ঢাকা ০৪:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত।

পিতার হাতে স্বাধীনতা, কন্যার হাতে দেশ, বঙ্গবন্ধুর আরেক নাম স্বাধীন বাংলাদেশ!!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পৃথিবীর মানচিত্রে একটি দেশ স্বাধীন সার্বভৌম সবুজ শ্যামল আমাদের বাংলাদেশ। ১ লক্ষ ৫৫ হাজার কিলোমিটার যার আয়তন। বাংলাদেশের পতাকার রং লাল ও সবুজ। আমরা লাল সবুজের এই পতাকা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে।

বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের পটভূমি ১৯৪৭ সালের আগস্ট থেকে ভারত বিভক্তির পর হিন্দু ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয় ভারত ও পাকিস্তান। প্রায় ২ হাজার মাইল দূরত্বে দুটি প্রদেশের সমন্বয়ে গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান বা অধুনা বাংলাদেশ ও পশ্চিম পাকিস্তান।

পাকিস্তানের পূর্ব ও পশ্চিম অংশ কর্তৃক অর্থনৈতিক বৈষম্য আর বঞ্চনার শিকার হতে থাকে। ২৩ বছরের শোষণ আর বঞ্চনার ইতিহাস পার করে হতাশা আর বঞ্চনার পড়ে পূর্ব অংশের মানুষের মনে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু হয়।

১৯৪৮ সালে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এসে উর্দু কে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করলে বাঙালি জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

১৯৫২সালে এই চিত্র চরম আকার ধারণ করলে একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে বেরিয়ে আসে।

আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। সালাম বরকত রফিক জব্বার সহ আরো অনেকেই শহিদ হন।
ভাষা আন্দোলনের মধ্যেই ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করেন।

১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের মুসলিম লীগ নেতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। রাজনৈতিকভাবেও পাকিস্তানি শাসকরা ষড়যন্ত্র করে।যখনি পূর্ব পাকিস্তানের কোন নেতা যেমন খাজা নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী বগুড়া ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেন তখনই যে কোনো অজুহাতে তাদের কে পদচ্যুত করত।এক পর্যায়ে নানা অজুহাতে জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৮সালে পাকিস্তানে শাসনক্ষমতা দখল করে দীর্ঘ ১১ বছর স্বৈরশাসন চালু রাখে।

শুরু হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ৭০ এর নির্বাচন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ৩১৩ টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ১৬৯ টি আসন লাভ করে। জুলফিকার আলী ভুট্টো, শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিরোধিতা করে।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় ১৯৭১সালের তেসরা মার্চ পূর্বনির্ধারিত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন কোন কারন ছাড়াই ১৯৭১ সালের পহেলা মার্চ বাতিল করে। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বাতিলের প্রতিবাদে ঢাকা শহরে পরিণত হয় মিছিলের নগরে। বঙ্গবন্ধু ৫ দিন হরতাল ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলে পূর্ব-পাকিস্তান অচল হয়ে পরে।তৎপর ৭ ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন।

তিনি সংগ্রামী জনতার উদ্দেশ্যে যার যা কিছু আছে তা নিয়ে সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলেন।

তার বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারণ করেন ” এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”
তার এই ভাষণ স্বাধীনতাকামী জনতার আকাঙ্ক্ষা আরো উন্মাতাল করে তোলে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ শে মার্চ রাত বারোটায় বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করেন। তারপর তিনি গ্রেফতার হন।

২৫শে মার্চ রাতে ইয়াহিয়ার নির্দেশে সামরিক বাহিনী শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামে গণহত্যাযজ্ঞ। তারা সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্যদের নিরস্ত্র করে হত্যা করে এবং সারা বাংলাদেশে নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রথমে সেনাবাহিনীর বাঙালি সদস্যরা পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার সমগ্র বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করে। পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যায়। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী ভারত সরকার মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন জানায়।

১৯৭১সালের ১৯ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য কুষ্টিয়ার মেহেরপুরে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদকে দায়িত্ব দিয়ে সরকার গঠন করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবন বাঁচাতে প্রায় এক কোটি মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়।

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পাকিস্তানি হায়েনারা বাঙালিদের কাছে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১হাজার হাজার বাঙালির সামনে ভারতীয় জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর অধিনায়ক জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী ৯৩০০০ সৈন্যসহ আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন। আর সেই থেকে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র।।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

পিতার হাতে স্বাধীনতা, কন্যার হাতে দেশ, বঙ্গবন্ধুর আরেক নাম স্বাধীন বাংলাদেশ!!

