্যা করে যখন এদেশের ইতিহাস বিকৃতির পালা শুরু হয়, তখনও তাঁর সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল।

সুফিয়া কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামকরণের দাবি জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে গঠিত আন্দোলনে কবি যোগ দেন। বেগম সুফিয়া কামাল শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর সুফিয়া কামাল মৃত্যুবরন করেন। তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যদায় সমাহিত করা হয় । বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এ সন্মান লাভ করেন। সুফিয়া কামালের লেখা কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, মন ও জীবন , দিওয়ান, অভিযাত্রিক ইত্যাদি। ‘কেয়ার কাটা নামে একটি গল্পগ্রন্থ ছাড়াও তিনি ভ্রমন কাহিনী, স্মৃতি কথা শিশুতোষ এবং আত্মজীবনীমূলক রচনাও লিখেছেন।