ঢাকা ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারে হোটেলে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা, খদ্দেরসহ গ্রেপ্তার ৫২

রাহাত মামুন
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনে প্রকাশ্যে চলছিল দেহব্যবসা। এসব হোটেল ও পর্যটন ব্যবসার আড়ালে সক্রিয় রয়েছে অপরাধী চক্র। তারকা মানের কতিপয় হোটেল, অ্যাপার্টম্যান্ট ও কলাতলী সাংস্কৃতির কেন্দ্রর সামনে অবস্থিত কটেজে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা চলে আসছে। এসব বন্ধে শুক্রবার বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কটেজ জোনে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস ও পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে’র নেতৃত্বে ৪টি কটেজে অভিযান চালানো হয়েছে।

অভিযানে কটেজের ম্যানেজার, কর্মচারী, যৌনকর্মী ও খদ্দেরসহ ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ৫২ জনের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী। এ সময় ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, গত অর্ধমাস ধরে হোটেল মোটেল জোনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেল থেকে ৪টি কটেজে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে লাইট হাউজ স্বরণ এলাকার আমির ড্রিম প্যালেজ থেকে একজন কর্মচারী, সাতজন খদ্দের ও দুইজন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। মিম রিসোর্ট থেকে একজন কর্মচারী, ১২ জন খদ্দের ও ১৭ জন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এ ছাড়া আজিজ গেস্ট ইন থেকে ১০ জন খদ্দের ও দুই যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এখান থেকে ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে একটি কটেজ থেকে গোপন পথ দিয়ে সবাই পালিয়ে যায়।

অভিযান প্রসঙ্গে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মককর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ‘হোটেল-মোটেল জোনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এভাবে ঝটিকা অভিযান চলবে। অভিযানে আটক সকলের বিরুদ্ধে মাদক পাচার আইনের মামলা রুজু করা হবে। মামলায় কটেজ মালিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পর্যটন শহরের মাদক, জুয়া, চুরি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অচিরেই পর্যটন শহরকে সব ধরনের অপরাধমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া যানজট পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রাখা হবে। এজন্য কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ। কোনো অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

কক্সবাজারে হোটেলে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা, খদ্দেরসহ গ্রেপ্তার ৫২

আপডেট টাইম ০৯:৪০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১

রাহাত মামুন
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনে প্রকাশ্যে চলছিল দেহব্যবসা। এসব হোটেল ও পর্যটন ব্যবসার আড়ালে সক্রিয় রয়েছে অপরাধী চক্র। তারকা মানের কতিপয় হোটেল, অ্যাপার্টম্যান্ট ও কলাতলী সাংস্কৃতির কেন্দ্রর সামনে অবস্থিত কটেজে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা চলে আসছে। এসব বন্ধে শুক্রবার বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কটেজ জোনে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস ও পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে’র নেতৃত্বে ৪টি কটেজে অভিযান চালানো হয়েছে।

অভিযানে কটেজের ম্যানেজার, কর্মচারী, যৌনকর্মী ও খদ্দেরসহ ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ৫২ জনের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী। এ সময় ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, গত অর্ধমাস ধরে হোটেল মোটেল জোনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেল থেকে ৪টি কটেজে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে লাইট হাউজ স্বরণ এলাকার আমির ড্রিম প্যালেজ থেকে একজন কর্মচারী, সাতজন খদ্দের ও দুইজন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। মিম রিসোর্ট থেকে একজন কর্মচারী, ১২ জন খদ্দের ও ১৭ জন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এ ছাড়া আজিজ গেস্ট ইন থেকে ১০ জন খদ্দের ও দুই যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এখান থেকে ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে একটি কটেজ থেকে গোপন পথ দিয়ে সবাই পালিয়ে যায়।

অভিযান প্রসঙ্গে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মককর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ‘হোটেল-মোটেল জোনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এভাবে ঝটিকা অভিযান চলবে। অভিযানে আটক সকলের বিরুদ্ধে মাদক পাচার আইনের মামলা রুজু করা হবে। মামলায় কটেজ মালিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পর্যটন শহরের মাদক, জুয়া, চুরি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অচিরেই পর্যটন শহরকে সব ধরনের অপরাধমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া যানজট পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রাখা হবে। এজন্য কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ। কোনো অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।