ঢাকা ০৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মশার কামড়ে দিশেহারা ডেমরা কোনাপাড়ার এলাকাবাসী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি কোনো চাপ নেই : ইসি আলমগীর “নাদিহা আলীর মৃত্যতে বসুন্ধরা পরিবারের শোক” বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি, সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীদের মুখোশ উন্মোচিত : তথ্যমন্ত্রী বাকেরগঞ্জে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হাফিজ মল্লিক।। “শালবন ইকো রিসোর্ট অংশ নিচ্ছে ২২তম রিয়েল এস্টেট এক্সপো তে” “সিটি গ্রুপ নারী কাবাডি লিগে পুলিশ চ্যাম্পিয়ন” গজারিয়ায় ভবেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে এক প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গজারিয়া উপজেলা সরকারি দুই দপ্তরের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীর নৌকার বাইরে কাজ করার কোন সুযোগ নেই : কৃষিমন্ত্রী

মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (শনিবার)। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা এবং টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন আজ সকালে টাঙ্গাইলে ভাসানীর সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা করবেন। দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কোরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, গণভোজ, আলোচনা সভা ও ভাসানী মেলা। এছাড়া মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, মওলানা ভাসানী ভারতীয় উপ-মহাদেশের রাজনীতিতে এক অবিস্মরণীয় নাম। গ্রামভিত্তিক এবং ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ছিল তার রাজনীতি। তার নেতৃত্বের ভিত্তি ছিল সমাজের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ, কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ জনগণ। কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মওলানা ভাসানী আজীবন কাজ করেছেন। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকদের অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধ তিনি ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। শোষণ ও বঞ্চনাহীন এবং প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।

সাংগঠনিক রাজনীতিতে মওলানা ভাসানী কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, আওয়ামী মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম মওলানা ভাসানীর। তিনি জীবনের সিংহভাগ কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। তত্কালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। গত শতাব্দীর ত্রিশ ও চল্লিশ দশকে আসামে বঙ্গাল খেদা অভিযানের বিরুদ্ধে তার ভূমিকা স্মরণীয়। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লং মার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

মশার কামড়ে দিশেহারা ডেমরা কোনাপাড়ার এলাকাবাসী।

মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট টাইম ০৪:৪৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (শনিবার)। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা এবং টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন আজ সকালে টাঙ্গাইলে ভাসানীর সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা করবেন। দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কোরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, গণভোজ, আলোচনা সভা ও ভাসানী মেলা। এছাড়া মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, মওলানা ভাসানী ভারতীয় উপ-মহাদেশের রাজনীতিতে এক অবিস্মরণীয় নাম। গ্রামভিত্তিক এবং ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ছিল তার রাজনীতি। তার নেতৃত্বের ভিত্তি ছিল সমাজের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ, কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ জনগণ। কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মওলানা ভাসানী আজীবন কাজ করেছেন। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকদের অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধ তিনি ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। শোষণ ও বঞ্চনাহীন এবং প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।

সাংগঠনিক রাজনীতিতে মওলানা ভাসানী কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, আওয়ামী মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম মওলানা ভাসানীর। তিনি জীবনের সিংহভাগ কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। তত্কালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। গত শতাব্দীর ত্রিশ ও চল্লিশ দশকে আসামে বঙ্গাল খেদা অভিযানের বিরুদ্ধে তার ভূমিকা স্মরণীয়। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লং মার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।