রাহাত মামুন
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা
নগরীর আসকারদীঘি এলাকার গ্রীন্ডলেজ ব্যাংকের পাহাড়টি কেটে ফেলা হচ্ছে। শহরে কয়েকটি বড় পাহাড়ের মধ্যে এটি অন্যতম। তবে এ বিষয়ে জানে না পরিবেশ অধিদপ্তর।
নগরীরতে আবাসনের নামে রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর খবর পেয়ে ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। নোটিশ দেয় পাহাড় কর্তনকারীদের। পরে শুনানি করে জরিমানা করে। পরে দারস্ত হতে হয় আদালতের। জরিমানা আদেশের পরও বছরের পর বছর চলে যায় সরকারি রাজস্ব আদায়ে। দীর্ঘ এই আইনি সুযোগে পাহাড় আর পাহাড় থাকে না। প্রভাবশালীরা কেটে সমতল বানিয়ে নেয়। গড়ে তুলে সুরম্ম অট্টালিকা। এই যখন অবস্থা, তখন পাহাড় নিরাপদ থাকার কথা নয়। কারণ নগরীতে জমির দাম বেশী । বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামে রয়েছে কাঠাপ্রতি ১৫ লাখ থেকে পাঁচ কোটি টাকা।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়টিতে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে পাহাড়টির প্রবেশ পথের ফটকটি তালাবদ্ধ ও ছিল নিরাপত্তা প্রহরী। পরে জামালখান এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে দেখা যায়, তিনটি স্কেভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে পাহাড়টি। ইতোমধ্যে পাহাড়টির উপরিভাগের প্রায় সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। মজুদ করা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রীও। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বলেন, আমরা গ্রীন্ডলেজ ব্যাংক পাহাড়টি কাটার বিষয়ে কিছু জানি না। ঘটনা সত্যি হলে অভিযানের পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।