ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার দুমকী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলা বাকেরগঞ্জের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এমপির কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করছেন একটি কুচক্রী মহল।। “ভাইয়া গ্রুপ প্রথম বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন,আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টের শেয়ার বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছেন” “এনএফএস’র নতুন কমিটি গঠন সভাপতি রাহাত, সম্পাদক হাসান” গজারিয়ায় তিতাসের অভিযান পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন চুরি প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো।

এবার হালদা রেণুর মূল্য দিগুণ, ভেজাল রেণু বিক্রয়ে প্রশাসনের সতর্কতা

রাহাত মামুন
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

হালদা নদীতে সংগৃহীত ডিম থেকে উৎপাদিত রেণু গতকাল রোববার থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। এবার প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। এ বছর নদী থেকে কম ডিম সংগৃহীত হওয়ায় রেণুর দাম দ্বিগুণ।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে নদীতে লবণাক্ত পানি ঢোকায় মা মাছ ডিম কম ছেড়েছে। এছাড়া হ্যাচারির অব্যবস্থাপনার কারণেও ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। ডিম কম পাওয়ার পাশাপাশি ডিম নষ্ট হওয়ার কারণে এবার রেণুর দাম বেশি। গত বছর প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হয়েছিল ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকায়। সেই রেণু এবার বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৪০ টাকায়।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, রোববার থেকে রেণু বিক্রি শুরু হয়েছে। ডিম কম পাওয়ায় রেণুর দাম বেশি।

মৎস্যজীবীদের হিসাব অনুসারে, কেজিতে প্রায় দুই লাখ রেণু পাওয়া যায়। হালদার রেণু উৎপাদনকারীরা জানান, রাউজান-হাটহাজারীর মৎস্য বিভাগের চারটি হ্যাচারির মধ্যে তিনটিতে ডিম ফুটিয়ে তারা সফলতা পেলেও অপর একটিতে (শাহ মাদারী হ্যাচারি) যারা ডিম নিয়েছেন তাদের কপাল পুড়েছে। সেখানে লোনা পানির কারণে প্রায় ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। এই হ্যাচারিতে মিঠা পানির যোগান না থাকায় ব্যবহার করা হয়েছিল নদীর লবনাক্ত পানি। এছাড়া মাটির কুয়ায় যারা ডিম ফোটানোর ব্যবস্থা করেছিল তাদের কুয়ায়ও লোনা পানি ঢুকে পড়ায় একই অবস্থা হয়েছে।

গতকাল থেকে পূর্ণমাত্রায় রেণু বিক্রি শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা। এই সুযোগে ক্রেতাদের সাথে অসৎ রেণু বিক্রেতারা যাতে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য তারা ক্রেতাদের সতর্ক করেছেন। তাদের আশঙ্কা, হালদা পাড়ের কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ী বাইরের রেণু এনে হালদার রেণু হিসাবে বিক্রির চেষ্টা করতে পারে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার

এবার হালদা রেণুর মূল্য দিগুণ, ভেজাল রেণু বিক্রয়ে প্রশাসনের সতর্কতা

আপডেট টাইম ০১:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

রাহাত মামুন
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

হালদা নদীতে সংগৃহীত ডিম থেকে উৎপাদিত রেণু গতকাল রোববার থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। এবার প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। এ বছর নদী থেকে কম ডিম সংগৃহীত হওয়ায় রেণুর দাম দ্বিগুণ।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে নদীতে লবণাক্ত পানি ঢোকায় মা মাছ ডিম কম ছেড়েছে। এছাড়া হ্যাচারির অব্যবস্থাপনার কারণেও ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। ডিম কম পাওয়ার পাশাপাশি ডিম নষ্ট হওয়ার কারণে এবার রেণুর দাম বেশি। গত বছর প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হয়েছিল ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকায়। সেই রেণু এবার বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৪০ টাকায়।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, রোববার থেকে রেণু বিক্রি শুরু হয়েছে। ডিম কম পাওয়ায় রেণুর দাম বেশি।

মৎস্যজীবীদের হিসাব অনুসারে, কেজিতে প্রায় দুই লাখ রেণু পাওয়া যায়। হালদার রেণু উৎপাদনকারীরা জানান, রাউজান-হাটহাজারীর মৎস্য বিভাগের চারটি হ্যাচারির মধ্যে তিনটিতে ডিম ফুটিয়ে তারা সফলতা পেলেও অপর একটিতে (শাহ মাদারী হ্যাচারি) যারা ডিম নিয়েছেন তাদের কপাল পুড়েছে। সেখানে লোনা পানির কারণে প্রায় ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। এই হ্যাচারিতে মিঠা পানির যোগান না থাকায় ব্যবহার করা হয়েছিল নদীর লবনাক্ত পানি। এছাড়া মাটির কুয়ায় যারা ডিম ফোটানোর ব্যবস্থা করেছিল তাদের কুয়ায়ও লোনা পানি ঢুকে পড়ায় একই অবস্থা হয়েছে।

গতকাল থেকে পূর্ণমাত্রায় রেণু বিক্রি শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা। এই সুযোগে ক্রেতাদের সাথে অসৎ রেণু বিক্রেতারা যাতে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য তারা ক্রেতাদের সতর্ক করেছেন। তাদের আশঙ্কা, হালদা পাড়ের কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ী বাইরের রেণু এনে হালদার রেণু হিসাবে বিক্রির চেষ্টা করতে পারে।