ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত।

আকরাম ‘হত্যা’য় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুলের সম্পৃক্ততা

আশরাফুল ইসলাম,ঝিনাইদহ জেলা থেকে:

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে নতুন করে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেনকে হত্যার অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। তাদের অভিযোগ- আকরামের স্ত্রীর সঙ্গে বাবুলের প্রেমের সম্পর্কের জেরেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর স্ত্রীর পরামর্শেই যমুনা সেতু হয়ে ঝিনাইদহে ফিরছিলেন আকরাম। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকূপার বড়দা নামক স্থানে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে ছিলেন তিনি। ঘটনাটি পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আকরাম।

আকরামকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগ নিয়ে ঘটনার পরপরই শৈলকূপা থানায় মামলা করতে যান তার পরিবারের সদস্যরা। থানা পুলিশ মামলা না নিলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হন। সে সময় ঝিনাইদহ আদালত শৈলকূপা থানাকে মামলাটি এজাহারভুক্ত করার নির্দেশও দেন। কিন্তু আকরামের স্ত্রীর দায়ের করা সড়ক দুর্ঘটনার মামলার অজুহাতে আদালতের নির্দেশনা আমলে নেননি তৎকালীন ওসি হাসেম খান। বহুদিন পর মিতু হত্যা নতুন মোড় নেওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে আকরামের পরিবার। ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে নতুন করে এসআই আকরামের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনে আবেদনও করেছে তারা।

সে সময় মামলা নথিভুক্ত না করা প্রসঙ্গে শৈলকূপা থানার বর্তমান ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি অনেক দিন আগের। নথিপত্র পর্যালোচনা করে পরে জানানো হবে। এসআই আকরামের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনের আবেদন বিষয়ে ঝিনাইদহ পিবিআইর পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, আকরামের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন পেয়েছি। পিবিআই এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

আকরামের বোন জান্নাত আরা পারভিনের অভিযোগ- আকরামের স্ত্রী বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাবুল আক্তারের। এ নিয়ে বহ্নি ও আকরামের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হতো। জান্নাত আরা পারভিন বলেন, খুলনায় বাবুল আক্তারের বাবা পুলিশে এবং বহ্নির বাবা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে (বিআরডিবি) চাকরি করতেন এবং পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকে বাবুল আর বহ্নির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠ। ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি তার ভাই আকরামের সঙ্গে বহ্নির বিয়ে হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রামে খুন হওয়া মাহমুদা খানম মিতুকে বিয়ে করেন বাবুল আক্তার। বিয়ের পরও বাবুল আর বহ্নির মধ্যে যোগাযোগ ছিল। তাদের ধারণা, ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর এসআই আকরাম যমুনা সেতু হয়ে ঝিনাইদহ যাওয়ার পথে বহ্নি আর বাবুল সন্ত্রাসী ভাড়া করে রাখেন। এর পর ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় মহাসড়কে মুমূর্ষু অবস্থায় আকরামকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি মারা যান আকরাম।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

আকরাম ‘হত্যা’য় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুলের সম্পৃক্ততা

আপডেট টাইম ০১:৪১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

আশরাফুল ইসলাম,ঝিনাইদহ জেলা থেকে:

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে নতুন করে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেনকে হত্যার অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। তাদের অভিযোগ- আকরামের স্ত্রীর সঙ্গে বাবুলের প্রেমের সম্পর্কের জেরেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর স্ত্রীর পরামর্শেই যমুনা সেতু হয়ে ঝিনাইদহে ফিরছিলেন আকরাম। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকূপার বড়দা নামক স্থানে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে ছিলেন তিনি। ঘটনাটি পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আকরাম।

আকরামকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগ নিয়ে ঘটনার পরপরই শৈলকূপা থানায় মামলা করতে যান তার পরিবারের সদস্যরা। থানা পুলিশ মামলা না নিলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হন। সে সময় ঝিনাইদহ আদালত শৈলকূপা থানাকে মামলাটি এজাহারভুক্ত করার নির্দেশও দেন। কিন্তু আকরামের স্ত্রীর দায়ের করা সড়ক দুর্ঘটনার মামলার অজুহাতে আদালতের নির্দেশনা আমলে নেননি তৎকালীন ওসি হাসেম খান। বহুদিন পর মিতু হত্যা নতুন মোড় নেওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে আকরামের পরিবার। ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে নতুন করে এসআই আকরামের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনে আবেদনও করেছে তারা।

সে সময় মামলা নথিভুক্ত না করা প্রসঙ্গে শৈলকূপা থানার বর্তমান ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি অনেক দিন আগের। নথিপত্র পর্যালোচনা করে পরে জানানো হবে। এসআই আকরামের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনের আবেদন বিষয়ে ঝিনাইদহ পিবিআইর পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, আকরামের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন পেয়েছি। পিবিআই এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

আকরামের বোন জান্নাত আরা পারভিনের অভিযোগ- আকরামের স্ত্রী বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাবুল আক্তারের। এ নিয়ে বহ্নি ও আকরামের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হতো। জান্নাত আরা পারভিন বলেন, খুলনায় বাবুল আক্তারের বাবা পুলিশে এবং বহ্নির বাবা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে (বিআরডিবি) চাকরি করতেন এবং পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকে বাবুল আর বহ্নির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠ। ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি তার ভাই আকরামের সঙ্গে বহ্নির বিয়ে হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রামে খুন হওয়া মাহমুদা খানম মিতুকে বিয়ে করেন বাবুল আক্তার। বিয়ের পরও বাবুল আর বহ্নির মধ্যে যোগাযোগ ছিল। তাদের ধারণা, ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর এসআই আকরাম যমুনা সেতু হয়ে ঝিনাইদহ যাওয়ার পথে বহ্নি আর বাবুল সন্ত্রাসী ভাড়া করে রাখেন। এর পর ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় মহাসড়কে মুমূর্ষু অবস্থায় আকরামকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি মারা যান আকরাম।