ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

টাঙ্গাইলে আদালতের নাজির ও হিসাব সহকারীকে ঘুষ গ্রহন ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে শোকজ

মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ নাসির উদ্দিন এবং ভূঞাপুর সহকারী জজ আদালতের হিসাব সহকারী মোঃ হারুন-অর-রশিদকে ঘুষ গ্রহন ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ ফাহমিদা কাদের সাক্ষরিত গত ২৫ মে এক পত্রে তাদের অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। একই সাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।অভিযোগে প্রকাশ, আদালতের নাজির মোঃ নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জারীকারক ও অন্যান্য কমচারীসহ ২৯জন (স্মারক নং-১৫২ (১-২) এবং ভূঞাপুর সহকারী জজ আদালতের হিসাব সহকারী মোঃ হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে ওই কার্যালয়ের ২৯জন জারীকারক ও অন্যান্য কমচারী গত ২৫ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ দেন (স্মারক নং-১৫৩ (১-৩)।অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জারীকারকসহ আদালতের অন্যান্য কর্মচারীদের কাছ থেকে মোঃ নাসির উদ্দিন ও মোঃ হারুন-অর-রশিদ প্রতিমাসে প্রতি হাওলায় জনপ্রতি টাকা দাবি করেন। প্রতি জরুরি সমনের জন্য ৫০০ টাকা করে তাদেরকে দিতে হয়। এছাড়া প্রতি জারীকারকের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে নেওয়া হয়।অভিযোগে আরও বলা হয়, অফিস চত্ত্বরে ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের জন্য সরকারিভাবে টাঙ্গাইল পৌরসভা কর্তৃক নিয়োজিত লোক দিয়ে কাজ করা হলেও সেই কাজের জন্য জারীকারকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। এতে আদালতে কর্মরত সকল জারীকারক ও অন্যান্য কর্মচারীরা তাদের দুইজনের কাছে জিম্ম হয়ে পড়েছেন।

জেলা ও দায়রা জজ ফাহমিদা কাদের এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মোঃ নাসির উদ্দিন ও মোঃ হারুন-অর-রশিদকে শোকজ(কারণ দর্শানোর নোটিশ) করেন। তাদেরকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়। কিন্তু ২৯জন কর্মচারীর অভিযোগের পরিপ্র্রেক্ষিতে শোকজ বা কারণ দর্শানোর জবাব গ্রহনযোগ্য না হওয়া সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ সনের ৩ এর (খ) বিধির আওতায় তাদের দুইজনকেই অভিযুক্ত করা হয়। একই সাথে নাজির মোঃ নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগনামাটি ভারপ্রাপ্ত জজ- নেজারত বিভাগের কাছে প্রেরণ করেন। এছাড়া হিসাব সহকারী মোঃ হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগনামাটি ভারপ্রাপ্ত জজ- নেজারত বিভাগ ও ভূঞাপুর সহকারী জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়।এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ নাসির উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে ভূঞাপুর সহকারী জজ আদালতের হিসাব সহকারী মোঃ হারুন-অর-রশীদ জানান, তাদের দুইজনের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় দু’জনকেই শোকজ করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

টাঙ্গাইলে আদালতের নাজির ও হিসাব সহকারীকে ঘুষ গ্রহন ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে শোকজ

আপডেট টাইম ১০:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১

মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ নাসির উদ্দিন এবং ভূঞাপুর সহকারী জজ আদালতের হিসাব সহকারী মোঃ হারুন-অর-রশিদকে ঘুষ গ্রহন ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ ফাহমিদা কাদের সাক্ষরিত গত ২৫ মে এক পত্রে তাদের অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। একই সাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।অভিযোগে প্রকাশ, আদালতের নাজির মোঃ নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জারীকারক ও অন্যান্য কমচারীসহ ২৯জন (স্মারক নং-১৫২ (১-২) এবং ভূঞাপুর সহকারী জজ আদালতের হিসাব সহকারী মোঃ হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে ওই কার্যালয়ের ২৯জন জারীকারক ও অন্যান্য কমচারী গত ২৫ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ দেন (স্মারক নং-১৫৩ (১-৩)।অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জারীকারকসহ আদালতের অন্যান্য কর্মচারীদের কাছ থেকে মোঃ নাসির উদ্দিন ও মোঃ হারুন-অর-রশিদ প্রতিমাসে প্রতি হাওলায় জনপ্রতি টাকা দাবি করেন। প্রতি জরুরি সমনের জন্য ৫০০ টাকা করে তাদেরকে দিতে হয়। এছাড়া প্রতি জারীকারকের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে নেওয়া হয়।অভিযোগে আরও বলা হয়, অফিস চত্ত্বরে ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের জন্য সরকারিভাবে টাঙ্গাইল পৌরসভা কর্তৃক নিয়োজিত লোক দিয়ে কাজ করা হলেও সেই কাজের জন্য জারীকারকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। এতে আদালতে কর্মরত সকল জারীকারক ও অন্যান্য কর্মচারীরা তাদের দুইজনের কাছে জিম্ম হয়ে পড়েছেন।

জেলা ও দায়রা জজ ফাহমিদা কাদের এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মোঃ নাসির উদ্দিন ও মোঃ হারুন-অর-রশিদকে শোকজ(কারণ দর্শানোর নোটিশ) করেন। তাদেরকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়। কিন্তু ২৯জন কর্মচারীর অভিযোগের পরিপ্র্রেক্ষিতে শোকজ বা কারণ দর্শানোর জবাব গ্রহনযোগ্য না হওয়া সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ সনের ৩ এর (খ) বিধির আওতায় তাদের দুইজনকেই অভিযুক্ত করা হয়। একই সাথে নাজির মোঃ নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগনামাটি ভারপ্রাপ্ত জজ- নেজারত বিভাগের কাছে প্রেরণ করেন। এছাড়া হিসাব সহকারী মোঃ হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগনামাটি ভারপ্রাপ্ত জজ- নেজারত বিভাগ ও ভূঞাপুর সহকারী জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়।এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ নাসির উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে ভূঞাপুর সহকারী জজ আদালতের হিসাব সহকারী মোঃ হারুন-অর-রশীদ জানান, তাদের দুইজনের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় দু’জনকেই শোকজ করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন