ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে চসিক ও সিএমপি নির্বাচনী ছড়া বাড়ছে সাংবাদিক কমছে সাংবাদিকতা-মোঃ রাব্বী মেল্লা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইলে বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও আহত ২ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

মনোহরগঞ্জে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দুই সহোদরের দায়িত্ব নিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার:

সদ্য অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী দুই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। গতকাল মেধাবী দুই সহোদরকে এক লাখ টাকার আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি পড়ালেখার শেষ পর্যন্ত সাবির্ক সহযোগিতা অব্যাহত রেখে অভিভাবক হিসেবে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।\

জানা যায়, ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে মনোহরগঞ্জ উপজেলার মান্দারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজে ভর্তি হয় হাসনাবাদ ইউনিয়নের মানরা গ্রামের অটোরিকশা চালক বিল্লাল হোসেনের যমজ দুই ছেলে আরিফ হোসেন ও শরিফ হোসেন। সেখান থেকে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পায় তারা।

সাফল্যের ধারবাহিকতায় এবার সদ্য অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা আবারো চমক দেখায়। আরিফ সারা বাংলাদেশে ৮২২ তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এবং শরিফ ১১৮৬ তম হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়। দরিদ্র পরিবারের মেধাবী দুই সহোদরের সাফল্যের বিষয়টি অবগত হয়ে তাদেরকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক লাখ টাকার আর্থিক প্রণোদনা দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। পাশাপাশি পড়ালেখার শেষ পর্যন্ত সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখে অভিভাবক হিসেবে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

গতকাল মেধাবী দুই শিক্ষার্থীর হাতে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এক লাখ টাকার আর্থিক প্রণোদনা তুলে দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ও উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয়ক মোঃ কামাল হোসেন। এর আগেও মন্ত্রী এ দুই সহোদরের পড়ালেখায় সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের পথচলায় মন্ত্রীর প্রণোদনা পেয়ে খুশি তাদের পরিবার ও স্থানীয় শিক্ষকরা। মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আরিফ, শরীফ ও তাদের পিতা-মাতা।

মেধাবী শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর প্রশংসনীয় ভূমিকা দেখে এলাকার অন্যান্য শিশু-কিশোররাও পড়ালেখার প্রতি আরো মনযোগী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে আশিয়াদারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালেহ আহম্মদ জানান, ‘আরিফ হোসেন ও শরীফ হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময় থেকেই প্রখর মেধাবী। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় তারা দুই ভাই বরাবরই ব্যতিক্রম। এর আগেও প্রতিটি পরীক্ষায় তারা সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সবসময় গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে থাকেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকার অসংখ্য শিক্ষার্থীদেরকে পড়ালেখার ক্ষেত্রে সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এই মেধাবী দুই সহোদরের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি আবারো অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র

মনোহরগঞ্জে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দুই সহোদরের দায়িত্ব নিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম

আপডেট টাইম ০৮:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার:

সদ্য অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী দুই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। গতকাল মেধাবী দুই সহোদরকে এক লাখ টাকার আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি পড়ালেখার শেষ পর্যন্ত সাবির্ক সহযোগিতা অব্যাহত রেখে অভিভাবক হিসেবে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।\

জানা যায়, ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে মনোহরগঞ্জ উপজেলার মান্দারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজে ভর্তি হয় হাসনাবাদ ইউনিয়নের মানরা গ্রামের অটোরিকশা চালক বিল্লাল হোসেনের যমজ দুই ছেলে আরিফ হোসেন ও শরিফ হোসেন। সেখান থেকে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পায় তারা।

সাফল্যের ধারবাহিকতায় এবার সদ্য অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা আবারো চমক দেখায়। আরিফ সারা বাংলাদেশে ৮২২ তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এবং শরিফ ১১৮৬ তম হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়। দরিদ্র পরিবারের মেধাবী দুই সহোদরের সাফল্যের বিষয়টি অবগত হয়ে তাদেরকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক লাখ টাকার আর্থিক প্রণোদনা দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। পাশাপাশি পড়ালেখার শেষ পর্যন্ত সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখে অভিভাবক হিসেবে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

গতকাল মেধাবী দুই শিক্ষার্থীর হাতে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এক লাখ টাকার আর্থিক প্রণোদনা তুলে দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ও উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয়ক মোঃ কামাল হোসেন। এর আগেও মন্ত্রী এ দুই সহোদরের পড়ালেখায় সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের পথচলায় মন্ত্রীর প্রণোদনা পেয়ে খুশি তাদের পরিবার ও স্থানীয় শিক্ষকরা। মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আরিফ, শরীফ ও তাদের পিতা-মাতা।

মেধাবী শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর প্রশংসনীয় ভূমিকা দেখে এলাকার অন্যান্য শিশু-কিশোররাও পড়ালেখার প্রতি আরো মনযোগী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে আশিয়াদারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালেহ আহম্মদ জানান, ‘আরিফ হোসেন ও শরীফ হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময় থেকেই প্রখর মেধাবী। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় তারা দুই ভাই বরাবরই ব্যতিক্রম। এর আগেও প্রতিটি পরীক্ষায় তারা সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সবসময় গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে থাকেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকার অসংখ্য শিক্ষার্থীদেরকে পড়ালেখার ক্ষেত্রে সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এই মেধাবী দুই সহোদরের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি আবারো অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’