ঢাকা ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে শিশু ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে শিশু ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক ব্যক্তি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মো. শামীম (২১)। তিনি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বাউটিয়া গ্রামের মৃত শফিকের ছেলে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের ললিতনগর গ্রামে বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা ঘটে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,রাতে গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি দল টহল দিচ্ছিল। এ সময় একদল দুষ্কৃতিকারী পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষায় পুলিশ গুলি চালায়। এরপর শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ।

এ সময় হামলাকারী অন্যরা পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন পড়ে থাকে। উদ্ধার করে ভোররাতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, বন্দুকযুদ্ধের পর রাতে শামীমের পরিচয় জানা যায়নি। পরে সকালে নিশ্চিত হওয়া গেছে। শামীমের কাছ থেকে অস্ত্র ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে জানা যায় যে, এটি চুরি করা। কয়েকদিন আগে ললিতনগর গ্রামে ধর্ষণ ও খুনের শিকার এক শিশুর বাড়ি থেকে ফোনটি চুরি হয়েছিল। তাই ধরে নেয়া হচ্ছে যে, চুরি করতে গিয়ে শামীম ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটিয়েছিল।

গত ১৯ জুন দিবাগত রাতে ললিতনগর মাকরান্দা কোয়ার্টারপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১০) ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। ২০ জুন সকালে আনোয়ারের ভাই রফিকুলের ছাদে সুমাইয়ার লাশ পাওয়া যায় খড়ের পালার নিচে।

আনোয়ারের বাড়ির ছাদ থেকে তার ভাই রফিকুলের বাড়ির ছাদে যাওয়া যায়। সুমাইয়া সেই রাতে একাই ঘুমিয়েছিল। তাকে তুলে ছাদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এ নিয়ে থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন নিহত শিশুর দাদা।

গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান বলেন, শামীমের কাছ থেকে সুমাইয়ার চাচাতো বোনের মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। যে রাতে সুমাইয়া ধর্ষণ ও খুনের শিকার হয় সেই রাতেই ফোনটি চুরি হয়েছিল। তাই ধরে নেয়া হচ্ছে চুরি, ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে শামীম জড়িত ছিল।

তিনি জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শামীমের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে শিশু ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

আপডেট টাইম ০৬:২৩:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১

রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে শিশু ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক ব্যক্তি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মো. শামীম (২১)। তিনি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বাউটিয়া গ্রামের মৃত শফিকের ছেলে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের ললিতনগর গ্রামে বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা ঘটে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,রাতে গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি দল টহল দিচ্ছিল। এ সময় একদল দুষ্কৃতিকারী পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষায় পুলিশ গুলি চালায়। এরপর শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ।

এ সময় হামলাকারী অন্যরা পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন পড়ে থাকে। উদ্ধার করে ভোররাতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, বন্দুকযুদ্ধের পর রাতে শামীমের পরিচয় জানা যায়নি। পরে সকালে নিশ্চিত হওয়া গেছে। শামীমের কাছ থেকে অস্ত্র ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে জানা যায় যে, এটি চুরি করা। কয়েকদিন আগে ললিতনগর গ্রামে ধর্ষণ ও খুনের শিকার এক শিশুর বাড়ি থেকে ফোনটি চুরি হয়েছিল। তাই ধরে নেয়া হচ্ছে যে, চুরি করতে গিয়ে শামীম ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটিয়েছিল।

গত ১৯ জুন দিবাগত রাতে ললিতনগর মাকরান্দা কোয়ার্টারপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১০) ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। ২০ জুন সকালে আনোয়ারের ভাই রফিকুলের ছাদে সুমাইয়ার লাশ পাওয়া যায় খড়ের পালার নিচে।

আনোয়ারের বাড়ির ছাদ থেকে তার ভাই রফিকুলের বাড়ির ছাদে যাওয়া যায়। সুমাইয়া সেই রাতে একাই ঘুমিয়েছিল। তাকে তুলে ছাদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এ নিয়ে থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন নিহত শিশুর দাদা।

গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান বলেন, শামীমের কাছ থেকে সুমাইয়ার চাচাতো বোনের মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। যে রাতে সুমাইয়া ধর্ষণ ও খুনের শিকার হয় সেই রাতেই ফোনটি চুরি হয়েছিল। তাই ধরে নেয়া হচ্ছে চুরি, ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে শামীম জড়িত ছিল।

তিনি জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শামীমের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হবে।