ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে চসিক ও সিএমপি নির্বাচনী ছড়া বাড়ছে সাংবাদিক কমছে সাংবাদিকতা-মোঃ রাব্বী মেল্লা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইলে বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও আহত ২ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

রাজশাহীতে লোকাল বাসে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল ঠিক তাঁর পরেই আবার যেন ভয়ানক রুপ ধারন করছে মহামারী করোনা ভাইরাস। করোনা মহামারীর ২য় ধাপে গনপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। যার কারনে স্বাভাবিক ভাবে চলতে শুরু করা বিভিন্ন রুটের লোকাল বাস গুলোর সরকারি ১৮ নির্দেশনা মধ্যে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী বহন করা যাবে না এটি উল্লেখ করা হয়। কিন্তু স্বাভাবিক পরিস্থিতি থেকে যেন হঠাৎ করে মানতে পারছে না গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি।

‘লোকদেখানো’ স্বাস্থ্যবিধি মানলেও বাসস্টান্ড থেকে বের হওয়ার পর থেকে আগের মতো সকল স্থানে ৫০ ভাগের বেশি যাত্রী উঠাচ্ছে পরিবহনগুলো। বাসগুলোতে ওঠানামার ধাক্কাধাক্কি ছিল আগের মতো। এর বাইরে বর্ধিত ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের তর্ক বিতর্ক ছিল প্রত্যেক গনপরিবহনে।

রাজশাহীতে অবস্থিত বিভিন্ন কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এ সময় কোনো পরিবহনে জীবাণুনাশক ছিটাতে দেখা যায়নি। বাসে ওঠার জন্য যাত্রীদের ছিল হুড়োহুড়ি অবস্থা। এমনকি প্রায় যাত্রীদের মধ্যে ছিল মাস্ক পরবার প্রতি অনিহা।

নাহিদ বাসের চালকের সহকারী মাসুদ হোসেন বলেন,‘ আমরা আমাদের বাস জীবাণুমুক্ত করেছি। যাত্রীদের আমরা ধীরে বাসে উঠাচ্ছি এবং নামাচ্ছি। কিন্তু বাস স্টপে দাঁড়ালে যাত্রীরা বাসে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি করে, সেটাই চিন্তার বিষয়। আমরা তাদের লাইনে দাঁড়িয়ে বাসে ওঠার জন্য অনুরোধ করলেও অধিকাংশ যাত্রী তা মানছেন না।’

ভদ্রায় টিকিট কাউন্টারে মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে টিকিট বিক্রির কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা কাজে আসছে না। সরকারি নির্দেশনায় বাসে ওঠার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করার কথা। তবে বাস কাউন্টারে হ্যান্ডস্যানিটাইজারের ছিলো না কোন ব্যবস্থা। যাত্রী উঠানোর আগে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার যন্ত্র নেই কোন বাসে।

যাত্রা শুরু এবং শেষে বাধ্যতামূলকভাবে গাড়ির অভ্যন্তর ভাগসহ পুরো গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কথা থাকলেও কোথাও তা চোখে পড়েনি। টার্মিনালে বাস আসার সঙ্গে সঙ্গেই আবার নতুন করে যাত্রী তুলে আবার যাত্রা শুরু করছেন চালকরা। এমনকি নেমে যাওয়া যাত্রীর বসা সিটও পরিষ্কার করছে না তারা। এক সিট পরপর যাত্রী বসানো হলেও ওঠানামার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত হচ্ছে না।

সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহী আসা যাত্রী মো. হৃদয় মাহমুদ জানান, বাসের সিটগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে না। একজন যাত্রী নামানোর পর সেই সিটে নতুন করে আরেকজনকে বসানো হয়।লোকাল বাস গুলোর সিট দেখে মনা হয় ময়লার স্তূপ। এর ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ বিষয়ে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসের চৌধুরী জানান, সরকারের পক্ষ থেকে গনপরিবহনের ওপর যে সকল নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেইসব নির্দেশনা মানার জন্য সকল বাস চালক ও চালকের সহকারি সবাইকে অবগত করেছি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র