আপডেট টাইম ০৪:১২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মার্চ ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পৃথিবীর মানচিত্রে একটি দেশ স্বাধীন সার্বভৌম সবুজ শ্যামল আমাদের বাংলাদেশ। ১ লক্ষ ৫৫ হাজার কিলোমিটার যার আয়তন। বাংলাদেশের পতাকার রং লাল ও সবুজ। আমরা লাল সবুজের এই পতাকা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে।

বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের পটভূমি ১৯৪৭ সালের আগস্ট থেকে ভারত বিভক্তির পর হিন্দু ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয় ভারত ও পাকিস্তান। প্রায় ২ হাজার মাইল দূরত্বে দুটি প্রদেশের সমন্বয়ে গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান বা অধুনা বাংলাদেশ ও পশ্চিম পাকিস্তান।

পাকিস্তানের পূর্ব ও পশ্চিম অংশ কর্তৃক অর্থনৈতিক বৈষম্য আর বঞ্চনার শিকার হতে থাকে। ২৩ বছরের শোষণ আর বঞ্চনার ইতিহাস পার করে হতাশা আর বঞ্চনার পড়ে পূর্ব অংশের মানুষের মনে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু হয়।

১৯৪৮ সালে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এসে উর্দু কে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করলে বাঙালি জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

১৯৫২সালে এই চিত্র চরম আকার ধারণ করলে একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে বেরিয়ে আসে।

আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। সালাম বরকত রফিক জব্বার সহ আরো অনেকেই শহিদ হন।
ভাষা আন্দোলনের মধ্যেই ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করেন।

১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের মুসলিম লীগ নেতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। রাজনৈতিকভাবেও পাকিস্তানি শাসকরা ষড়যন্ত্র করে।যখনি পূর্ব পাকিস্তানের কোন নেতা যেমন খাজা নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী বগুড়া ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেন তখনই যে কোনো অজুহাতে তাদের কে পদচ্যুত করত।এক পর্যায়ে নানা অজুহাতে জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৮সালে পাকিস্তানে শাসনক্ষমতা দখল করে দীর্ঘ ১১ বছর স্বৈরশাসন চালু রাখে।

শুরু হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ৭০ এর নির্বাচন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ৩১৩ টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ১৬৯ টি আসন লাভ করে। জুলফিকার আলী ভুট্টো, শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিরোধিতা করে।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় ১৯৭১সালের তেসরা মার্চ পূর্বনির্ধারিত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন কোন কারন ছাড়াই ১৯৭১ সালের পহেলা মার্চ বাতিল করে। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বাতিলের প্রতিবাদে ঢাকা শহরে পরিণত হয় মিছিলের নগরে। বঙ্গবন্ধু ৫ দিন হরতাল ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলে পূর্ব-পাকিস্তান অচল হয়ে পরে।তৎপর ৭ ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন।

তিনি সংগ্রামী জনতার উদ্দেশ্যে যার যা কিছু আছে তা নিয়ে সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলেন।

তার বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারণ করেন ” এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”
তার এই ভাষণ স্বাধীনতাকামী জনতার আকাঙ্ক্ষা আরো উন্মাতাল করে তোলে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ শে মার্চ রাত বারোটায় বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করেন। তারপর তিনি গ্রেফতার হন।

২৫শে মার্চ রাতে ইয়াহিয়ার নির্দেশে সামরিক বাহিনী শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামে গণহত্যাযজ্ঞ। তারা সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্যদের নিরস্ত্র করে হত্যা করে এবং সারা বাংলাদেশে নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রথমে সেনাবাহিনীর বাঙালি সদস্যরা পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার সমগ্র বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করে। পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যায়। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী ভারত সরকার মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন জানায়।

১৯৭১সালের ১৯ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য কুষ্টিয়ার মেহেরপুরে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদকে দায়িত্ব দিয়ে সরকার গঠন করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবন বাঁচাতে প্রায় এক কোটি মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়।

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পাকিস্তানি হায়েনারা বাঙালিদের কাছে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১হাজার হাজার বাঙালির সামনে ভারতীয় জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর অধিনায়ক জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী ৯৩০০০ সৈন্যসহ আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন। আর সেই থেকে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র।।