ঢাকা ০১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

মাদারীপুরে করানো মহামারীর মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই মানবসেবায় এগিয়ে আসছে রক্তদাতা সংগঠনগুলো।

মাদারীপুরে করানো মহামারীর মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই মানবসেবায় এগিয়ে আসছে রক্তদাতা সংগঠনগুলো।
 
রকিবুজ্জামান,
মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দেশে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির মাঝেও থেমে নেই সেচ্ছায় রক্তদানে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কার্যক্রম। কোথাও জরুরী রক্ত লাগলেই রক্তদাতারা ছুটে যাচ্ছেন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই । তাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রম ও মানবতার ফলে বেঁচে যাচ্ছে অনেক প্রাণ। এরপরও কোথাও কোথাও রক্তদাতার সাথে প্রশাসনের লোকদের খারাপ আচরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অথচ যে মানুষটি(রক্তদাতা) করোনার মাঝে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বের হয়েছে অন্যের জীবন বাঁচাতে, তাদের সাথে এমন আচরণ সত্যি দুঃখজনক। হয়তোবা এই রক্তদাতা আজ না এগিয়ে আসলে মারা যেত আপনার/আমার কাছের কোন আত্মীয়। তাই প্রয়োজনে রক্তের সন্ধানকারী রোগীর লোকের সাথে অথবা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করে রক্তদাতাদের চলাচল করতে দেয়ার দাবি জানিয়েছে সেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠনগুলো। মাদারীপুর জেলায় এরকম কয়েকটি সেচ্ছায় রক্তদানের সংগঠন রয়েছে। যারা দিনরাত যেকোনো সময় রোগীদের রক্তের প্রয়োজনে এগিয়ে আসছে। মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় রয়েছে  “কালকিনি ব্লাড ডোনার সোসাইটি” নামে রক্তদান সংগঠন।
“রক্ত দিয়ে এনেছি স্বাধীনতা, রক্ত দিয়ে বাঁচাবো মানবতা” এই শ্লোগান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এই সংগঠনের কর্মীরা। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা জেপি জুলহাস বলেন, “আমি করোনা মোকাবেলায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই ।তারা যেমন তাদের নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করছেন। ঠিক তেমনি আমাদের সেচ্ছাসেবীরাও নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই করোনার মাঝে  এগিয়ে না আসলে অনেক মুমূর্ষ রোগীদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো না। তাই আমাদের প্রতি প্রশাসনের আরো সহনশীল হওয়া দরকার।”
সংগঠনটির সভাপতি রোমান হোসেন রানা মৃধা বলেন,”আমরা নিজেদের প্রয়োজনে বাহিরে বের হচ্ছি না, বের হচ্ছি অন্যের জীবন বাঁচাতে। আজ আমি ঘরে শুয়ে থাকলে হয়তো অন্য কোন মুমুর্ষ রোগী রক্তের অভাবে মারা যেত। রক্তদান একটি মহৎ কাজ। সকলের উচিৎ রক্তদাতাদের সহায়তা করা।”
কালকিনি ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ বিন আবদুল্লাহ ও দপ্তর সম্পাদক নাজিম ইসলাম বলেন, “অনেক সময় রক্ত পেয়ে গেলে  রক্তদাতার কথা রোগীর লোকও ভুলে যায়! সেখানে অন্যদের কথা আর কি বলব!   আসলে যখন নিজেদের কারো রক্ত লাগে তখনই মানুষ রক্তের বা রক্তদাতার মুল্য বোঝে । সম্প্রতি রক্তদাতার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা উল্লেখ করে তারা বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। আজ যদি ঐ কর্মকর্তাদের কোন আত্মীয়ের রক্তের প্রয়োজন হতে, তখন কি তারা এমন করতে পারতো? আমরা নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে মাঝে মাঝে রক্তদিতে এগিয়ে আসি শুধুমাত্র মানবতার তাগিদে। কখনো রোগীর লোকের কাছে টাকা দাবি করিনা। রাতদিন সবসময়ই আমরা মানবতার টানে এগিয়ে আসি । কখনো কোন যানবাহন না পেলে কয়েক মাইল হেটেই চলে যাই হাসপাতালে।তারপরও আমরা অবহেলিত । রক্ত পাবার পর রোগীর লোকের একটা সস্তির হাসি দেখলেই আমাদের কষ্ট স্বার্থক হয়ে যায়। তাই সকলের উচিত  রক্তদাতা সংগঠনগুলোর সদস্যদের প্রতি সহনশীল হওয়া।”
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

