লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৭নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড চরউভূতি গ্রামের হাসেম মাঝির বাড়িতে এক তরুণীর বাচ্চা প্রসবের ঘটনা ঘটে ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, ক্যান্সারে আক্রান্ত মো. আবুল কাশেম মাঝির মেয়ে বিবি ফাতেমা আক্তার (শিরিন) ১৬ এর সাথে একই ওয়ার্ডের দুলাল দফাদার বাড়ির মনির হোসেন দুলাল এর ছেলে মো. সালাউদ্দিনের সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে তার ফুফাতো ভাই মো. কামাল উদ্দিন( সৌদি আরব প্রবাসী),র স্ত্রী রানু আক্তার(২০) এর সহযোগীতায় ।
ভাই এর সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে ননদ শিরিন,কে বাধ্য করতো বোন রানু আক্তার । শিরিনের ভাবি রানু আক্তার প্রায় সময় শিরিন,কে সাথে করে নিয়ে যেতো তার বাপের বাড়িতে, অর্থাৎ ভুক্তভোগীর আপন ফুফাতো ভাইয়ের শশুর বাড়িতে ।
বাপের বাড়িতে নিয়ে শিরিন,কে জোরপূর্বক বাধ্য করতো ভাই সালাউদ্দিন এর সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হতে, প্রায় ১ বছরের ভিতরে অন্তত ৬ মাসই এ ভাবে ননদ শিরিন,কে বাধ্য করে ভাই সালাউদ্দিনের সাথে এ অবৈধ মেলামেশা করতে ।
একপর্যায়ে বারবার অবৈধ মেলামেশা করার কারণে গর্ভবতী হয়ে পড়ে শিরিন । গর্ভবতীর বিষয়টি সালাউদ্দিন,কে বললে তিনি শিরিনকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন, এবং, বাচ্চা নষ্ট না করার জন্যও তিনি শিরিনকে বলেন । ঠিক ১০ মাস ১০ দিনের মাথায় শিরিন একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন ।
অন্যদিকে ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্নভাবে সালাউদ্দিনের বোন রানু হুমকি ধমকি দিতে থাকে শিরিন আক্তারকে । পরে অসহায় শিরিন আক্তার লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি । এমনকি বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য শিরিন আক্তারকে কোরআন শরিফ দিয়েও শপথ করান সালাউদ্দিনের বোন রানু আক্তার ।
গত- (৬ এপ্রিল) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঔই তরুণী বিয়ের আগেই সন্তান প্রসব করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়রা ওই বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন । বিষটি সম্পর্কে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী বিবি ফাতেমা আক্তার শিরিন বলেন, আমার জীবনে যা ঘটার তা ঘটেই গেছে, এখন আমি আমার ছেলের পিতৃ পরিচয় চাই, আমার ছেলের বাবার নাম “সালাউদ্দিন”, আমি সালাউদ্দিন,কে আমার স্বামী হিসেবে পেতে চাই, আমার আর কোন দাবি নাই, আপনারা আমার ছেলের বাবাকে ফিরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার সঠিক বিচারের আশায় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন । এ বিষয়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন ও তার বাবা দুলাল দফাদার এর কাছে জানতে গেলে সালাউদ্দিন,কে পাওয়া যায়নি, ঘটনার পর থেকেই সালাউদ্দিন পলাতক রয়েছে।
এ কারণে সালাউদ্দিনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি, তার বাবা দুলাল দফাদার গণমাধ্যমকর্মীদেরকে বক্তব্য না দিয়ে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে তাড়াহুড়ো করে পালিয়ে যান । এ বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ডের নাছির মেম্বার বলেন, বিয়ের আগে বাচ্চা হওয়ার বিষয়টা আমি শুনেছি এবং ঐ রাতে আমি ঘটনার স্থলে গিয়ে বাচ্চা সহ শিরিনকে দেখেছি ।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি,র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, মেয়েটির পরিবার খুবই অসহায়, এ মূহুর্তে মেয়েটির পাশে দাঁড়ানোটা আমার নৈতিক দায়িত্ব। অপরাধী যেই হোক তার বিচার চাই ।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জসিম উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনে আমি এস আই আমির হোসেনকে সেখানে পাঠাই, আমি ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় অভিযোগ করার জন্য বলেছি, অন্যায় এর পক্ষে কোন আপোষ নই, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে । এ বিষয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে ।