ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে “কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ” চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন মেয়র রেজাউল বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল

করোনাভাইরাসের টিকা নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন। এ দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। টিকা নিয়ে যেন কোনো রিউমার না হয়।

মন্ত্রী বলেন, গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয়। আমরা নানা কার্যক্রম শুরু করি। আমাদের কার্যক্রম নিয়ে নানা সমালোচনা হয়েছে। আমরা সমালোচনার ঊর্ধে গিয়ে কাজ করেছি। আজ বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে ভালো আছে। আমাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক।

এর আগে রোববার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মহাখালী স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়ালি টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সারাদেশে টিকাদান উদ্বোধনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

পরে মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টিকা নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এসময় এখানে আরও কয়েকজন মন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তি টিকা নেন।

জাহিদ মালেক দাবি করেন, এ পর্যন্ত যত টিকা তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ‘সবচেয়ে ভালো’। বাংলাদেশে এ টিকাই দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, কোভ্যাক্স থেকে আরও টিকা আসবে। টিকাদান কার্যক্রম সারাবছর ধরে চলবে। আমরা চাই দেশবাসী স্বাভাবিক জীবনে চলে আসুক। টিকা নিয়ে কোনো সমালোচনা চাই না। দেশবাসীর জীবন রক্ষার্থে এ টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিজেরা নিচ্ছি, দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ টিকা নিচ্ছেন, তাদের দেখে সাধারণ মানুষ উৎসাহিত হচ্ছে।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের এক বছর পূর্তি হওয়ার আরও এক মাস আছে। এর আগেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গতকাল সংক্রমণের হার ছিল ২ শতাংশের কিছু বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী, এ ধারা চলতে থাকলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়।

তিনি আরও বলেন, এ কারণে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছেছি। আমরা আশা করি করছি করোনাভাইরাস দূর হয়ে যাবে। ফাইনাল ব্লো-টা আমরা দেব টিকার মাধ্যমে।

সকাল ৯টা থেকে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। সকালে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে সারাদেশের সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে যুক্ত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি টিকাদানের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, টিকা নেওয়ার জন্য অ্যাপ আছে। তবে অ্যাপে সমস্যা হলে ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রেও টিকার নিবন্ধন করা যাবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পর কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক সামন্তলাল সেনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরা শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কেন্দ্র থেকে করোনার টিকা নেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে

করোনাভাইরাসের টিকা নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৫:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন। এ দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। টিকা নিয়ে যেন কোনো রিউমার না হয়।

মন্ত্রী বলেন, গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয়। আমরা নানা কার্যক্রম শুরু করি। আমাদের কার্যক্রম নিয়ে নানা সমালোচনা হয়েছে। আমরা সমালোচনার ঊর্ধে গিয়ে কাজ করেছি। আজ বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে ভালো আছে। আমাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক।

এর আগে রোববার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মহাখালী স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়ালি টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সারাদেশে টিকাদান উদ্বোধনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

পরে মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টিকা নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এসময় এখানে আরও কয়েকজন মন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তি টিকা নেন।

জাহিদ মালেক দাবি করেন, এ পর্যন্ত যত টিকা তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ‘সবচেয়ে ভালো’। বাংলাদেশে এ টিকাই দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, কোভ্যাক্স থেকে আরও টিকা আসবে। টিকাদান কার্যক্রম সারাবছর ধরে চলবে। আমরা চাই দেশবাসী স্বাভাবিক জীবনে চলে আসুক। টিকা নিয়ে কোনো সমালোচনা চাই না। দেশবাসীর জীবন রক্ষার্থে এ টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিজেরা নিচ্ছি, দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ টিকা নিচ্ছেন, তাদের দেখে সাধারণ মানুষ উৎসাহিত হচ্ছে।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের এক বছর পূর্তি হওয়ার আরও এক মাস আছে। এর আগেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গতকাল সংক্রমণের হার ছিল ২ শতাংশের কিছু বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী, এ ধারা চলতে থাকলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়।

তিনি আরও বলেন, এ কারণে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছেছি। আমরা আশা করি করছি করোনাভাইরাস দূর হয়ে যাবে। ফাইনাল ব্লো-টা আমরা দেব টিকার মাধ্যমে।

সকাল ৯টা থেকে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। সকালে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে সারাদেশের সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে যুক্ত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি টিকাদানের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, টিকা নেওয়ার জন্য অ্যাপ আছে। তবে অ্যাপে সমস্যা হলে ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রেও টিকার নিবন্ধন করা যাবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পর কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক সামন্তলাল সেনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরা শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কেন্দ্র থেকে করোনার টিকা নেন।