রাজশাহীতে লোকাল বাসে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

আপডেট টাইম ১১:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল ঠিক তাঁর পরেই আবার যেন ভয়ানক রুপ ধারন করছে মহামারী করোনা ভাইরাস। করোনা মহামারীর ২য় ধাপে গনপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। যার কারনে স্বাভাবিক ভাবে চলতে শুরু করা বিভিন্ন রুটের লোকাল বাস গুলোর সরকারি ১৮ নির্দেশনা মধ্যে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী বহন করা যাবে না এটি উল্লেখ করা হয়। কিন্তু স্বাভাবিক পরিস্থিতি থেকে যেন হঠাৎ করে মানতে পারছে না গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি।

‘লোকদেখানো’ স্বাস্থ্যবিধি মানলেও বাসস্টান্ড থেকে বের হওয়ার পর থেকে আগের মতো সকল স্থানে ৫০ ভাগের বেশি যাত্রী উঠাচ্ছে পরিবহনগুলো। বাসগুলোতে ওঠানামার ধাক্কাধাক্কি ছিল আগের মতো। এর বাইরে বর্ধিত ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের তর্ক বিতর্ক ছিল প্রত্যেক গনপরিবহনে।

রাজশাহীতে অবস্থিত বিভিন্ন কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এ সময় কোনো পরিবহনে জীবাণুনাশক ছিটাতে দেখা যায়নি। বাসে ওঠার জন্য যাত্রীদের ছিল হুড়োহুড়ি অবস্থা। এমনকি প্রায় যাত্রীদের মধ্যে ছিল মাস্ক পরবার প্রতি অনিহা।

নাহিদ বাসের চালকের সহকারী মাসুদ হোসেন বলেন,‘ আমরা আমাদের বাস জীবাণুমুক্ত করেছি। যাত্রীদের আমরা ধীরে বাসে উঠাচ্ছি এবং নামাচ্ছি। কিন্তু বাস স্টপে দাঁড়ালে যাত্রীরা বাসে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি করে, সেটাই চিন্তার বিষয়। আমরা তাদের লাইনে দাঁড়িয়ে বাসে ওঠার জন্য অনুরোধ করলেও অধিকাংশ যাত্রী তা মানছেন না।’

ভদ্রায় টিকিট কাউন্টারে মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে টিকিট বিক্রির কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা কাজে আসছে না। সরকারি নির্দেশনায় বাসে ওঠার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করার কথা। তবে বাস কাউন্টারে হ্যান্ডস্যানিটাইজারের ছিলো না কোন ব্যবস্থা। যাত্রী উঠানোর আগে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার যন্ত্র নেই কোন বাসে।

যাত্রা শুরু এবং শেষে বাধ্যতামূলকভাবে গাড়ির অভ্যন্তর ভাগসহ পুরো গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কথা থাকলেও কোথাও তা চোখে পড়েনি। টার্মিনালে বাস আসার সঙ্গে সঙ্গেই আবার নতুন করে যাত্রী তুলে আবার যাত্রা শুরু করছেন চালকরা। এমনকি নেমে যাওয়া যাত্রীর বসা সিটও পরিষ্কার করছে না তারা। এক সিট পরপর যাত্রী বসানো হলেও ওঠানামার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত হচ্ছে না।

সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহী আসা যাত্রী মো. হৃদয় মাহমুদ জানান, বাসের সিটগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে না। একজন যাত্রী নামানোর পর সেই সিটে নতুন করে আরেকজনকে বসানো হয়।লোকাল বাস গুলোর সিট দেখে মনা হয় ময়লার স্তূপ। এর ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ বিষয়ে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসের চৌধুরী জানান, সরকারের পক্ষ থেকে গনপরিবহনের ওপর যে সকল নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেইসব নির্দেশনা মানার জন্য সকল বাস চালক ও চালকের সহকারি সবাইকে অবগত করেছি।