মাদারীপুরে করানো মহামারীর মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই মানবসেবায় এগিয়ে আসছে রক্তদাতা সংগঠনগুলো।

আপডেট টাইম ০৬:০১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
মাদারীপুরে করানো মহামারীর মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই মানবসেবায় এগিয়ে আসছে রক্তদাতা সংগঠনগুলো।
 
রকিবুজ্জামান,
মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দেশে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির মাঝেও থেমে নেই সেচ্ছায় রক্তদানে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কার্যক্রম। কোথাও জরুরী রক্ত লাগলেই রক্তদাতারা ছুটে যাচ্ছেন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই । তাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রম ও মানবতার ফলে বেঁচে যাচ্ছে অনেক প্রাণ। এরপরও কোথাও কোথাও রক্তদাতার সাথে প্রশাসনের লোকদের খারাপ আচরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অথচ যে মানুষটি(রক্তদাতা) করোনার মাঝে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বের হয়েছে অন্যের জীবন বাঁচাতে, তাদের সাথে এমন আচরণ সত্যি দুঃখজনক। হয়তোবা এই রক্তদাতা আজ না এগিয়ে আসলে মারা যেত আপনার/আমার কাছের কোন আত্মীয়। তাই প্রয়োজনে রক্তের সন্ধানকারী রোগীর লোকের সাথে অথবা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করে রক্তদাতাদের চলাচল করতে দেয়ার দাবি জানিয়েছে সেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠনগুলো। মাদারীপুর জেলায় এরকম কয়েকটি সেচ্ছায় রক্তদানের সংগঠন রয়েছে। যারা দিনরাত যেকোনো সময় রোগীদের রক্তের প্রয়োজনে এগিয়ে আসছে। মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় রয়েছে  “কালকিনি ব্লাড ডোনার সোসাইটি” নামে রক্তদান সংগঠন।
“রক্ত দিয়ে এনেছি স্বাধীনতা, রক্ত দিয়ে বাঁচাবো মানবতা” এই শ্লোগান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এই সংগঠনের কর্মীরা। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা জেপি জুলহাস বলেন, “আমি করোনা মোকাবেলায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই ।তারা যেমন তাদের নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করছেন। ঠিক তেমনি আমাদের সেচ্ছাসেবীরাও নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই করোনার মাঝে  এগিয়ে না আসলে অনেক মুমূর্ষ রোগীদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো না। তাই আমাদের প্রতি প্রশাসনের আরো সহনশীল হওয়া দরকার।”
সংগঠনটির সভাপতি রোমান হোসেন রানা মৃধা বলেন,”আমরা নিজেদের প্রয়োজনে বাহিরে বের হচ্ছি না, বের হচ্ছি অন্যের জীবন বাঁচাতে। আজ আমি ঘরে শুয়ে থাকলে হয়তো অন্য কোন মুমুর্ষ রোগী রক্তের অভাবে মারা যেত। রক্তদান একটি মহৎ কাজ। সকলের উচিৎ রক্তদাতাদের সহায়তা করা।”
কালকিনি ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ বিন আবদুল্লাহ ও দপ্তর সম্পাদক নাজিম ইসলাম বলেন, “অনেক সময় রক্ত পেয়ে গেলে  রক্তদাতার কথা রোগীর লোকও ভুলে যায়! সেখানে অন্যদের কথা আর কি বলব!   আসলে যখন নিজেদের কারো রক্ত লাগে তখনই মানুষ রক্তের বা রক্তদাতার মুল্য বোঝে । সম্প্রতি রক্তদাতার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা উল্লেখ করে তারা বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। আজ যদি ঐ কর্মকর্তাদের কোন আত্মীয়ের রক্তের প্রয়োজন হতে, তখন কি তারা এমন করতে পারতো? আমরা নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে মাঝে মাঝে রক্তদিতে এগিয়ে আসি শুধুমাত্র মানবতার তাগিদে। কখনো রোগীর লোকের কাছে টাকা দাবি করিনা। রাতদিন সবসময়ই আমরা মানবতার টানে এগিয়ে আসি । কখনো কোন যানবাহন না পেলে কয়েক মাইল হেটেই চলে যাই হাসপাতালে।তারপরও আমরা অবহেলিত । রক্ত পাবার পর রোগীর লোকের একটা সস্তির হাসি দেখলেই আমাদের কষ্ট স্বার্থক হয়ে যায়। তাই সকলের উচিত  রক্তদাতা সংগঠনগুলোর সদস্যদের প্রতি সহনশীল হওয়া।”