ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা অগ্রিম ঈদউল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোঃ রানা খাঁন লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ৭০ জন ভূমিহীন হাটের ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় অপসারণ করা হবে : মেয়র তাপস মণিরামপুরে ১২৮ টি ভুমিহীন পরিবারের হাতে তুলে দিলেন আশ্রয়ণ প্রকল্প(০২) এর ঘর। বিসিকের উদ্যোগে “উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিসিকের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা মতলব উত্তরে মাদক,ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অসির সচেতনামূলক সভা নারায়ণগঞ্জের বন্দর ষষ্ঠ উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহন ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৪ ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেএ কর্মসূচির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে রামগঞ্জে ২টি কিশোরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা

নিজস্ব প্রতিবেদক। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার মহোৎসব। একদিকে আধুনিক মেশিন দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে অন্যদিকে শ্রমিক দিয়েও কাটা হচ্ছে ধান। কৃষকরা জানান, ইতিমধ্যে মাঠের ৬০ ভাগ ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাকি ধান কেটে ফেলা হবে। কৃষকরা বলছেন, এ বছর ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছে।কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, কৃষকদের সঠিক পরিচর্যা ও চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক কোনো দূর্যোগ না হওয়ায় এ বছর ধানের ভালো ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ধান কাটা, মাড়াই ও ধান ঘরে তোলার কাজে। ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিকের মজুরি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৫০/৩০০ টাকার শ্রমিক এখন ৫০০ টাকা করে নিচ্ছেন। বিভিন্ন যানবহনে করে ধান বাড়ি এনে মাড়াই করে সোনার ফসল ঘরে তুলছেন কৃষকরা। জেলার যে মাঠের দিকেই তাকানো হয় সে মাঠেই ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চলতি বছরে বোরো আবাদে সেচ সুবিধার কোনো ঘাটতি ছিল না। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ছিল পুরো মৌসুম জুড়ে। উপজেলার বড়ভিটা এবং পুটিমারি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বোরো আবাদ হয়ে থাকে। তবে এ মৌসুমে জেলার কৃষকরা ধানের পাশাপাশি গো-খাদ্য হিসেবে বিচালির উপরও এবার গুরুত্ব দিচ্ছেন।বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ডুমরিয়া গ্রামের কৃষক মো. আমিনুর রহমান (৪৫) বলেন, চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড ১২০৫ জাতের ধান আবাদ করেছি। এ পর্যন্ত আমার ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আজকে ধান কাঠলাম কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর ভাইয়ের উপস্থিতিতে জমির ২০ বর্গমিটারে কাঁচা ধানের পরিমান এসেছে ১৯ কেজি এতে আমি খুব খুঁশি। কেননা গেল মৌসুম গুলোতে এমন ফলন আমি কখনও পাইনী বলে জানান তিনি। উপজেলার আর এক কৃষক বিজয় চন্দ্র রায় (৪০) বলেন, চলতি মৌসুমে আমার ৪ বিঘা বোরো আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ১৩-১৫ হাজার টাকা। চলতি মৌসুমে বৃষ্টির না হওয়ায় খরচ একটু বেশি হয়েছে। তবে মাঠে গেলেই ধান দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। ফলনও ভালো হয়েছে। বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হবে।তিনি আরো বলেন, কয়েকটি স্থানে আধুনিক যন্ত্রের (কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার) মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াই করা হচ্ছে। যার ফলে শ্রমিক সংকটের ঘাটতি পূরণসহ খরচ কম হচ্ছে কৃষকদের।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার মহোৎসব। একদিকে আধুনিক মেশিন দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে অন্যদিকে শ্রমিক দিয়েও কাটা হচ্ছে ধান। কৃষকরা জানান, ইতিমধ্যে মাঠের ৬০ ভাগ ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাকি ধান কেটে ফেলা হবে। কৃষকরা বলছেন, এ বছর ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছে।কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, কৃষকদের সঠিক পরিচর্যা ও চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক কোনো দূর্যোগ না হওয়ায় এ বছর ধানের ভালো ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ধান কাটা, মাড়াই ও ধান ঘরে তোলার কাজে। ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিকের মজুরি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৫০/৩০০ টাকার শ্রমিক এখন ৫০০ টাকা করে নিচ্ছেন। বিভিন্ন যানবহনে করে ধান বাড়ি এনে মাড়াই করে সোনার ফসল ঘরে তুলছেন কৃষকরা। জেলার যে মাঠের দিকেই তাকানো হয় সে মাঠেই ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চলতি বছরে বোরো আবাদে সেচ সুবিধার কোনো ঘাটতি ছিল না। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ছিল পুরো মৌসুম জুড়ে। উপজেলার বড়ভিটা এবং পুটিমারি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বোরো আবাদ হয়ে থাকে। তবে এ মৌসুমে জেলার কৃষকরা ধানের পাশাপাশি গো-খাদ্য হিসেবে বিচালির উপরও এবার গুরুত্ব দিচ্ছেন।বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ডুমরিয়া গ্রামের কৃষক মো. আমিনুর রহমান (৪৫) বলেন, চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড ১২০৫ জাতের ধান আবাদ করেছি। এ পর্যন্ত আমার ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আজকে ধান কাঠলাম কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর ভাইয়ের উপস্থিতিতে জমির ২০ বর্গমিটারে কাঁচা ধানের পরিমান এসেছে ১৯ কেজি এতে আমি খুব খুঁশি। কেননা গেল মৌসুম গুলোতে এমন ফলন আমি কখনও পাইনী বলে জানান তিনি। উপজেলার আর এক কৃষক বিজয় চন্দ্র রায় (৪০) বলেন, চলতি মৌসুমে আমার ৪ বিঘা বোরো আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ১৩-১৫ হাজার টাকা। চলতি মৌসুমে বৃষ্টির না হওয়ায় খরচ একটু বেশি হয়েছে। তবে মাঠে গেলেই ধান দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। ফলনও ভালো হয়েছে। বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হবে।তিনি আরো বলেন, কয়েকটি স্থানে আধুনিক যন্ত্রের (কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার) মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াই করা হচ্ছে। যার ফলে শ্রমিক সংকটের ঘাটতি পূরণসহ খরচ কম হচ্ছে কৃষকদের।

আপডেট টাইম ০৩:০৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১