ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন। বাকেরগঞ্জের সাহেবপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসখার নামাজ আদায়। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কুমিল্লা,মুরাদনগরে-৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা। ভবেরচর ইউনিয়নের ৩নংওর্য়াডে আনারস মার্কার উঠান বৈঠক ও মিছিল অনুষ্ঠিত : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ –রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম এলাকা হতে ৪০৬ ক্যান বিয়ারসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে

মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলতে ফরিদপুরের মাঠে মাঠে কৃষানীদের ব্যস্ততা

ফরিদপুর প্রতিনিধি ঃ নারীরা পুরুষের চেয়ে পেঁয়াজ তুলতেই বেশী কাজ করছে। বাড়ির পুরুষেরা অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় পেঁয়াজ তোলার কাজটি তারাই করে থাকেন। তাছাড়া খেত থেকে পেয়াজ তোলার পর সেটির মাথা কেটে বাজারে নেবার জন্য প্রস্তুত তারাই করে থাকেন। মাঠে মাঠে এখন কৃষানীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। পেঁয়াজ তোলা ও কাটার জন্য গ্রামের নারীরা টাকার বিনিময়ে এসব কাজ করে থাকেন। ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তোলার জন্য একজন নারী শ্রমিক পেয়ে থাকেন ২ থেকে ৩শ টাকা করে। এছাড়া অনেকেই পেঁয়াজ তোলার পর টাকার পরিবর্তে পেঁয়াজ নিচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধুমাত্র নগরকান্দা ও সালথা উপজেলাতেই দুই-তিন হাজার নারী পেঁয়াজ তোলার কাজটি করছেন। পেঁয়াজ আবাদে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান হচ্ছে ফরিদপুর। এই জেলায় উৎপাদিত পিয়াজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। চলতি বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হওয়ার পরও বর্তমানে বাজার দরে কৃষকের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। ফরিদপুর জেলায় চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে লাগানো হয়েছিল মুড়িকাটা পেঁয়াজ। ফলনও হয়েছে আশাতিত। জেলার ৯ টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষাণীরা পেঁয়াজ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল, চরমাধবদিয়া, ঈশান গোপালপুর, অম্বিকাপুর এবং নগরকান্দা-সালথা-ভাঙ্গা-সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে মাঠে এখন মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলার ধুম পড়েছে। নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের কৃষানী রাবেয়া বেগম, সুফিয়া খাতুন, বরু খাতুন জানান, এ অঞ্চলে সবচে বেশী পেঁয়াজ আবাদ হয়ে থাকে। পেঁয়াজ লাগানো থেকে শুরু করে খেতে পানি দেয়া ও আগাছা নিড়ানোর কাজও তারা করে থাকেন। চলতি বছর ফরিদপুর জেলায় ৫ হাজার ১শত ৬০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পিয়াজ আবাদ করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হবে। বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। কৃষকদের ভাষ্য-ভারতসহ অন্যান্য পার্শবর্তী দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ না করলে এ বছর লোকশানের মধ্যে পড়তে হবে তাদের। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ হযরত আলী জানান, পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে কৃষকেরা ন্যায্য দাম না পেলে পরবর্তী মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদ কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত বছর পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা আগ্রহ নিয়ে পেঁয়াজের আবাদ করেছিল। তারা বেশি দামে পেঁয়াজের গুটি কিনে জমিতে লাগিয়েছিল। এবার দাম অস্বাভাবিক ভাবে কমে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষকেরা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলতে ফরিদপুরের মাঠে মাঠে কৃষানীদের ব্যস্ততা

আপডেট টাইম ০৬:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১

ফরিদপুর প্রতিনিধি ঃ নারীরা পুরুষের চেয়ে পেঁয়াজ তুলতেই বেশী কাজ করছে। বাড়ির পুরুষেরা অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় পেঁয়াজ তোলার কাজটি তারাই করে থাকেন। তাছাড়া খেত থেকে পেয়াজ তোলার পর সেটির মাথা কেটে বাজারে নেবার জন্য প্রস্তুত তারাই করে থাকেন। মাঠে মাঠে এখন কৃষানীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। পেঁয়াজ তোলা ও কাটার জন্য গ্রামের নারীরা টাকার বিনিময়ে এসব কাজ করে থাকেন। ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তোলার জন্য একজন নারী শ্রমিক পেয়ে থাকেন ২ থেকে ৩শ টাকা করে। এছাড়া অনেকেই পেঁয়াজ তোলার পর টাকার পরিবর্তে পেঁয়াজ নিচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধুমাত্র নগরকান্দা ও সালথা উপজেলাতেই দুই-তিন হাজার নারী পেঁয়াজ তোলার কাজটি করছেন। পেঁয়াজ আবাদে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান হচ্ছে ফরিদপুর। এই জেলায় উৎপাদিত পিয়াজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। চলতি বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হওয়ার পরও বর্তমানে বাজার দরে কৃষকের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। ফরিদপুর জেলায় চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে লাগানো হয়েছিল মুড়িকাটা পেঁয়াজ। ফলনও হয়েছে আশাতিত। জেলার ৯ টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষাণীরা পেঁয়াজ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল, চরমাধবদিয়া, ঈশান গোপালপুর, অম্বিকাপুর এবং নগরকান্দা-সালথা-ভাঙ্গা-সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে মাঠে এখন মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলার ধুম পড়েছে। নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের কৃষানী রাবেয়া বেগম, সুফিয়া খাতুন, বরু খাতুন জানান, এ অঞ্চলে সবচে বেশী পেঁয়াজ আবাদ হয়ে থাকে। পেঁয়াজ লাগানো থেকে শুরু করে খেতে পানি দেয়া ও আগাছা নিড়ানোর কাজও তারা করে থাকেন। চলতি বছর ফরিদপুর জেলায় ৫ হাজার ১শত ৬০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পিয়াজ আবাদ করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হবে। বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। কৃষকদের ভাষ্য-ভারতসহ অন্যান্য পার্শবর্তী দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ না করলে এ বছর লোকশানের মধ্যে পড়তে হবে তাদের। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ হযরত আলী জানান, পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে কৃষকেরা ন্যায্য দাম না পেলে পরবর্তী মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদ কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত বছর পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা আগ্রহ নিয়ে পেঁয়াজের আবাদ করেছিল। তারা বেশি দামে পেঁয়াজের গুটি কিনে জমিতে লাগিয়েছিল। এবার দাম অস্বাভাবিক ভাবে কমে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষকেরা।