মতলব প্রতিনিধি: মতলব পৌর নির্বাচনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র হচ্ছে ১ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বাইশপুর। ধনাগোদা নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থিত এই ভোট কেন্দ্রের ভোটের প্রতি প্রার্থীদের বিশেষ আগ্রহের কারণেই গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এই কেন্দ্র।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, ২০১৫ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকেই সর্বাধিক ভোট পেয়ে কাউন্সিলর পদে জয়ী হয়েছেন বর্তমান প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবুল বাশার পারভেজ। কিন্তু এবারের পৌর নির্বাচন হচ্ছে ইভিএম পদ্ধতিতে। ১ নং ওয়ার্ডে ভোটের হিসাব নিকাশে প্রার্থীদের মধ্যে আগ্রহ এ পশ্চিম বাইশপুরের ভোট।
ভোটাররা জানান, এবারের পৌর নির্বাচনে ১ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ জন প্রার্থী। তবে মূল প্রতিযোগিতা হবে দুই জনের মধ্যে। এরা হচ্ছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আবুল বাশার পারভেজ (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ও সাবেক দুই বারের কমিশনার শাহ গিয়াস (প্রতীক- ডালিম)।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১ নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৭ হাজার ৮শত ৪২ এবং ভোট কেন্দ্র রয়েছে তিনটি। যার
মধ্যে উত্তর বাইশপুর ভোট কেন্দ্রে রয়েছে ২৫শত ১৫ ভোট, পশ্চিম বাইশপুর কেন্দ্রে ১৬শত ৯৯ এবং দক্ষিণ বাইশপুর কেন্দ্রে রয়েছে ৩৬শত ২৮ ভোট।
স্থানীয়রা জানান, তিনটি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে দক্ষিণ বাইশপুর কেন্দ্রটি সাবেক দুই বারের কাউন্সিলর এর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বিগত নির্বাচনে তিনি এই কেন্দ্র থেকে সর্বাধিক ভোট প্রাপ্ত হয়ে আসছেন। অপরদিকে উত্তর বাইশপুর ভোট কেন্দ্রটি কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল বাশার পারভেজ এর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও ভোটারের সংখ্যার দিক থেকে তিনি পিছিয়ে। আর এই কারনেই পশ্চিম বাইশপুর
ভোটকেন্দ্রের প্রতি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ তাঁর। একই সাথে এই কেন্দ্র থেকে ভোট পেয়ে নিজেকে আরো এগিয়ে রাখতে আগ্রহী অপর প্রার্থী শাহ গিয়াস।
পশ্চিম বাইশপুর মহল্লার একাধিক বাসিন্দা বলেন, গত নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন একটু ভিন্ন ধরনের। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলেই প্রার্থীরা ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতেই প্রতিনিয়তঃ চালিয়েছেন প্রচার-প্রচারণা। সর্বশেষ প্রচারণার শেষ দিন দুই প্রার্থীর মধ্যে হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। আর এই সংঘর্ষ কে ঘিরে ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। ভোটগ্রহণের দিন এই ধরনের সংঘর্ষের সম্ভাবনা আছে মনে করে অনেকেই ভোটকেন্দ্রে যাবেন কিনা চিন্তা ভাবনা করছেন। যদিও ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সেইসাথে প্রার্থীরা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।