ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

কুমেকে সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ ও মারধর করলো ওয়ার্ড মাস্টার।

কুমেকে সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ ও মারধর করলো ওয়ার্ড মাস্টার।
মনির খান স্টাফ রিপোর্টার জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (কুমেক) সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে অমিত মজুমদার নামে এক সাংবাদিককে মারপিট ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রেজাউল করিম।
সোমবার (৫ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক অমিত মজুমদামদার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোষ্টের কুমিল্লা সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক অমিত মজুমদার বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক থেকে অনুমতি নিয়ে তিনি করোনা ইউনিটের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলতে চাইলে ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। এ পর্যায়ে আমাকে মারপিঠ করেন এবং ক্যামরা  ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে উপস্থিত আনসার সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। ছবি না তুলে এখান থেকে তাকে চলে যেতে বলেছি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বলেন, অনাকাঙ্খিত যে ঘটনাটি ঘটেছে সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ঘটনাটি তদন্ত করে ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
বিভিন্ন স্থানীয় সূত্র জানায়, ওয়ার্ড মাষ্টার আক্তার হোসাইন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বাসিন্দা। গত প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি এ হাসপাতালে কর্মরত আছেন। এই সময়ে ওয়ার্ড মাষ্টার আক্তার হোসেন নানা অনিয়মে জড়িত হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালের দালাল চক্র, এ্যাম্বুলেন্সের দালাল চক্রের সাথেও তার সখ্যতা রয়েছে। দীর্ঘ সময়ে এই হাসপাতালে চাকুরি করার সুবাধে অসীম ক্ষমতার বনে যান এই ওয়ার্ড মাষ্টার।  মানুষ হয়রানির সাথে জড়িত দালাল চক্রের কাছ থেকে মাসিক মাসোয়ারা নেন এই ওয়ার্ড মাষ্টার। এর আগেও সংবাদ সংগ্রহের কাজে যাওয়ার পরে এক ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার প্রতিনিধির সাথেও ওয়ার্ড মাষ্টার আক্তার হোসেন খারাপ আচরণ করেছিলেন।তার কাছ থেকে খারাপ আচরণের শিকার হয়েছেন অনেকেই।
০৫/০৭/২১ ইং
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

কুমেকে সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ ও মারধর করলো ওয়ার্ড মাস্টার।

আপডেট টাইম ০৯:১৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১
কুমেকে সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ ও মারধর করলো ওয়ার্ড মাস্টার।
মনির খান স্টাফ রিপোর্টার জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (কুমেক) সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে অমিত মজুমদার নামে এক সাংবাদিককে মারপিট ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রেজাউল করিম।
সোমবার (৫ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক অমিত মজুমদামদার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোষ্টের কুমিল্লা সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক অমিত মজুমদার বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক থেকে অনুমতি নিয়ে তিনি করোনা ইউনিটের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলতে চাইলে ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। এ পর্যায়ে আমাকে মারপিঠ করেন এবং ক্যামরা  ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে উপস্থিত আনসার সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। ছবি না তুলে এখান থেকে তাকে চলে যেতে বলেছি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বলেন, অনাকাঙ্খিত যে ঘটনাটি ঘটেছে সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ঘটনাটি তদন্ত করে ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
বিভিন্ন স্থানীয় সূত্র জানায়, ওয়ার্ড মাষ্টার আক্তার হোসাইন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বাসিন্দা। গত প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি এ হাসপাতালে কর্মরত আছেন। এই সময়ে ওয়ার্ড মাষ্টার আক্তার হোসেন নানা অনিয়মে জড়িত হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালের দালাল চক্র, এ্যাম্বুলেন্সের দালাল চক্রের সাথেও তার সখ্যতা রয়েছে। দীর্ঘ সময়ে এই হাসপাতালে চাকুরি করার সুবাধে অসীম ক্ষমতার বনে যান এই ওয়ার্ড মাষ্টার।  মানুষ হয়রানির সাথে জড়িত দালাল চক্রের কাছ থেকে মাসিক মাসোয়ারা নেন এই ওয়ার্ড মাষ্টার। এর আগেও সংবাদ সংগ্রহের কাজে যাওয়ার পরে এক ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার প্রতিনিধির সাথেও ওয়ার্ড মাষ্টার আক্তার হোসেন খারাপ আচরণ করেছিলেন।তার কাছ থেকে খারাপ আচরণের শিকার হয়েছেন অনেকেই।
০৫/০৭/২১ ইং